পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ساد য়েই আমাদের প্রতি অৰ্পিত ছিল । সেই বিশ্বতশ্চ ক্ষুর আশ্রয়ে থাকিয়া আমরা সকল প্রকার দুর্গতি হইতে পরিত্রাণ পাইয়াছি । তিনি আমাদের আত্মকে কত সময় পাপ তাপ শোক মোহ হইতে রিমুক্ত করিয়াছেন । যে সকল হৃদয়-গ্রন্থি আমাদের কুটিল গতির কারণ, তাহ। তিনি ছেদন করিয়াছেন । কত সময় আমরা পাপপঙ্কে *डिङ ङ झेब्रा भूभूर्च्, अग्नि क्रुझेशांझिज्ञांभ, তিনি পুনৰ্ব্বার আমারাদগকে আহ্বান করিয়া তাহার শীতল ক্রেগড়ে স্থান দান করিয়াছেন । আমরা যখন সেই পরম গতি, পরম সম্পদ-সেই রস-স্বৰূপ হইতে বিচ্যুত হইয় অধোগতি প্রাপ্ত হইতেছিলাম ; তখন কাচার প্রসাদে, কাহার আশ্রয়ে, পুনৰ্ব্বার পুণ্য পদবীতে আরোহণ করিতে সক্ষম হুইমাছি ? কেবল সেই বিশ্ন বিনাশক দুৰ্গতি মাশক পরমেশ্বরেরই প্রসাদে ! তিনি আমাদের নিজীব ভাবকে সতেজ করিয়াছেন । তিনি আমাদের মূমুর্ষ, আত্মাকে জীবন দান করিয়াছেন। আমাদের আত্মাতে এক্ষণে যাই। কিছু আত্ম-প্রসাদ আছে, তাহাতে চাহরই অপার প্রসাদ স্মরণ হইতেছে! আমাদের অন্তরে দেবাসুরের যুদ্ধ যে নিয়তই রছিয়াছে, ভাঙ্গতে দেলত দিগের জয় কিসে হইয়াছে, কেবল সেই পরমেশ্বরেরই প্রসাদাৎ । অমর। যখন র্তাহার অমৃতময় পথে পদার্পণ করিয়াছি ; তিনি আম দিগকে বার বার উৎসাহ ও সাহস দিয়া আরো বলীয়ান করিয়াছেন । আমরা যখন বিপথগামী হইয়াছি; তখন আমাদের সম্মুখে নাম বিভীষিক। বিস্তার করিয় তাহর স ২ পথে লইয়। গিয়াছেন। আমির। এই পবিত্র ব্রাহ্মসমাজে সপ্তাহে সপ্তাহে মিলিত হইয়া পবিত্র ব্রহ্ম প্রীতি উপাত্তজন করিয়াছি—তাহার শ্রবণ মনন নিদিধ্যাসন করিয়া সুপবিত্র ব্রহ্মানন্দ লাভ করিয়াছি ; झैङ्। কেবল র্তাহারই প্রসাদে । সৰ্ব্ব স্থান হইতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভােব উদয় হইতেছে । সকলে সরুতজ্ঞ চিত্তে তাহণকে নমস্কার কর । হে পরমাত্মন যে সময়ে আমার অtপনার ক্ষুদ্র বলের উপরেই নির্ভর ছিল, ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিক খন চতুর্দিকে ভয়ই দেখিয়াছি ; যখনি তোমার উপর নির্ভর গিয়াছে, তখনই ভয় শুন্য হইয়াছি । হে ভয়-হরণ ! তোমার সহিত সন্মিলন হইলে তাপিতের সকল সপ্তাপ দুর হয়। আমার আপনার উপর কিছুই ভরশ নাই—যখন তোমার শীতল ক্রোড়ের আশ্রয় পাই, তখন আমি নুতন ইয়া উথিত হই ; তখন বলিতে থাকি যে “আনন্দং ব্রহ্মণোবিদ্বান ন বিভের্তি কুত-চন । আনন্দং ব্রহ্মণেীবিন্ধান ন বিভোক্ত কদাচন ।” ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং নববষের ব্রাহ্মস--জর বক্তত । ১ বৈশাখ রহস্পতিবার ১৭৮২ শক । অামারদিগের জীবনের এক বর্ষ গাত হইল । এই সম্বৎসর কাল মধ্যে অমর। ঈশ্বরের প্রদর্শিত পুণ-পথে কত দূর অগ্রসর হইয়াছি, তাছাতে অগ্রসর হই, ৰার নিমিত্ত কত দূর প্রাণ ও মন সমর্পণ করিয়াছি, তাহণ স্থিরচিত্তে প্রণিধান করিয়৷ দেখ আবশ্যক হার প্রেতি প্রীতি কি আমাদিগের কার্য্যের ও চিন্তার ও মনোগত ভাবের একমাত্র পরিচালক ও নিয়ন্ত হ , ইয়াছে ? অামাদিগের আশে ভরশ কামন। সকলি কি ষ্ট হার প্রতি একান্তে নির্ভর করিতেছে ? কোন নিকটস্থ বন্ধুর ন্যায় কি আমরা তাহার প্রত্যক্ষ সৰ্ব্বদা অনুভব করিতেছি ? তাহার প্রিয়কার্য্য সাধন করিব, ইহা কি অ মাদিগের মনের একমাত্র লক্ষ্য হইয়াছে, ও তজনিত আমাদিগের ধৰ্ম্ম সাধন করিতে কি প্রগাঢ়তর অধ্যবসায় জন্মিয়াছে ? হে ব্রাহ্মগণ । যেমন সমুদ্রপোত-নাবিক গভীর সমুদ্র গৰ্ত্তে পোত চালনা করিবার সময়ে দিগদর্শন যন্ত্রের সহায় দ্বারা দিক নিৰূপণ না করিলে স্বীয় পোতকে সমুদ্র নিহিত শৈলখগু গুপ্তচর প্রভৃতি বিষম প্রত্যুহ সমুহ হইতে রক্ষণ করি: তে পারে না; সেই ৰূপ আমাদের আত্মা এই ভয়াবহ সংসার পারাবার পর হইবার জন্য