বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক । তে সন্মিলিত । পিতার ন্যায় তিনি আমাদিগকে পালন করিতেছেন,-আমাদের শরার মন ও আত্মাকে সৰ্ব্ব প্রকার বিম হইতে রক্ষা করিতেছেন এবং আমাদের জীবনের সমুদয় কাল অতি যত্নের সহিত আমারদিগকে শিক্ষা দিতেছেন । মাতার ন্যায় তিনি আমাদের স্বখের জন্য ব্যস্ত রহিরছেন । মাত যত প্রকার কৌশল করিয়া লপন শিশু সন্তানের তুষ্টি সাধনে তৎপর থাকেন, অামাদিগকে সুখী করিবার জন্যও তুম্বরের সেই প্রকার যত্ন । মাতার নিশ্চল প্রেম মনে উদিত হইলে অবাধ্য অসৎ পুলের মনও যেমন গলিত হয়, ঈশ্বরের এই মাতৃভাব এই সুকোমল বাৎসল্য ভাব স্মরণ হইলে পাষাণ হৃদয়ও আদ্র। হইতে থাকে । অতি সামান্য বিষয়েও আমাদের সুখের জন্য ঈশ্বরের যে প্রকার যত্ন, ভtছ মনে করিলেই তাহার মাতৃস্নেহ বু, ঝিতে পারবে যে সকল স্থলে আমাদের কেবল আভাব ক্লেশ নিবারণের জন্যই কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হুইতে হুইত, তহ্যতেও তিনি সুখের সংযোগ করিয় দিয়াছেন; আহার পান নিদ্রা ব্যায়াম, এ সকলেতেই আমরা সুখ লাভ করেতেছি । কেবল ক্ষুধার ক্লেশ নিবারনের জন্যই আমাদের অন্ন সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইতে হইত; কিন্তু তিনি ক্ষুধা শান্তির সঙ্গে আশ্চর্য্য সুখের সংযোগ করিয়া দিয়াছেন । অামাদের প্রত্যেক ইন্দ্রিয় এক একটি সুথের প্রস্রবণ স্বৰূপ । শোভা সঙ্গীত সৌগন্ধ স্পর্শ আরাম ব্যায়াম এ সকল হইতেই বিচিত্র প্রকার মুখ নিস্তান্দিত হইতেছে । সুমধুর সঙ্গীত স্বরের সঙ্গে আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয়ের যে আশ্চর্য্য সম্বন্ধ, তাঙ্কই এক চমৎকুণর ব্যাপার; অনন্ত শ্ৰী ও সৌন্দর্য্যে বিভুষিত এই যে স্থ্যলোক ও ভুলোক,তাহ আমাদিগকে কত প্রকার সুখে সুখী করিতেছে । ঈশ্বর আমাদিগকে শোভা ও সঙ্গীত স্বর গ্রহণ করিবার শক্তি কেন দিয়াছেন ? ইহাতে শুদ্ধ আমাদের মুখ ভিন্ন আর কি অভিসন্ধি প্রকাশ পাইতেছে ? একটি সুকোমল পুষ্পের মধ্য দিয়া স্তাহার মাতৃ ভাব

i * (tヘう কি আশ্চৰ্য্য ৰূপে প্রকাশ পায় । পুষ্পট এদিকে কেমন সুকোমল ; তাহাই আবার কঠোর বাতাঘাত সহ্য করিয়া জীবিত থাকিতেছে ; ঈশ্বরের মাতৃভাব ও পিতৃভাব এ দুইই যেন পুষ্পেতে মুৰ্ত্তিমান রহিয়াছে। তিনি আমাদের জন্য পুষ্প হুজন না করিলে আমরা কি জীবিত থাকিতে পারিতাম না? যুতী যাতী মল্লিকা নবমল্পিক গোলাব গন্ধরাজ ব্যতীতও আমরা এখানে থাকিতে পারিতাম । পুষ্পের শোভা ও সৌগন্ধ আমাদের বা অন্য জীবের কি কার্য্যে আইসে ? তবে ঈশ্বর এমন উজ্বল সুকোমল পুষ্পের স্বজন করিলেন কেন ? তিনি মনুষ্যকে পুষ্পময় উদ্যান করিবার ক্ষমত দিয়াও আবার বনকে ফলে ফুলে সনাথ কেন করিলেন ? অামাদিগকে কি সুখী করিবার জন্য নয় ? আমরা তাহার স্বাক্টর সৌন্দর্য্য দেখিয় প্রফুল্লিত হই ; প্রতি পদ-প্রসারণে র্তাহার অপর স্নেক ও প্রেম দেখিয় তাহাকে মনে করি ; র্তাহার কি এমন অভিপ্রায় নয় ? তাহার এই সমস্ত কৰুণা স্মরণ করিয়া আমাদের হৃদয় কি প্রফুল্ল হইবে না ? অামাদের নেত্ৰ কি প্রেমাঙ্গতে পূর্ণ হইবে না? - ঈশ্বর অামারদিগকে ইন্দ্ৰিয়-জনিত বিজ্ঞান-জনিত প্রেম-জনিত ধৰ্ম্ম-জনিত কত প্রকার সুখে সুখী করিয়াছেন, তাহ কি বলিব ! ঈশ্বরের প্রেম দৃষ্টি হইতে আমর। যদি ক্ষণকালের নিমিত্তে বঞ্চিত থাকি, তাহ। হইলে আমাদের দশ। কি কয়, একবার ভাবিয়া দেখ । ঈশ্বর যে নির্দয় নিষ্ঠুর পুরুষ, তিনি যে আমাদের উপরে প্রতিক্ষণে ক্লেশের বাণ নিক্ষেপ করিতেছেন ; এক্ষণে এমন মনে করা যাইতেছে না । শুদ্ধ এই মনে কর যে তিনি তাণমাদিগকে প্রীতি করেন না, তিনি আমাদের প্রতি উদাসীন রহিয়াছেন; রাখাল যেমন মেষের পাল রক্ষণাবেক্ষণ করে,তাহদের সুখের প্রতি কিছু মাত্র দৃষ্টি রাখে না,মনে কর ঈশ্বর কোন গুঢ় অভিপ্রায় সিদ্ধির জন্য অামাদিগকে ८मैडे প্রকার ভাবে রক্ষা করিতেছেন। আমাদের জীবন রক্ষার জন্য যাহা কিছু আবশ্বক,