পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ s৪ হে অস্কর্যামী পরমেশ ! তুমি আমার অস্তরের প্রত্যেক ভাব জানিতেছ, আমার জীবনের কোন ঘটনাই তোমার অগোচর নাই । আমি এক্ষণে চিরামুষ্ঠিত পাপে মলিন ও বিকৃত হৃদয় হইয়া তোমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইতেছি । তুমি আমাকে তোমার আশ্রয় প্রদান কর । তোমা ব্যতীত আর কে আমাকে উদ্ধার করবে। সংসারের কোন বস্তুই আমার এই পাপ-ভার মোচন করিতে সক্ষম নহে। হা ! সংসারেই বা আমার কি আছে ? অামাকে সকলেই পরিত্যাগ করিয়াছে, যে সম্পদ লইয়। আমি গৰ্ব্বিত ছিলাম, তাহাও পলায়ন করিয়াছে । এক্ষণে দিন যামিনী অনুশোচনায় আত্ম। ক্রমশ অবসান্ন হইতেছে । হ1 ! সম্পদের সময় কেমন উন্মত্ত ছিলাম, তখন একবার তোমাকে স্মরণ করিবারও অবকাশ ছিল না । কিন্তু যাহার তোমাকে পরিত্যাগ করে, তাহার কেবল দিন দিন দুৰ্গতির পথে গমন করিতে থাকে | হে নাথ ! তুমি যে আমাকে সেই সম্পদ হইতে পরিচুত করিয়াছ, তাহার নিমিত্ত তোমাকে ধন্যবাদ প্রদান করি । আমি আর সাংসারিক সুখের প্রার্থী নচি, কিন্তু যাহাতে তোমার মঙ্গল মূৰ্ত্তিকে দেখিতে পাই, যাহাতে তোমার করুণার উপযুক্ত হইতে পারি, তুমি অামাকে সেই পথে লইয়া যাও । কিন্তু হায় ! আমি কি প্রকারেই বা তোমার করু. ণার উপযুক্ত হইব । আমি যে সকল ভয়ানক পাপীচরণ করিয়াছি, তাছার নিমিত্ত অামি কিৰূপে তোমার নিকটে মাজন। চাহিব-—আমার জীবন পাপ চিন্তা—পাপলাপ—পাপানুষ্ঠানেই পর্যসিত হইয়াছে, আমার আত্মা পাপের প্রস্রবণ স্বৰূপ হইয়া ছে। পৃথিবীতে অমিয়। আমি কি করিলাম? তোমার মঙ্গলময় রাজ্যে কেবল অমঙ্গল তৰবোধিনী পত্রিকা বিস্তার করিয়াছি, পাপের স্রোপ্তকে বা করিয়াছি, তোমার প্রজা হইয়া ঃে বিদ্রোহাচরণ করিয়াছি। ছা ! ংে উদ্যত বঙ্গ যে আমাকে এত দিন একেব। ধ্বংস করে নাই, ইহা কেবল তোমা করুণা—তোমারই সহিষ্ণত মাত্র। নাং আমি অকৃতজ্ঞ পাষণ্ড হুইয়া তোমার কা শার কথা কি কহিব ? তুমি যে আমাt দুঃখ প্রেরণ করিয়াঙ্গ, তাহা সম্পদ হইে অধিক করিয়া জানি ছি, কারণ তা আমার মুস্থ মান আত্মাক তোমার প্রী উন্নত করিয়াছে । হে পতিতপাবন ! আমি এই প্রণত হৃদয়কে এক্ষণে তোমার পবি জ্যোতি দ্বার। আলোকিত কর, অামা | পাপ ভার মোচন কর, যেন আমি व। ८ज्रांमा इहे८ङ *द्रिकूङ ब इई । आम কি সাধ্য যে আমি পাপী সক্তিকে भ्रमं করিতে পারি, কিন্তু তুমি আমাকে প্রলে ভন হুইতে রক্ষা কর, তুমি আমার হৃদী রাজ্যের অধীশ্বর হও, তোমার বলে ਬੋ য়ান হষ্টয়া যেন তোমার ধর্মের পথে পদ পণ করিতে পারি । বৈদিক ধৰ্ম্ম ও বৈদিক আচা ব্যবহার । । ২২৩ সংখ্যক পত্রিকার ১৮৯ পৃষ্ঠার পর। পুৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে সমুদায় ে দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যথা মন্ত্র এ ব্রাহ্মণ । এই দুই খণ্ডের পরস্পর এ অধিক প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যায়,d তাহার। ষে কদাপি এক সময়ের রচনা না তাহা নিঃসংসয়ে বল। ষাইতে পারে বেদের মন্ত্র বা সংহিতা খণ্ড কেবল খৰি দিগের স্তোত্র সমুদ্ৰায়েতেই পরিপূর্ণ। ঋষ্টি গণ, ইন্দ্র বরুণ অগ্নি আদিত্যাদি দেধষ্ঠা