S6 8 অামারদিগের প্রতি উদাসীন রছিয়াছ । যে সকল অন্তরতম গঢ়ত শাস্ততম নিৰ্ম্মলতম কামনা আমারাদরে অন্তরে নিহিত আছে, সেই সকল বিধৃদ্ধ কামনা যখন অামারদিগের আত্মাতে উথিত হয়, তখন আমরা নুতন জীবন প্রাপ্ত হই, তখনি আমরা জীবিত থাকি ! নেীক। যখন প্রবল বা ত্যা ও ভীষণ তরী ক্ষ আন্দোলিত হয়, তখন সেই নৌকাৰ ব্যক্তির ভয়ে কম্পমান হইতে থাকে কিন্তু সুনিপুণ কর্ণধার আপন স্থানে ই পবিষ্ট থাকিয়া নৌকাকে নিরাপদ স্থানে লইয়া যায় ; সেই ৰূপ অমর যখন পাপ-তাপে মুহ্যমান কষ্ট, তখন তুমি আমারদিগের অন্তরের সুনিভ ত স্থানে নিস্তব্ধ থাকিয় নানা বিঘ্ন বিপত্তির মধ্যে দিয়া অামারদিগকে তোমার প্রেমময় অমৃতময় পথে উত্তীর্ণ কর । অামাবfদগের সাধ ; নাই যে তোমাকে ধন্যবাদ করি; কেননা যত ধন্যবাদ করি, ততই তোমা র করুণ। অামারদিগের হৃদয়ে সহস্র ধারে বর্ষিক হয় | হে বিশুদ্ধ কমনর নিকেতন । কত দিনে অমরদিগের অায় হইতে কৃটিল তার ঘন মেঘ-সকল তোমার আননদ রশ্মিতে ক্রুজ্জরিত হইয। তিরোহিত হ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সত্যজ্যোতির প্রকাশ হয় | জ্যোতি কে চন্দ্র তারা বিদ্যুৎ প্রকাশ করিতে পারে না ! আত্মার উজ্জল কোষ ಇಡ್ಲ সেই নিৰ্ম্মল নিরবয়ব পরমাত্মা ! বিরাঙ্গ’ করিতেছেন । তিনি অামারদের অন্তরতম প্রিয়তম পরমেশ্বর । এখানে তাহণকে প্রত্যক্ষ দেখ | যদি এই পবিত্র উপাসনা-স্থলে অসিয়। র্তাহার আবির্ভার না দেখিলে ; যেমন অসিয়ণছিলে, শূন্য হৃদয় হইয়। তেমনি চলিয়, গেলে ; তবে আর কি হইল ? এখানে তাহার দর্শন লাভ করিয়া কৃত-পুণ্য হও ত্ৰখান হইতে ভুয়েীভুয় এই উপদেশ পাইয়াছ, এবং যত বার বলা যায়, এ বাক্য কখনই পুরাতন হয় না যে পরম মা অস্তরের অন্তর, অস্তরেই তাহার উজ্জল প্রকাশ দেখা যায় । এক্ষণে ত{হা প্রত্যক্ষ কর “প্রণোস্থেষঃ ” ইনি সকলের প্রাণ স্বৰূপ যে পুণাত্ম। অন্তরে সেই পরমাত্মা ৰূপ ভূর্যের প্রকাশ দেখিতেছেন ; সেই সত্যজ্ঞান-জ্যোতির উজ্জ্বল অtভা আত্মাতে প্রজ্বলিত দেখিতেছেন; তিনি দেখিতেছেন, সেই পরমেশ্বর প্রাণ স্বৰূপ তিনি মৃত্যুর ভবে ; কত দিনে পৃথিবীর সমস্ত লোক ! তোমার প্রেম গুণে বদ্ধ হইয় এক পরিবারের ন্যায় ক হবে; কত দিনে অামারদিগের সকল ভাব তোমার জ্যোক্তিতে অলঙ্গ ত হইয়া পৃথিবীকে স্বর্গ তুল্য করবে; তুমি অামারদিগের এ সকল কামন। অব- , শ্ব ই পুর্ণ করবে। আমরা সকলে একাত্মা ক্ল টয় ভে মীর চরণে প্ৰণিপাত করি । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান । কলিকত। ব্রাহ্ম সমাজ । । ভাদ্র বুধবার ১৭৮২ শক । બન્ન هi வதை *-: كم প্রাণোহ্যেষযঃ সৰ্বভ তৈর্বিভতি । এই সত্যটি অমরদের আত্মাতে মুছইয়াছে যে অস্তরেই ঈশ্বরের উ fদ ত ৰূপ নহেন—তিনি অমৃত, সকলের প্রাণ । যিনি আত্মাতে প্রকাশ পাইতেছেন, অমর। তাঙ্ককে আত্মার প্রাণ ৰূপে দেখিতেছি । অাম রদের দেবতা নিদ্রিত নহেন ; তিন জাগ্র ত, তিনি জীবন্ত দেবত ; তিনি প্রাণ , তিনি সকল জগতের প্রাণ ; তিনি প্রাণের এ{ণ । সেই প্রাণ-স্বৰূপ মঞ্চলের সম্ভজনীয় পরম দেবতাকে যখন অস্তরে সাক্ষাৎ পাই: তখনই তাহার উপাসন; সার্থক কয় । যখন তাহার চক্ষুর সঙ্গে আমার চক্ষুর যোগ হয়, তখন তাহার পূজা যথার্থ হয়। উপাসনার সময় তাছাকে না দেখিয়। তাঁহাকে কি প্রকারে ভক্তি ভরে প্রণাম করিবে ; অশ্রু পুর্ণ নয়নে কিৰূপে তাহার নিকটে প্রার্থনা করিবে ? আমরা কি মৃত শরীরের সঙ্গে কখন আলাপ করিতে যাই ? সেই অমৃতের, সেই প্রাণ-স্বৰূপের উপাসক হইয়া কি কাষ্ঠ পাষাণ মৃৎপিণ্ড অপেক্ষ তাহীকে অধিক দেখিতে পাইব না ? সকল সময়েই জল প্রকাশ ; অপরাজ্যোতিতেই সেই o র্তাঙ্কার প্রকাশ জাজ্জ ল্যমান দেখি, এই
