ի Չ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা একবার এ দিক একবার ও দিক করি ; দোষী করিতেছে । তাছার অপরাধ কি ? পাপ করিতে ও পারি না ; তাঙ্গ হইতে একেবারে বিরত হইতে ও পারি না ; ত. খন এ দুয়ের সমান বল থাকে । আমরা স্থির করতে থাকি, কোন পথ অবলম্বন ক fরব । এই সময়ে আমাদের কর্তৃত্ব বিলক্ষণ অনুভব হয়, আমাদের প্রবৃত্তির উপরে আপনার অধিকার বুঝিতে পারি । যদিও প:পের অনুগামী হই, তথাপি ইহা বুঝিতে রি যে তাহার বিপরীত দিকে যাইবার আমার ক্ষমতা ছিল ।. যদি ধৰ্ম্মেতে ধাই, তবে বুঝিতে পারি যে আপন ইচ্ছাতে তাহাতে গেলাম ; তাহার বিপরীত দিকেও যাইতে পারিতাম । এই স্থলে আমাদের কর্তৃত্ব কেমন স্পষ্ট প্রকাশ পায় । আমাদের স্বাধীনতা না থাকিলে আমাদের নিকটে সৎ, অসৎ, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কিছুই থাকিত মা ! তাহা হইলে আমাদের দেবসবে পশু-ভাব, কুপ্রবৃত্তি সুপ্রবৃত্তির মধ্যে কোন সংগ্রাম থাকিত না । যখন কারাবাসী নিশ্চয় জানিতে পারে যে তাছার শৃঙ্খল এমন কঠিন ও দৃঢ়বদ্ধ যে তাহা ভঙ্গ করিবার কেন উপায় নাই ; তখন তা হাতে তাহার কোন চেষ্টাহ হয় না । আমরাও যদি ইহা জনিতাম যে আমাদের কোন ব্লু নাই—আমরা যাহা করিতেছি, ত:চার বিপরীত কিছুই করিতে পারি না ; আমরা অদৃষ্ট কিম্ব ঘটনার শৃঙ্খলেই বদ্ধ আছি ; তবে কোথায় বা ধৰ্ম্ম, কোথায় বা ধৰ্ম্মযুদ্ধ থাকিস্ত ? তাহা হইলে আমরা প্রবৃত্তির ক্রোতেই ভাসমান থাকিতাম, যে প্রবৃত্তি যখন বল করিত, সে তখন সেই দিকেই লইয়। যা ইত । আবার যখন মনুষ্য কোন পাপ কৰ্ম্ম করেন, তখন র্তাহার মনে হীনতা, গুনি, অনুতাপ উপস্থিত হয়, এবং এই প্রকার ভাপিত হৃদয় হইতে যে অমৃত-বারি নিঃস্যমন্ত,তাহার দ্বারাই ধৰ্ম্মবল আবার সিক্ত কয় । কিন্তু আমাদের স্বাধীনত না থাকিলে এ প্রকার পরিতাপের কোন অর্থই হয় না । যে পাপী, সে বাধ্য হইয়। পাপ করিতেছে এবং তজজন্য আপনাকে আপনি | | | : : | | | | যে কি করিবে? তাহার প্রবৃত্তির উপরে, অবস্থার উপরে, তাহারতে কিছুমাত্র অধিকার নাই। কিন্তু এই বলিয়া পাপী অগপনাকে নির্দোষী মনে করিতে পারে না এবং অন্যেও তাহার জন্য তাহাকে নির্দোষী বলে না। অতএব গুনি, নিন্দ, প্রশংসা ; ধৰ্ম্ম-শিক্ষণ ধৰ্ম্ম-যুদ্ধ ; সকলই আমাদের স্বাধীনতা হহঁতেই হইতেছে । যে দর্শন শাস্ত্র মনুষ্যের এই স্বাভাবিক কর্তৃত্বকে বিনাশ করিতে চাহে, তাহ দশম শাস্ত্র নহে,তাহাকে অন্ধ শাস্ত্র বলিতে হইবে। ঈশ্বরের সহিত মনুষ্যের সম্বন্ধ । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ । ঈশ্বর হইতে আমরা সকলই পাইয়াছি, প্রত্যহ যাহাতে আমরা জীবন ধারণ করি ; যাহার দ্বারা আমরা সুখে সন্তোষে আনন্দে জীবন যাপন করি এবং যাহাতে আমার। জ্ঞানে, বলে, ধৰ্ম্মে, ঈশ্বর প্রীতিতে বৰ্দ্ধিত হইয়। জীবনের সার্থক্য সম্পাদন করি ; তিনিই তাহার মুল কারণ। এখানকার উজ্জল সুন্দর বস্তু সকল তাহারই কৃপায় আর্মর উপভোগ করিতেছি । উষার সৌন্দর্য্য ও সন্ধ্যার মাধুর্য্য ; শীতকালের তুষার ও বসন্তের মলয়ানিল ; জ্যেৎস্না ও সুর্য্যকিরণ ; ফল পুষ্প ; পশু পক্ষী ; বিচিত্র পৃথিবী ও গম্ভীর সমুদ্র ; আমাদের এই অণবাসস্থান শরীর, ইন্দ্রিয় ; আমাদের জীবন যৌবন ; প্রণয় ও বন্ধুতা; বুদ্ধি,স্মরণ ভাষা ; আমাদের মানসিক শক্তি সমুদয় ; যে সকল শক্তিতে আমরা ক্ষুদ্রজীব হইয়া মৃত ব্যক্তির সঙ্গেও আলাপ করিতেছি এবং অনন্ত আকাশকেও মনেতে ধারণ করিতেছি ; এ সকলের জন্যই আমাদের কৃতজ্ঞতা উচ্ছসিত হইয়া সৰ্ব্ব কল্যাণদাতা সৰ্ব্বেশ্বরের প্রতি ধাবিত হয় ঈশ্বরের করুণার বিষয় মনে করিয়া দেখিলে তঁাহাতে আমরা দুই ভাব একত্রে দেখিতে পাই । তিনি জগতের পিতা ও মাতা। পিতৃ ভাৰ মাতৃভাব এ উভয়ই ভাৰঃ