বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f جناطيسي r ** H t هما: i d t * * l i g t", لم يلج I ,可。 to: * * . স্থাবস্থা এক্ষণে কেমন স্পষ্ট ৰূপে মৃত্যুর পূৰ্ব্বাভাস । প্রদর্শন করিতেছে । যখন আমি সৌভাগ্য পদবীতে অাৰূঢ় ছিলাম, তখন বিষয়-ভোগ-মুখে নিয়ত অভিভূত ছিলাম ; স্বত্ম-লি স্থত হইয়। তখন কতই পাপাচরণ করায়াছি—রিপু-সকলকে প্রবল করিয়াছি । কি স্তু এখন দুঃখের সময়ে আমি সেই স ক ল বিষয় হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছি। যে সকল বস্তু আমার পরম প্রেমণস্পদ ছিল, তা । আমাকে পরিত্যাগ করিয়া দুরে গমন করিয়াছে । এক্ষণে বজাহত শুদ্ধ পাদপ-কন্ধের ন্যায় একাকী পতিত রহিয়াছি, এক্ষণে স্বপ্ন-ভঙ্গ প্রাপ্তচেতন পুরুষের ন্যায় আমি পূৰ্ব্বাবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কেবল আপনাকে ঘৃণা করিতেছি, আমার ভয়ানক পাপের বিষয় চিন্ত করব। মাত্র জ্বলন্তানলের ন্যায় অনুশোচনী আসিয়া আমার অন্তর দাহ করিতেছে । প্রবৃদ্ধ রিপু-সকল এক্ষণে স্বস্ব বিষয় না পাইয়। আমাকে পীড়ন করিতেছে। পুৰ্ব্বে বিষয় কোলাহল মধ্যে থtকিয়া অন্তরের প্রহরির বাক্য আমি শ্রবণ করি নাই, কিন্তু এক্ষণে সে অামাকে তিরস্কার করিতেছে এবং আমার পুঞ্জীকৃত পাপ এতিক্ষণ স্বৰূপ অবশ্যম্ভাবী শাস্তির পরিচয় প্রদান করিতেছে । মৃত্যুও এই ৰূপে বিষয়তোগে মুহমান ব্যক্তিকে চেতন প্রদান করে | সংসারে ভুলিয়া থাকি, তাহ মৃত্যুর পর চিরকালের নিমিত্তে আমাদের নিকট হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। তখন আত্মার মোহ নিদ্রা ভঙ্গ হয়, তখন সে মাপনার প্রকৃত অবস্থা দেখিতে পায় ;কিন্তু তখন বিষয়াসক্ত ইক্সিয়াসক্ত ব্যক্তির কি বিষম ফুরৰস্থ, তখন লে আপনার পুঞ্জীকৃত দুষ্কতি দেখিয়া হ: ছংশ হয়, তাছার রিপুসকল उथम श्रांज़ যে সকল বিষয় লইয়া আমরা। ఇes স্বস্ব বিষয় না পাইয় কেবল তাহাকে অসন্ত ঘন্ত্রণ দিতে থাকে। তাছার প্রবল বিষয় তৃষ্ণ আর চরিতার্থ হইতে না পারিয়া কেবল অমুখের কারণ হইয়া উঠে, তখন তাহার কেহ সহায়ও থাকে না, সঙ্গীও থাকে না, তখন সে কেবল একাকী স্বীয় পাপের প্রতিফল স্বৰূপ ভয়ানক দণ্ড ভোগ করে । সেই অবস্থাই তাহার নরক । হা ! দুঃখের সময় আমাদের কি অমূল্য শিক্ষার সময় ? মৃত্যু কি আমাদের পুরম গুরু ? আমার এই সাংসারিক छर्शक्कै নিমিত্ত আমি আর অtক্ষেপ করি না । আমি ইঙ্গাকে প্রীতির সহিত আলিঙ্গন করিতেছি । ইহা পৃথিবীর প্রচুর ধন রত্নাপেক্ষ। উচ্চতর শ্রেষ্ঠতর জ্ঞান রত্ন আমাকে প্রদান করিয়াছে, আমার অস্বতমসাবৃত কলুষিত হৃদয়ে সত্যের জ্যোত্তি প্রেরণ করিয়াছে, আমার পশুবৎ মুগ্ধ চিস্তুকে সেই পরম দেবতার প্রতি উন্নত করিয়াছে। হা ! যে সকল অমূল্য সনাতন সত্য অামার মনে কখনই উদ্দীপ্ত হয় নাই, তাহা যেন এক্ষণে অকস্মাৎ আমার অন্তঃকরণে প্রতিভীত হইহে ছে । হা ! কে অtমার চির দূষিত কঠিন হৃদয়কে আদ্র। করিল ? কে আমার শুষ্ক মানস পদ্মকে বিকলিত করিল ? কে অামার চির মুদিত জ্ঞান চক্ষুকে উমীলিত করিল । সেই পতিতপাবন, র্যাহার মেচিন্ত্য করুণা সম্পদের পরি বৰ্ত্তে মহৌষধ স্বৰূপ এই দুঃখ আমাকে প্রেরণ করিয়াছে, সেই পতিত-পাবনই-আমীর আত্মাকে মোহ-নিদ্র। হইতে সচেতন করিয়াছেন । 哆 হা ! আমি তাহাকে ভুলিয়া ছিলাম কিন্তু তিনি কদাপি আমাকে বিস্মৃত হল নাই । তিনি স্বীয় পুত্রগণকে আশ্রয় দিরার নিমিত্ত সৰ্বদ হস্ত প্রসারিত করিয়া রাখিয়াছেন ।