তত্ত্ববোধিনী পত্রিক নহে, তিনি আমারদিগের আত্মাকে কত প্রকার বিল্প হইতে মুক্ত করিয়া তাহার অমৃত পথে কেমন অপে অম্পে লইয়া যাইতেছেন । যখন আমরা মোহবশতঃ র্তাহীকে ভুলিয়া বিষয়ের পশ্চাৎ ধাবমান হইয়াছি, তখন তিনি আমারদিগের মনে এই সত্য প্রদীপ্ত করিয়াছেন যে “তঁহাকে ছাড়িয় | সুখ নাই, শান্তি নাই, কেবলই বিযাদের ঘন অন্ধকার। ” তিনি কত সময়ে আমারদিগের হৃদয়ের গাঢ়তর মোহ-কবাট ভেদ করিয়! আমারদিগের আত্মাতে প্রকাশিত হইয়াছেন ও অামারদিগের নিজীব মনকে সজীব করিয় তাহার প্রেম-রসে রসিত করিয়াছেন । তিনি নিয়তই আমারদিগের মনে এৰূপ উন্নত ভােব প্রেরণ করিতেছেন ; যাহাতে আমরা সমূদয় কামন, আশ, ভরশা, বিষয় কইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া কেবল র্তাহাতেই অৰ্পণ করি ; কেবল তাহার কার্য্য বলিয়া বিষয় কার্যে প্রবৃত্ত হইয়া বিষয়-বাসন। বিষয়-যন্ত্রণ হইতে মুক্ত হই ও নিৰ্ম্মল শান্তি-সুখ ভোগ করি । তাহার করুণ। আমরা বিপদ সময়েও অনুভব করিয়াছি। তিনি যদিও অামারদিগকে কখন কখন বিপদ সাগরে পতিত করিয়াছেন ; কিন্তু তাহ। এই নিমিত্তে যে আমরা তাহাকে ডাকি ও প্তাহার শীতল আশ্রয় লাভ করি ; তিনি বিপদ-তরঙ্গে আপনি কাণ্ডারী হইয়া তাহার অভয়কুলে উত্তীর্ণ করিয়াছেন। তাহার করুণার কথা আর কি বলিব ? তিনি আমারদিগের পরম করুণাময় পিতা মাত, পরম স্বহৃদ,পরম আশ্রয়,পরম ধন ও পরম সুখের প্রস্রবণু; তিনি আমারদিগের অন্তিম পরম গতি, তিনি অমাদিগের চিরকালের সম্বল । হ ! আমরা কি তাহাকে ভুলিয়া থাকিব ? चांमग्ना वङ निब श्रख्ळांन श्शिांभ, ऊङ र्मिन তথ্যছকে জানিতে পারি নাই ; কিন্তু এখন ృ'సె ষখন তাহীকে জানিয়াছি তখন র্তাহাকে প্রাণ মন সমর্পণ করিয় তাহার প্রতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। কি আমাদের অত্যন্ত উচিত নহে ? শিশু সন্তান যত দিন অবোধ থাকে, তত দিন সে পিত। মাতার অকৃত্রিম স্নেহ কিছুই বুঝিতে পারে না ; কিন্তু সে প্রাপ্তবয়স্ক হইয়া পিতা মাতাকে জানিয়া শুনিয়। যদি তাহদের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা না করে, তবে কি তাহার গুরুতর প্রত্যবায় হয় না ? তবে আমরা অনন্ত পিত৷ পাতার করুণ। অমুভব করিয়াও যদি তাঁহাকে কায়-মনে-বাক্যে ভক্তি ও প্রীতি ন৷ করি, তবে কি আমরা তাহার অকৃতজ্ঞ পুত্র বলিয়া পরিগণিত হইব না ? হে বন্ধুগণ ! আমরা বিগত বর্ষে কত সময়ে তাহার স্মরণ মনন, র্তাহার মহিমা-প্রতিপাদক গ্রন্থ পাঠ, কত সময়ে সাধু সঙ্গ করিয়া আমাদিগের মলিন ভাব-সকল প্রক্ষালন করিয়া উন্নত ভাব ধারণ করিতে পারিতাম ; আমর কত সময়ে পরের অজ্ঞান ও দুঃখ বিমোচন প্রভৃতি কত শত প্রকার শুভানুষ্ঠানে নিয়োগ করিতে পারিতাম ; কিন্তু তাহ না করিয়া আমরা আমারদিগের ধন, সময়, বিদ্যা, বুদ্ধি, সামর্থ্য, কত বৃথ কৰ্ম্মে ক্ষেপণ করি য়াছি । আমরা বিষয়ের জন্য এৰূপ দীপ্তশিরা হইয়াছি, বিষয়-আরাধনায় এৰূপ নিমগ্ন হইয়াছি যে ঈশ্বর আমারদিগের পরমারাধ্য দেবতা না হইয়া বিষয়ই আমারদিগের দেবতা বলিয়া প্রতীয়মান হইয়াছে। আমরা কোথায় ঈশ্বরের জন্য, ধৰ্ম্মের জন্য, প্রাণ পর্য্যন্ত ত্যাগ করিতে অনায়াসে স্বীকার করিব, ন৷ আমির বিষয় লাভ বা লোকের অনুরোধে ঈশ্বর ও ধৰ্ম্ম হইতে ভ্ৰষ্ট হইয় অপথে পদার্পণ করিতে তাদৃশ সৰু, চিত হই নাই। আমরা স্বাৰ্থ অভিমান ও নিজ নিজ প্রবৃত্তি বিশেষের একপ বশস্বদ
পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৭
অবয়ব