তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা একটা বিকটাকৃতি প্রতিমাকে অৰ্চনা করি, ডেছে । প্রতিমার প্রতি অবলোকন করিলে পর বোধ হইল যেন তাহাতে মনুষ্য হৃদয়ের রিপুগণ মুৰ্ত্তিমান হইয়া আবির্ভূত হইয়াছে, এবং এক এক ব্যক্তি তাহাকে এক এক ভাবে অৰ্চনা করিতেছে । কেহ তাহাকে কামের আহুতি প্রদান করিতেছে, কেহবা ক্রোধের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়া তাহার পূজা করিতেছে ; কেহ প্রতিমার সম্মুখে স্তু পাকার রজস্ব কাঞ্চন রাখিয়া ভক্তি ভাবে উপাসনা করিতেছে । অপর কতিপয় পূৰ্ব ব্যক্তি অলক্ষিত ভাবে অস্তে অস্তে প্রতিমার পদতলে সকলকে শু স্থল বদ্ধ করিতেছে । এই প্রতারকগণ, উপসকেরা যাই। কিছু অনিয়াছিল, একে একে সকলই অমসাৎ করল । ইহাতে তাহারা যাঙ্ক রিদিগকে কিঞ্চিৎ রোষ প্রকাশ করিতে দেখিল, তাহাদিগকেই তৎক্ষণাৎ স্বহস্ত লিখিত এক এক খানি গ্রন্থ দেখা ইয়া নিরস্ত করিল । প্রতিমার পশ্চাৎভাগে আমাদের নলা সাম্প্রদায়ের কতিপয় ব্যক্তিকে দেখিव्लोन्न । ऊाङ्ज्ञ श्रष्ट झ ५ ब्लड़ेश अखुल्लाट्ञ থাকিয়। প্রতিমাকে ভাঙ্গি বার নিমিত্ত অঘাত করিতে ছিল । কিন্তু বোধ হইল যেন তাহার নিতান্ত ভয়ের সহিত এই কাৰ্য্য করিতেছে । তাহীদের আচরণ দেখিয়া আমি হাস্য সম্বরণ করিতে পারিলাম না । তাহার কখন সাহস পুর্বক প্রতিমা ভাঙ্গিতে উদ্যত হইতেছে ; কখন বা ভয়ে পলায়ন করিতেছে; কখন বা কপট ভক্তি প্রদর্শন পুৰ্ব্বক প্রতিমার পদতলে পতিত হইতেছে। তাহাদের মুখাবলোকন করিলে কেবল একটি শূন্য ভাব মাত্র দেখিতে পাওয়া যায়। নগর দিবা রজনী চন্দ্রতপে ゞ○ ময় হইয়া ছিল, এই হেতু কাহাকেও হঠাৎ চিনিতে পারি নাই | এইৰূপ চন্দ্র। তপঃ আচ্ছাদন করিবার কারণ জিজ্ঞাসা করাতে জানিলাম যে নগরবাসীগণ কেহই আলোক সহ্য করতে পারেন না । অপর কেহ কেহ কহিলেন যে পাছে প্রতিমার কোমলঙ্গ স্থর্য-কিরণ-তাপে গলিয়া যায়, এই হেতু ই উক্ত চন্দ্র তপ মস্তকে পরি বিস্তাঁর ত হই য়ছে । যাহহিউক নগর-ময় অন্ধকার হওয়াতে পূৰ্ব্বোক্ত নব্য সম্প্রদায়গণ তাহু!দের পথ দেখিতে ন প চয় ও তাধিকতর উৎকণ্ঠিত ও অস্থির-চিত্ত হু ইয়ছিল । কিন্তু হঠাৎ দেখিলাম পশ্চিম প্রদেশ হইতে অ? লোক কিরণ নগর মধ্যে প্রবিষ্ট হইল । নবীন যুবক দল সেই আলোক পাইয়। উল্লসিভ চিত্ত্বে সুপ্তোথিতের ন্যায় উত্থিত হইল । এই সময়ে সহসা চন্দ্ৰাতপ অন্তরিত হইল, সুবিমল আলোকে নগর আলোকিত হইল ; প্রতিমা আলোকের উত্তাপে ভস্মীভূত হইল, চতুর্দিক স্বৰ্গীয় মোরভে পরিপুর্ণ হই ল, এবং দূর হইতে তেজঃপুঞ্জ কলেবর এক মহ। পুরুষ ধীরে ধীরে প্রবেশ করলেন । র্তাহার পবিত্র ভাব, শাস্ত মুৰ্ত্তি এবং সচ্ছাস বদন দেখিয় নব্যগণ ব্যগ্র ভাবে তাহার সম্মখে আসিয়া ভক্তি ভাবে দণ্ডায়মান হই ল। অন্ধকারপ্রিয় ব্যক্তিগণ র্তাহার জ্যোতিয়ান বপুঃ দর্শনে অধীর হইয় প্রথমে পলায়ন করিল । কিন্তু পরিশেষে সকলেই অসিয় তাহার শরণাপন্ন হইল । জন কোলাহল একেবারে নিস্তব্ধ হইল এবং সেই মহা-পুরুষ “ একমেবাদ্বিতীয়ং ” এই মহ। বাক্য উচ্চারণ কfরলেন, তৎক্ষণাৎ “একমেবাদ্বিতীয়ং” অ{কাশ হইতে ও প্রতিদ্বনিত হইল এবং সকল লোকে তাহ উচ্চৈঃস্বরে পুনরায় উচ্চারণ করল । নগরের কৃত্রিম ভাব আচ্ছাদিত ছিল, তদ্বার। চতুর্দিক অন্ধকার | দুরীভুত হইল যাহদের পরস্পর শত্র
