পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞbア কে দেখিতে পাই। যদি এই নব বর্ষের প্রথম উর্মলনে তোমার উজ্জল মুখ না দেখিতে পাইতাম, তবে কোথায় আমাদের আশা, কোথায় আমাদের আনন্দ থাকিত । এক্ষণে তোমার অমৃত আনন্দ উপভোগ করিতেছি; সমুদয় বৎসরে যেন তাহ আমাদের আত্মাকে জীবিত রাখে, তোমার অনন্দে যেন সমুদয় জগৎ সংসার পরিব্যাপ্ত হয়। তোমার আনন্দ যেন সকল হৃদয়কে প্লাবিত করে । তোমার অমৃত সহবাস পাইলে আমরা নকল দুঃখ সহ্য করিতে পারি । তুমি নিকটে থাকিলে আমাদের কোথায় ব্যাকুলত, কোথায় ভয়, কোথায় মোহ, কোথায় শোক ; কেবল আনন্দের প্রবাহ প্রবাহিত হয় ; কেবল শান্তির সমীরণ বহিতে থাকে । তে"মার সঙ্গে থাকিতে পাইলে আমাদের অর ক্ষুদ্র ভাব থাকে না। আমরা যে এমন অপবিত্র, তোমার সহবাসে আমরাও পবিত্র হই। তুমি পবিত্রতার প্রস্রবণ, তোম৷ হইতেই পবিত্রত। প্রবাহিত হইয়া অামারঙ্গিগকে পবিত্র রাখিতেছে । তোমার যে কি অপর করুণা, আমরা প্রতিদিনই তাহার পরিচয় পাইতেছি । যখনি আমরা তোমাকে প্রার্থনা করি, তুমি অমনি আমারদিগকে দেখা দেও। এক এক বার ভয় হয়, বুঝি তোমার দর্শন পাইব না ; কিন্তু যখনি ব্যাকুল অস্তরে তোমাকে অন্বেষণ করি, তৎক্ষণাৎ তে|মকে দেখিতে পাই—দেখি ষে অন্তরের ধন অন্তরেই আছে । তুমি আমারদের হৃদয়ের ধন । তুমি কখনই আমারদিগকে পরিত্যাগ কর না । আনারদের দোষ দেখিয়াও আমারদিগকে কখনই তাচ্ছিল্য ব্যর না । আমির তোমার যোগ্য পাত্র কখনই নছি। তোমার প্রীতি আকর্ষণ করিতে পারি, আমারদের এমন কিছুই নাই। যখন আপনাকে দেখি, তখন হীনতা মলিনতাই তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। দেখিতে পাই । যখন তোমাকে দেখি, তোমার অপার উদার করুণাতে আদি হই । তুমি আমাদের সকলই, তোমার প্রসন্নতাই আমাদের সর্বস্ব । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । இைதிலும் নব বর্ষে নিবাধই ব্রাহ্মসমাজ । ১ বৈশাখ শুক্রবার ১৭৮৩ শক । বক্তৃত । তাদ্য নব বর্ষের আরম্ভ। অদ্য কি আনন্দেব দিন । সেই প্রাণ-দাতা মঙ্গল-বিধাত। করুণাময় জগৎ-পিতা, যাহার প্রসাদে আমরা বিগত বর্ষে কত প্রকার সুখে নিৰ্ব্বিঘ্নে জীবন যাপন করিয়াছি, অদ্য সকলে মিলিয়া তহিকে মনের সহিত ধন্যবাদ প্রদান করিবার জন্য আমরা এখানে উপস্থিাত্র হইয়াছি । ব্রহ্মগণ এক বার তালে৷চনা করিয়া দেখ, তাহার করুণা-কৌমুদীর মমোস্কর আলোক আমারদিগের জীবনের প্রত্যেক অংশ কেমন সুচারুরূপে অনুরঞ্জিত হইয়াছে ; বিগত বর্ষের একটী মাস, একটা পক্ষ, একটা দিন বা একটা মুহূৰ্ত্ত কি এমন হইয়ালি, যাহাতে র্তাহার করুণার স্নিগ্ধময় ক্ত্যোতি আমার দিগের প্রতি সম্পৰ্ণৰূপে নিপতিত হয় নাই ? আমার দিগের শরীর কত শত গ্র কায় ঘটনাতে অচিরাং মৃত্যুমুখে পতিত হইতে পারে, তাহাকে তিনি কেমন যত্নে অসংখ্য প্রকার বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়াছেন । রাত্রিকালে যখন আমরা গভীর নিদ্রায় অভিভূত ছিলাম, তখন তিনিই আমারদিগকে রক্ষা করিয়াছেন । তিনি আমাদিগের জনম-পান বিধান করিয়া আমারদিগকে সুস্থ ও সবল রাখিয়াছেন। তিনি আমারদিগের শরীরকে কেবল রক্ষা করিতেছেন, এমত