তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। ঈশ্বরের প্রতি অটল ভক্তি ও বিশ্বাস স্থাপন না করিলে হৃদয়ের কুটিল মোহ-পাশ হইতে বিমুক্ত হইতে পারে না । তিনি ভবাধবের কর্ণধার। আমরা যদি অনন্যগতি হইয়া উহার করুণার শরণ গ্রহণ করি, তাহা হইলে তিনি আমাদিগের জীবনকে মোহবন্ধু হইতে রক্ষা করেন, ও ধর্মের অনুকুল অনুরাগ-ৰায়ুর সহায় দ্বারা তাহার অভয়-কোলে উত্তীর্ণ করেন । যদি তিনি অমাদিগের, একমাত্র লক্ষ্য ও একমাত্র সাধন হন, তবে আমরা না সম্পদের হিল্লোলে হেলায়মান না বিপদের তরঙ্গে ভাত হইয়া ধৰ্ম্ম হইতে প্রচু্যত হই । তিনি আমাদের একমাত্র আশ্রয় হইলে আমাদর ধৰ্ম্ম চ ই: পতিত হইবার কোন সম্ভা । ধন থাকে না । যখন অমর। তাহা হইতে বি৮ ত হইয়। দুরে ভ্রমণ করি ; তখনই ধন্মের প্রতি আমাদের অনুরাগ মন্দীভূত হয়, তখন ধৰ্ম্মকে আমাদের অবশ্য প্রতিপাল। বলিয়া আর প্রতীতি হয় না, তখন ধৰ্ম্মের নিমিত্ত্বে কোন পার্থিব বিষয়কে বিHজন করিতে মনে তাদুশ সাঙ্কস ও উৎসাঙ্গ হয় না, বরং ধৰ্ম্মকে ত্যাগ করিয়৷ কেন স্বঃথ-সাধন করিবার নিমিত্ত মন লালসা-পরবশ হয় । ফলতঃ আমাদের যায়তীয় দুঃখ আছে, তাহার মুল কেবল র্তাহ হক্টতে বিচ্ছিন্ন হওয়া । হা ! আমির। প্রতি দিন তাহার উপাসনা করিবার সময়ে মনে করি, যে র্তাহাকে বিস্মত হইয়। আর কোন কার্য্য ও কোন চিন্তা করিব না ; কিন্তু আমাদিগের কি দুর্ভাগ্য আমরা বিষয-পথে ধাবিত হইলে আমাদের সে লক্ষ্য ও সে ভাব কিছুই থাকে না। আমরা বিষয় কর্য্যে লিপ্ত হইয়। অামার আমার করিয়৷ যে প্রকার বিষয়ের পশ্চাৎ ধাবমান হই, অমর। বৃথা কৰ্ম্মে যে রূপ অর্থ ও সময় যত্ন ও চেষ্টা সমর্পণ করি ; তাহাতে আমরা ঈশ্বরের উপাসক বলিয়। কখনই প্রতীয়মান হই না, বরং নিতান্ত স্বার্থের দাস বলিয়া লক্ষিত হই। ব্রাহ্মগণ । আমরা যদি উপাসনা কালীন ঈশ্বরকে বিদ্যুতের ন্যায় ক্ষণিক প্রত্যক্ষবৎ প্রতীতি করি, আর অন্য
} + מלצ সকল সময়ে তাহাকে ভুলিয়া থাকি ও আপনাপন প্রবৃত্তি বিশেষ দ্বার। পরিচালিত হই; তবে আমরা আমাদিগের সমস্ত জীবন তাহার প্রিয়-কাৰ্য্য সাধন জন্য সমর্পণ করি। য়াছি, ইহা কি প্রকারে বলিতে পারি ? ঈশ্বরীরাধনা অপেক্ষ যদি আমাদিগের লোকের সঙ্গে ও বিষয়ের সঙ্গে অধিক সময় যাপন করিতে হয়, আর সেই বিষয়কার্য্য করিবার সময় যদি তাহার প্রতি অtমাদের ‘মন স্থির না রকিল ; তবে আমাদের আর কি হইল : আমরা ঈশ্বরে পাস না কালে ত হার সহবাস জনিত যে মঙ্গন পবিত্র ভাল প্রাপ্ত কই ; কি উপায় দ্বারা বিষয়ের সঙ্গে লোকের সঙ্গে মিশ্রিত হইয়া ও সৰ্ব্বদা সাৰ্ববত্র সেই ভাব রক্ষা করিতে পারি । কঁকার সহায় ব্যতীত আমাদিগের তাছার প্রতি স্থির দুটি রাখিয় ধৰ্ম্ম-পথে o আরোহণ করিবার অণর অন্য উপায় নাই । অতএব যেমন চাতক বারিদ-রারি পতনের প্রতি একান্তে চাহিয়া থাকে, আমরা সেই ৰূপ সতৃষ্ণ ভাবে তাছাকে প্রার্থনা করিলে তিনি স্বয়ং আপনাকে দান করিয়৷ আগমণ দিগের পিপাসা শাস্তি করিলেন এবণ স্টা হার জ্যোতিৰ্ম্ময় অমৃতময় পথে নিৰ্ব্বিয়ে লইয়। যাইবেন । ছে পরমাত্মন! অমর সংসারের মঙ্গমোহে মুগ্ধ হইয়। তোমাকে ভুলিয়। কাল যাপন করিতেছি । তোমাকে যেৰূপ শ্রদ্ধ। প্রীতি ও ভক্তি করিতে ক্ষয় ও ভোমর প্রিয় কার্য্য যে ৰূপ অনুরাগের সক্তিত সাধন করিতে হয়, আমরা তাহার কিছুই করতে পারিতেছি না। হে প্রভো ! তুমি কৃপা করিয় আমাদিগের দুর্বল মনকে তোমার প্রাতি সুধাপন করিতে বলীয়ান কর ও আমাদিগের সমস্ত কার্য্য ও কামনাকে তোমার দিকে লইয়া যাও । আমরা তোমার নিতান্ত অধীন ও শরণাপন্ন হইলাম ! তোমার সহায় ব্যতিরেকে তোমাকে পাইবার আর অন্য উপায় নাই । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং