পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা আমারদের প্রার্থন ; আমরা অতি দুর্বল বলিয়া যদি গ নাও পারি, তবে যখন উহাকে পুঞ্জয়ন করতে যাইতেছি ; যখন তাহার পবিত্র চরণে ভক্তি-পুষ্প বিকার্ণ করিতে প্রবৃত্ত হইতেছি—তাহার মহিম। গানে জীবন :ক দার্থক করবার অভিলাষ করতেছি, তখন প্রথমে কি তাহার প্রকা ণ দেখিব না ? যদি সেই বিশুদ্ধ জ্ঞান-জ্যোতিকে প্রত্যক্ষ না করিলাম, তবে মনের ভাব র্তাহাতে কি প্রকারে যাইবে ? যদি সেই বিশ্বতশ্চ ক্ষুকে আমার উপরে দে থিতে না , পাইলাম, তবে প্রীতি কাহার প্রতি উচ্ছসিত লুইবে ! এখনি তাহার প্রকণশ দেখ । প্রকাশ দেখ । তিনি সকলের প্রাণ-স্বৰূপ । সেই সৰ্ব্বব্যাপী অমৃত পুরুষ জড়ের মধ্যে, আত্মার মধ্যে ওতপ্রোতভাবে আছেন ; আমরা যেন তাহার দৃষ্টির বহি ভুত না হই । তাহাকে যেন প্রীতি-পুষ্প দান করিতে বিরত না হই । সামারদের যদি এই শুভ উদ্দেশ হয়, তবে তাঙ্ক। অবশ্ব ই সিদ্ধ হহবে । দেখ এখনি কি হইতেছে ! আমারদিগের ঈশ্বর-লাভের স্প ছাঁর উদ্দীপনের সঙ্গে সঙ্গে ই এখানে তিনি আমার দিগকে দশন দিতেছেন ; এই অ লোক কিরণে উছার প্রকাশ জাজ্বল্যমান দেখিতেছি ; আপনার অন্তরে সেই নিবিদ্য সুন্দর পুরুষের সাক্ষাৎ লাভ করিতেছি । যিনি তামারদের উপাস্ত্য দেবতা ; তিনি জfগ্রত জীবস্তু দেবতা ; আ মারদের শরীরই তঁiহার মনীর ; আত্মা তঁহার আসন ; সেখানে তিনি সৰ্ব্বদাই বিরাজমান আছেন । দেখ, মোমারদের কি মহত্তর অধিকার । তঁহাকে দেখিবার জন্য অামারদের স্থানান্তরে যাইতে হয় না ; যখনই ইচ্ছা করি, সেই পবিত্র স্বৰূপকে প্রণাম করিয়া আসি ; স্বীয় অক্সিতেই তঁহার অধিষ্ঠান দেখি । স্থর্য চন্দ্র ওষধি বনস্পতি অপেক্ষ আত্ম। স্টাহীর প্রিয় নিকেতন । সেই বিজ্ঞানময় অ আত্মজ্যোতি দ্বারা উহার : t | | মৃ -ময় পুরুষ সৰ্ব্ব কালে সৰ্ব্ব স্থানেই | আছেন । র্তাহ হইতে স্বতন্ত্র করিয়া দে | S (ζ (ζ তাহার সহিত যুক্ত দেখিলে সকলই মৃত, সকলই অসৎবোধ হয় । সেই প্রাণের অধিষ্ঠানেই এই সকল প্রাণ-বিশিষ্ট হইয়াছে। তিনি “ চেতনং চেতনানাং ।” সেই চেতনের প্রকাশে ই সকলে চেতন পাইয়াছে। র্তাহার সেই সত্য-ভাব গ্রহণ করেয়াই এই জগৎ সৎ হইয়াছে। সেই অমৃতের আশ্রয়েই ਸਕ੍ਰਥੀ অমৃতের অধিকারী হ ইয়াছে। আমরা মৃেতের পুত্র, এই জন্যই আমরা অমৃত ভের অধিকারী। যত দিন আমারদের সংসারেরই অধীনতা, তত দিন মৃত্যুর পাশে বদ্ধ আছি, মৃত্যু মুখেই প্রবিস্ট আছি । সংসারের সকল ই মৃত্যুর ৰপ, অমৃতের ভাব ইহাতে কিছুই নাই । সংসার মৃত্যুর প্রতিকৃতি-ঈশ্বরই অমৃত নিকেতন । তাহার সহিত সম্বন্ধ নিবদ্ধ করলেই আমরা সংসারের পার জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্রহ্মধাম দেখিতে পাই এবং আপন হইতেই বলিতে থাকি, " য এতদ্বিন্ধুরমুতাস্তে ভবন্তি!” সেই প্রাণের সচিন্ত যিনি আপনাকে যুক্ত করিয়াছেন, তিনি মৃত্যুর হস্ত দেখিয়া অ৷র ভয় পান না ; তিনি অমৃত লাভের প্রতি স্থির-নিশ্চয় থাকেন । অামারদের আত্ম তাহার আসেন; তিনি আমারদের উপাস্ত্য দেবতা । অামারদের উপাসন। বাহ্যিক নয়, কিন্তু আন্তরিক উপাসন ! যখন আ মারদের অ মতে ঈশ্বরের আবির্ভাব দেখি, তখন কি অনন্দ ? র্তাহাকে সাক্ষাৎ লাভ করিবার জন্য কত লোকে কত প্রকার কষ্ট সাধন করিতেছে; কত কঠোর তপস্যায় শরীর ক্ষয় করিতেছে । তাহদের আত্মীর সঙ্গে তাঙ্কণর সম্বন্ধ না বুঝিয়। বাহ ক্রিয়াতেই তাহাকে লাভ করিতে যায়, সুতরাং নিরাশ হইয়া ক্ষিরিয়া আইসে । ব্রাহ্মধৰ্ম্মে এই জন্য আছে, “ যোবাএতদক্ষরং গাগ্যবিদিত্ব। অস্মিন লোকে জুহোতি যজতে তপস্তপ্যতে বহুনি বর্ষসহস্রাণি অস্তবদেবাহা তদ্ভবতি যে ব্যক্তি র্তাহাকে না জানিয়া যদিও বহু সহস্ৰ বৎসর হোম যাগ তপস্যা করে, তথাপি সে স্থায়ী ফল প্রাপ্ত इझ ञ1-८म খিলে আর সমুদয়ই মৃত্যুর ৰপ দেখায়। সেই ব্রহ্মের পরম পদ প্রাপ্ত হয় না,সংসার