ᎼᎼ8 ভাব ছিল, তারা পুনরায় প্রণয় বন্ধনে বদ্ধ হইল । সকলেই ভ্ৰাতৃ ভাবে একত্র হইয়। উচ্চৈঃস্বরে ব্রহ্ম সঙ্কীৰ্ত্তন করিতে লাগিল । বোধ হইল যেন সকলে পুনর্জীবন ধারণ করয়াছে । শোক দুঃখ বিযদি সকলই আন্তরিত ক ইয়ছে এবং কেবল চতুর্দিকে বিমলানন্দের উৎস উৎসারিত হইতে দেখিলাম ! আমিও এই উৎসবে উৎসব যুক্ত হইয়। সেই মছা পুরুষকে ধন্যবাদ দিতে উদ্যত হইলাম। এমত সময়ে আমার নিদ্র ভঙ্গ হইল । স্বপ্নে যা কল্পনায় এক্ষণে যাহ। প্রত্যক্ষ হইল, তাহ নিতান্ত অসম্ভব নহে। বোধ হয় ত{হ ঈশ্বর প্রসাদে এদেশে শীঘ্রই উপস্থিত
- স্থা হ’লে |
অস্মদেশে বিদ্যশিক্ষার উন্নতি সাধনের বিঙ্কিত উপায় স্থির করবার জন্য গ অশ্বিন বৃহস্পতিবার ব্রহ্মদিগের যে বিশেষ ল, তাহার কার্য বিবরণ নিম্নে উদ্ধ ত করা গেল ক্ত যাদবচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের পোষ কতীয় শ্ৰীযুক্ত বৈকুণ্ঠ নাথ সেনের প্রস্তাবে সৰ্ব্ব সম্মতিতে ঐযুক্ত স্যামাচরণ সরকার সভাপতি স্থা হলেন । সভাপতি সংক্ষেপে সভ}র উদেশ্য ব্যক্ত ক ললেন ও తేళ్లా দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের অনুপস্থিতি জন্য আক্ষেপ করিয়৷ কহিলেন যে তিনি অদ্য উপস্থিত থাকিলে এই সভা দেখিয়া কত আনন্দিত হইতেন ও উৎসাহজনক বাক্য দ্বার। সকলেরই মনে কত উৎসাহ বিধান করিতেন । পরে ব্রহ্মসমাজের সম্পাদক যে সকল কারণে এই সভা আহবান হয়, তাহ বলিয়া নিউমন সাহেব বিল ত হইতে ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদক দিগকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাঙ্কার কিয়দংশ পাঠ করিলেন। তাহার 5 > ア Ç அ ஆr_ _ன் སྣབ་སེམས་ཁུག ༢༩ ཡྀད་མཁ স হ হ হয়tiছ l তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ভাব এই, যে এদেশে বিদ্যাশিক্ষার উন্নতি জন্য যদি ব্রাহ্মসমাজ ইংলণ্ডস্থ ইংরাজ মহোদয়দিগের নিকটে আবেদন করেন, তবে তিনি সেই আবেদন পত্র সাধারণের গোচর করিয়া সকলের সাহায্য প্রার্থনা করিবেন । অনন্তর শ্ৰীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেন দ্বিতীয় প্রস্তাব ধার্য্য করিবার জন্য উঠিয়া বলিলেন, প্রথমেই অনেকের মনে এই প্রশ্ন উদয় হইতে পারে যে এতদ্দেশে বিদ্যাশিক্ষার উপায় স্থির করিবার জন্য ব্রাহ্মসম" কেন অগ্রসর হইলেন । যাহার। ব্রাহ্মসমাজের বিগত ইতি বৃত্ত আলোচনা করিয়া দেখেন, তাহদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞাস করিবার অধিকার অাছে, কারণ ব্রহ্মসমাজ এখনো পর্য্যন্থ সাধারণের হিতজনক বিষয়ে তেমন আগ্রহের সহিত যোগ দেন নাই । কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উদার ভাব ও মহান উদ্দেশ্য র্যাহাদের হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে, তাহীরাই জলিতেছেন যে কেন আজি মামর। এখানে একত্র হইয়াছি । ব্রহ্মধৰ্ম্ম কেবল স্তুতিপীঠ মাত্র নহে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কেবল ক্ষণস্থায়ী ভাব নহে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কেবল মনের বিশ্বাস নছে, কিন্তু সমুদয় জীবনের উপর তঁহার অধিকার । ত্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শরীরে বল বিধান করেন, আত্মাতে বিশ্বাস ও মঙ্গল ভাব প্রেরণ করেন, প্রীতিকে হৃদয়ের রাজা করেন, এবং ইচ্ছাকে ঈশ্বরের মঙ্গলময়ী ইচ্ছার অধীন করেন- ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যদি প্রীতির ধৰ্ম্ম হয় এবং তাহা যদি আমাদের হৃদয়ে প্রবিষ্ট হ ইয়া থাকে; তবে যেখানে যে প্রকারেই হউক, দেশের যাহাতে মঙ্গল হয়, আমরা তা তুে আনন্দিত হইব ; এবং যাহার। সেই মঙ্গল সাধনে তৎপর তাহীদের সঙ্গে আমরা যোগ দিব । বিধবা-বিবাহ প্রচলিত হইবার উপায় স্থির হউক বা জাতি ভেদ বিনাশ করিবার কল্পনাই হউক, ব্রাহ্মেরা তাহাতে যোগ দিতে সৰ্ব্বাগ্রে ஆ