পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ হয়,তবে দেখিতে পাও,তাহা হইতে কি আশচর্য্য ফল উৎপন্ন হয় । যখন আমরা কোন সাংসারিক কার্য সুচারু ৰূপে, ন্যায্য ৰূপে, সম্পন্ন করিতে পারি ; যখন সাস্তুনা বাক্যে কোন শোক-সন্তপ্ত-ব্যক্তির আর্তনাদ নিবারণ করতে পারি; যখন ধৰ্ম্মযুদ্ধে প্রবৃত্ত কোন ব্যক্তির অনুরাগ-শিখা আরো উদ্দীপন করিয় দিতে পারি ; যখন কোন জ্ঞানগৰ্ত্ত গ্রন্থ পাঠ করিয়া আত্মাকে প্রশস্ত করি ; কোন সৎসঙ্গ লাভ করিয়া পবিত্রত উপজন করি ; যখন অহীর বিশ্রাম বা ব{ায়ামে সুস্থ লাভ করি ; এই সকল স্থলে ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞত প্রকাশ করিতে কি আনন্দেরই উদ্ভব হয় ? আমরা এই প্রকার প্রত্যেক নির্দেশষ পবিত্র কার্যের জন্য ঈশ্বরকে যদি ধন্যবাদ দিই, তবে যে সকল কলঙ্ক ত কর্যোর জন্য ঈ রকে ধন্যবাদ দিতে সাক্ষস করিতে ন,তাহাতে আমাদের মলিনত্ব কেমন প্রকাশ পাইবে । যে সময়ে কোন কৰ্ত্তব্য ভার কস্তে রক্রিয়াছে, তখন যদি মিথ্য সময় ক্ষেপণ করি ; যখন অন্যের কেন উপকরে সাধন করিতে পারি, সে সময় যদি বুধ তা মেদেষ্ট ব্যয় করি ; যখন কোন মন গ্রন্থ পাঠ করি অৰ্থ বা অপরিমিত পান ভোজন করিয়া আপনাকে অসাড় করিয়া ফেলি ; এই সকল সময়ে কি আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে পারি ? কেহ ই পারে ন। তাহার অমুল্য দান-সকল অন্যায় পূৰ্ব্বক ব। বহার করিয়া কি তাহার প্রসন্নত প্রার্থনা করতে পারি? কখনই না । এই প্রকার রু তজ্ঞতা প্রকাশের ভাব অভ্যাস পাইলে মলন আমোদে আমাদের প্রবৃত্তি হইবে ন। এবং আমাদের নির্দোষ আমোদ-সমুদয় নৃ শুন বর্ণে রঞ্জিত হইবে । আমাদের জীবনের অতি সমান। ঘটনাও ঈশ্বরের গম্ভীর মঙ্গল ভােব ব্যক্ত করিতে থাকিবে । কেবল আমরা আপনার যে সমস্ত কল্যাণ উপভোগ করিতেছি, তাহার জন্যই যে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিব, এমত নহে; ভ্রাতার মঙ্গল অবশ্যই কৃতজ্ঞতার বিষয় । অ r{1 } তত্ত্ববোধনী পত্রিক সংখ্য অসংখ্য জীবের সুখ স্বচ্ছন্দত। দেখিয়া ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশুই উদয় হয়। আমাদের এই পৃথিবী, যাহা প্রাণদাতা স্থৰ্য্যের চতুর্দিকে চিরকাল পরিভ্রমণ করিয়া আসিতেছে, যাহ। রজনীতে স্বস্নিগ্ধ জ্যোৎস্না-মুধাতে অভিষিক্ত হইতেছে,যাঙ্গ শীত গ্রীষ্ম দিবারাত্রির পরিবর্তনে নুতন নুতন পরিচ্ছদে পরিশোভিত হইতেছে,যাহ। পশু পক্ষী কীট পতঙ্গ সকলকে মাতার ন্যায় প্রতিপালন করিতেছে ; এই সুখধাম হইতে যদি ঈশ্বরের মঙ্গলকর কৌশল দেখিয়। র্তাহার প্রতি একটি কৃতজ্ঞত বাক্যও না গেল, তবে আর কি হইল ? সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর পূ ,ন ঈশ্বর এই পুথিবীর প্রতি দুটি তেছিলেন, তথন ইহাতে এমন একটা জীব ও ছিলন। যে সে তাহার স্রষ্টার কারুণ্য ভাব বুঝিতে পারে এবং তfহাকে ধন্যবাদ করে । তাহা দের মুখ হইতে একটা কত স্থত। বাক্যও উথিত হয় নাই । যখন প্রকা ণ্ড কুম্ভীরারুতি জীব-সকল জল মধ্যে ত্রী ড্র করিয়া বেড় ষ্টত ; প্রক গু কস্তী-সকল উচ্চ দেবদারু বৃক্ষ, সকল বিদলিত করত ; তখন তাহার। তাছাদের স্রষ্টাকে কি জানিত । যিনি তাহদের প্রকাণ্ড শরীর নির্মাণ কfরলেন; যিনি জলস্থলকে তাহদের বাসেপিযোগী করিয়া দিলেন ; যিনি তাহদের জন্য সুর্য্যের জ্যোতিঃ প্রেরণ করিলেন; টাকাকে তাহার। কি জানিত ? এক্ষণে সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর অতীত হইয়াছে, এখনই কত জাবই ব। এই মুক পৃথিবীর হইয়া ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে পারে ? অতি অলপ জীবই এই নীরব পৃথিবীর প্রতিনিধি বক্ত হইয়া ঈশ্বরের পবিত্র নাম ধনত করিতে পাবে । পশু পক্ষীরা আমাদের সময়েও পুৰ্ব্বকালের জীবসকলের মত ঈশ্বরের বিষয়ে অসাড় রহিয়াছে। তখনকার হস্তী ব্যাঘ্র যেমন আপনার গুহ গহবরই জানিত, যাহাতে তাহদেয় অস্থি সকল এখনো প্রস্তরীভূত হইয়। রহিয়াছে,এক্ষণকার অশ্ব গে। সেই ৰূপ তাহা দের যুগ এবং বাস-গৃহই জানে ; যিনি তাহাদের অষ্টা ও করুণাময় পাতা ;