পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

öዓ সৰ্ব্বনিয়ন্ত পরমেশ্বরের ইচ্ছার অনুগ- উপরে থাকে, আর আমি নিজে যদি অন্ধ ত হইয় অগ্নি উত্তাপ দিতেছে, স্থৰ্য্য প্রকশ পাইতেছে; মেঘ বারি বর্ষণ করিতেছে, বায়ু সঞ্চালিত হইতেছে, এবং মৃত্যু বিক্ষিত চইতেছে ; কোন পদার্থ তাঙ্কার ইচ্ছ, তঁ,হার শাসন, অতিক্রম করিতে পারে না ; চন্দ্র সুর্য, গ্ৰহ নক্ষত্র, জল বায়ু, ইহার জড় পদার্থ হইয়াও র্তাঙ্কার কয়ে স্ব স্ব কৰ্ম্মে ধাবমান হইতেছে । ইতি প্রথম খণ্ডে দ্বিতীয় অধ্যায় । ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান । কলিকাতা স্ত্ৰ ক্ষীসম{জ } ৭ অ গ্রহ iয়ণ পূব 1র ১৭৮২ শক । রহিমাছে ऽिनि এই সমুদয় সংসারের জ্যোতির জ্যোতি । প্রভাকর প্রভা কোথা হইতে পাইল ? এ জগৎ সংসার জীবন ও সুখে কোথা হইতে পূর্ণ হইল ? এ সকলেরই কারণ সেই আদি কারণ মুলাধার পরমেশ্বর। বাহিরে, অন্তরে; নিজনে সঙ্গনে ; পৰ্ব্বতে সমুদ্রে ; সৰ্ব্বত্রই তাহার প্রকাশ দীপ্যমান রহিয়াছে । অন্ধকার র্তাস্থার আবির্ভাবকে তিরোভাব করিতে পারে না । জ্ঞান-চক্ষু উন্মীলন করিলেই সহজে তাহাকে দেখিতে পাই, আত্মাকে নিৰ্ম্মল করিলেই উীহার উপদেশ-বাক্য শুনিতে পাই, মনকে পরিশুদ্ধ করিলেই উছার গোস্বাদন করিতে পারি। আমরা কেবলঞ্জগন্নাকে মলিন করিয়া তাছা,হইঙ্গে দুষ্ট্রপঞ্জি ; আমরা নিজে যখন , 曾獻 | | | | | থাকি ; তবে সেই শত সহস্ৰ লোকের দৃষ্টি অনুভব করিত্বে পারি না, মনে করি এককাঁই আছি । কিন্তু ঈশ্বরের দুটির নিকটে শত সহস্ৰ লোকের দুটিই বা কি ? যে দৃষ্টি সমুদয় জগৎ সংসারের উপর বর্তমান রক্রিয়াছে, অামারদের সকলের আত্মার অন্তরতম গুঢ়তম প্রদেশেও যে দৃষ্টি নিপ তিত রহিয়াছে, “দগ্ধেস্কনমি নল' পরমে শ্বরের সেই সৰ্ব্বত্র প্রসারিত অতুল উজ্জল দুটিও আমরা দেখিতে পাই না । কি প্রকায়েই বা পাইব ? গুড় কি কখন চেত্তমকে দেখিতে পায় চেতনাই চেতনকে দেখিতে পায় । অমর জড়েঃ ন্যায় জড়ীভুত থাকিয়া, ষিল সকল জগতের দ্রস্ট{ জ্ঞ মস স্ন অমৃত, সকল জগতের প্রাণ, সেই ময় পুরুষের প্রতি অন্ধ থাকি, তাহর জ্যোতি সকল স্থানেই প্রকাশ পাইতেছে, তাহা অামর। দেখি না ; তাছার মঙ্গল নিনাদ সকল স্থান হইতে ই নিঃসারি: ' তেছে, তাই আমির শ্রবণ করি না । কি প্রকার মেহি ? আমারদের এ ও কার মোহ কেন উপস্থিত হয় ? আমরা কি প্রক4. রে এমন হত-জ্ঞান হই যে ক্ষুদ্র মনুষ্যকেও যেমন ভয় করিয়া চলি, সেই ক্ষ সূর্যামী পুরুষের সাক্ষাতে কুকৰ্ম্ম করিতে যে প্রকারও ভয় করি না । অামারদের এ কি বিপত্তি, এ কি দুর্ভাগ্য। হে পরমাত্মন! এই সকল তুর্ভাগ্য ও বিপত্তি হইতে অমরদিগকে উদ্ধার কর। আমারদের সমূদয় জীবনের সঙ্গে তোমার যোগ রক্ষ কর । সকল সৌন্দর্ঘ্যের আকর যে তুমি—সকল মঙ্গলের একায়তন যে তুমি, তোমার প্রতি আমারদের আত্মাকে উন্নত কর, মন যেন তোমা । ভিন্ন আর কোন দিকে না যায়, তুমি বিন আর অামারদের গতি নাই! তোমার $1