বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ২৩ করে ও যাহাতে প্রবেশ করে ; পন্ন হইয়। আনন্দ স্বৰূপ ব্ৰহ্ম কতাহাকে বিশেষ-ৰূপে জানিতে "ক জীবিত রহে, এবং প্রলয় ইচ্ছ। কর, তিনি ব্রহ্ম । যাহা হইতে এই সমুদায় বস্তু হুষ্ট হইয়ছে, এবং র্যাহাকে আশ্রয় করিয়া তাহার। সকলে স্থিতি করিতেছে, এবং র্যাহার ইচ্ছা হইলে তাহারদিগের এক কণমাত্রও থাকিতে পারে না ; তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই সত্য, তিনি ই অামারদিগের প্রভু। সেই সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর সত্য-কাম ও সত্য-সংকল্প ; তিনি যাহ। ইচ্ছা করেন, তাহাই হয়। যে পূর্ণ পুরুষের শক্তি হইতে এই সকল বস্তু উৎপন্ন হইয়। স্বীয় স্বীয় শক্তি লাভ করিয়াছে, যদি তিনি তাঙ্কারদিগকে সংহার কfরবার ইচ্ছা করেন, তবে স্বীয় স্বীয় শক্তি মহিত সেই সমুদয় বস্তু তাহার শক্তিতে লয় হইয় তাহতেই পুনৰ্ব্বার গমন করিবেক, তাহারদিগের চিহ্নমাত্রও কুত্রাপি দৃষ্ট হুইবেক না । স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্ত। কেবল একমাত্র পরমেশ্বর । আমরা কতকগুলি বস্তু প্রাপ্ত হইলে তাহারদিগের গুণ অবগত হইয়া এবং তাহারাদগকে উপযুক্ত মত সংযোগ করিয়া কোন এক অপূৰ্ব্ব যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করিতে পারি বটে, এবং তাহাকে পুনৰ্ব্বার অনায়াসে ভগ্ন করিতেও পারি ; কিন্তু আমারদিগের এমত শক্তি নাই, যে আমরা এক রেণু বালুকাকে স্বষ্টি করিতে পারি অথবা এক রেণু বালুকণকে ধংশ করিতে পারি। স্বষ্টি স্থিতি প্রলয়ের শক্তি । কেবল একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বরেতেই আছে । * (مN আনন্দ-স্বৰূপ পরব্রহ্ম হইতে এই ভূত-সকল উৎপন্ন হয়, উৎ } কালে তানন্দ-স্বৰূপ ব্রহ্মের প্রতি গমন করে ও তণহাতে প্রবেশ করে । এই স্বটি স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্ত নির্বিশেষ পরমেশ্বরের কোন বিশেষ নাম নাই । যে সকল পূৰ্ব্বতন ব্রহ্মবাদির। আপনার অন্তরে সেই নিরতিশয় মহান সৰ্ব্বব্যাপী সৰ্ব্বগত পুরুষকে সাক্ষাৎ অনুভব করিয়া তজনিত বিমলানন্দ উপভোগ করিয়াছেন, তাহার। তাহকে আনন্দ স্বৰূপ বলিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন । আমরাও যখন সেই প্রেমম য়ের প্রেমে মগ্ন হইয়। আনন্দ রসে দ্রব হই, তথন আমরাও কঁহাকে আনন্দ-স্বৰূপ বলিতে থাকি ! মানের সহিত বাক্য য হাকে ন। পাইয়। যাহা হইতে নিবৃত্ত হয় ; সেই পর ব্রহ্মের তানন্দ যিনি জানিয়াছেন, তিনি আর কাহা হইতেও ভয় প্রাপ্ত হন ন । সেই অনন্ত জ্ঞান-স্বৰূপ পরমেশ্বর পরিমিত বস্তু নহেন, তিনি জড়ও নহেন এবং মনও নহেন, অতএব মন তাহাকে গ্রহণ করিতে পারে না ; মন যদি তাহাকে গ্রহণ করিতে না পারিলেক, তবে বাক্যও সুতরাং তাহাকে বলিতে পারে ন৷ ৷ মন তাহাকে মনন করিতে গিয়। নিবৃত্ত হয় এবং বাক্য র্তাহাকে বর্ণনা করিতে গিয়া নিরস্ত হয় । সেই অনস্ত পুরুষকে কেবল মনের মন, ৰাক্যের বাক্য ৰূপে, সকলের চেতনাবান, কারণ ও অগ্রয় ৰূপে, নির্দেশ করা যাইতে