文文 তে বিচ্ছিন্ন হইয়া তোমার নিকেতনের অভিমুখী হইতেছি । হে পিত। পাতা সুহৃৎ । তোমার যে কত করুণ! আমার উপর বর্ষণ হইয়াছে, তাহ। কখনই বিস্মৃত হইব না। হে পতিত পােবন । আমি যে সকল কুটিল পাপ করিয়াছি, তুমি তাহা সকলি জান । তোমার অমৃত ভাব প্রেরণ করিয়া আমার মলিন হৃদয়কে বিশুদ্ধ কর । অামাকে তোমার সঙ্গ করিয় লও। আমার এই অসহায় নিরুপ। য় অবস্থাতে তোমার প্রীতি যেন আমাকে উন্নত রাখে । অামার শরীরের সমুদয় স্ফুৰ্ত্তি অবসন্ন হ ইয়ছে ; এখানকার কিছুই আর আমাকে সান্তন দিতে পারে ম, এখানকার সকলি আমার নিকটে অঙ্গকরে হইয়াছে ; কেবল তোমার প্রসন্ন মুখ আমার নয়নের অালে। হুইয়াছে । সৰ্ব্বাত্মার সহিত তোমাকে প্ৰণিপাত করিতেছি । এ দুঃসময়েও তুমি আমাকে পরিত্যাগ কর নাই ; যখন আমার আর কেহই নাই, তখন তোমার হস্ত আমার মস্তকের উপরে রহিয়াছে । তুমি আমাকে অাশা দিতেছ যে কখনই পরিত্যাগ করিবে না ; কিন্তু অনন্ত কাল পর্য্যন্ত তোমার শীতল আশ্রয়ে রক্ষা করিবে । তুমি আমার চিরকালের ধন – চিরজীবন-মখ ; চিরকালের পিতা ও সুহৃদ আমার স্ত্রী পুত্র পরিবারদিগকে এক্ষণে তোমার ছন্তে সমর্পণ করিতেছি ; তুমি তাহদের সকলকে রক্ষণ কর । সংসার এখন আমার নিকটে অন্ধকার হইতেছে, অামি যেন তোমার অমৃত ধামে গিয়া জাগ্রত হই এবং তোমার প্রীতি ও আনন্দের মধ্যে বিচরণ করিতে থাকি । ঔএকমেবাদ্বিতীয়ং । so | i তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্মের তাৎপর্যা । ব্রহ্মবাদির বলেন। ব্ৰহ্ম-জ্ঞান -ৰূপ স্বৰ্গীয় অগ্নি সকলেরই হৃদয়ে নিহিত আছে, সকলের আত্মাতেই ব্রহ্মের স্বৰূপ ভাব ও মঙ্গল অভিপ্রায় অবিনশ্বর অক্ষরে লিখিত আছে; বিশ্ব-ৰূপ কার্য্যের আলোচনা দ্বারা তাহ প্ৰজ্বলিত করলেই জ্ঞান-নেত্রের প্রত্যক্ষ হয় । তিনি আপনার বিশুদ্ধ মঙ্গল-স্বৰূপ এই তাবৎ ভৌতিক পদার্থে এবং মনুষ্যের মানস পটে মুদ্রিত করিয়। রাখিয়াছেন । যে সকল ভাগ্যবান সদৃদ্ধি-সম্পন্ন নিষ্পাপ যত্নশীল মহাত্মার। তাছ। প্রতীতি করিতে সমর্থ হইয়াছেন, তাহারাই ব্রহ্মবৎ এবং র্যাহার এই ৰূপ প্রতীতি করিয়। উপদেশ করেন, তাহার। ত্রহ্মবাদী | ব্রহ্মলিং ও ব্রহ্মবাদী হইবার জন্য দেশ বিশেষ কি কাল বিশেষ কি জাতি বিশেষের অপেক্ষ । নাই | সকল দেশীয় ব্রহ্মবাদি দিগেরই ব্রহ্ম-বিষয়ে উপদেশ দিবীর অধিকার কাছে । ভারতবর্ষের পূৰ্ব্বতন ব্রহ্মবাদী ঋষির ব্রহ্মবিষয়ে যে সকল যথার্থ তত্ত্ব ও আত্মপ্রত্যয়-সিদ্ধ উপদেশ করির গিয়াছেন, তাহাই এই ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মের প্রথম খণ্ডে সংকলিত হইয়াছে; অতএব ইহার প্রথমেই আছে, যে "ব্রহ্মবাদির বলেন”। ব্রহ্মবাদির কি বলেন, তাহ পশ্চাৎ ব্যক্ত হইতেছে । , R. যাহা হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হয়, উৎপন্ন হইয়। য - হার দ্বারা জীবিত রহে, এবং প্রলয় কালে যাহার প্রতি গমন
পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯০
অবয়ব