পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| i | ..I f { t * t $ 1. * ரே * : * f 曾 * ". * # , so I t n մ f t ধন * k , r # “ একেবহুনাং বে: বিদষতি কাষীম • দ্বিনি ७क श्रेङ्ग श्रणस्था औष्बद्ध काममा-गकण বিধান করিতেছেন, তাহার ঠাইকে জামিৰার অধিকারী নছে ; উন্নছার অজস্র করুণ স্মরণ করিয়া তাহার কৃতজ্ঞ হইতে পারে না । অতএব আমাদের কি উচিত নহে ষে যাহার ঈশ্বরের মঙ্গল স্বৰূপের প্রতি কৃত জ্ঞতা প্রকাশ করিতেই পারে না ; আমর কেবল তাহাদের স্বশ্বের মুক সাক্ষী থাকিয়াই নিরন্ত ন হই; কিন্তু তাহদের জন্য একবারে। সেই বিশ্বপতাকে নমস্কায় কর ? অামাদের জন্যেও উঁ। হাকে ধন্যবাদ দিহ ; অ নে}র জন্যও ক ধন্যবাদ করি । জীবি ত কি মৃত - মনুষ্যের উপরেই তা হার যে অজস্র করুণ। বর্ষিত হইতেছে ; আমাদের জীবিত অবস্থাতে তিনি আমাদি গকে যে এ কার যত্নের সহিত লালন পালন | করিতেছে ; বিহঙ্গমের সুধাময় প্রেমে বদ্ধ করিতেছেন এবং মৃত্যুর পরেও স্বীয় ক্রাড়ে মাকর্ষণ কfরয়া লইতেছেন ; ত ছ। দেখিয়। আমরা যেন তাহাকে ধন্যবাদ করি । লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সহিত একত্রে যে সকল অনিন্দ উপভোগ করিতেছে এবং দেবতার যে সকল পবিত্র আনন্দ ভোগ করিতেছেন, যাহ। আমরা পাই ন} ; এ সকলের জন্যও তাহার প্রতি কতজ্ঞ ক্ত ই । যাকাদের চক্ষু অাছে, কৰ্ণ অাছে, তাহীদের মুখের জন্য অন্ধ ও বধীর ব্যক্তিরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করুক। ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যক্তির। যেন ঈশ্বরকে নমস্কার করে যে অন্যেরা আহাঁর পাইতেছে,শোকার্তের এই জন্য যে অন্যের মুখে আছে । অনাথের। যেন অন্যকে সনাথ দেখিয় তাহাকে প্ৰণিপাত করে । পশু রাজ্যের মধ্যেও যে সমস্ত করু.ণার ব্যাপার দেদীপ্যমান রহিয়াছে, তাহার জন্য ও যেন আমার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে ক্ষান্ত না থাকি । জীব জন্তুরা অামারদের উপকারে অাইসে, এই জন্য যে ঈশ্বরকে নমস্কার করিবে, এমত নহে; তাছাদের মধ্যে যে আনন্দ প্রবাহ নিরন্তর প্রবাহিত রহিয়াছে, তাহ সেমিয়াই উহাকে সমস্কার কর । অসংখ্য অসংখ্য জীব ৰে সমস্ত নির্দোষ মুখ সম্ভোগ করতেছে,তাহ। যদি আমরা এক ৩ নত দৃষ্টিতে দেখিতে পাইতাম ; তবে আমাদের মনে ক্ষে কি আশ্চর্য্য ভাবের উদয় হইত, বলা যায় না । মীন-স্কলের সুনীল সমুদ্রে দলবদ্ধ হইয়। কেমন স্কুখে ক্রীড় করতেছে । তাহদের জীবন এক অনন্ত মহোৎসব, তাহীদের আহারের অভাব নাই, ক্রীড়ার শেষ নাই ; কেহই তাহাদের মধ্যে ক্ষুধার্ত, পীড়িত, ৰিষন্ন, কুৎসিৎ, মলিন-বেশযুক্ত নহে; তাহদের কোন ভয় নাই, ভুত কালের বিষয় তাহদের স্মরণ হয় না, ভবিষ্যতের জন্যও চিন্তা করিতে হয় না । ঈশ্বরই তাহদের অন্ন পান পরিবেশন করিতেছেন । স্থলে ও শূন্যে কীট পতঙ্গের কেমন সুখে নৃত্যু করিয়া বেড়াইতেছে ; প্রজাপতির পরিচ্ছদ, ময়ূরের পক্ষ, শতগলকরে অলঙ্কত রাজবেশকেও তিরস্কার হইয়া নীড় নিৰ্ম্মাণ করিতে করিতে কেমন আনন্দ স্বরে গান করিতেছে । ছায়া-বদ্ধ কদম্বক মৃগকুল কেমন মুখে রোমস্থ করিতেছে এবং মৃগী কৃষ্ণসারের শৃঙ্গে কও য়মান হইয়া কি আশ্চর্য্য ভাবে আহলাদ প্রকাশ করিতেছে । এ বিশ্বরাজ্য সুথের রাজ্য ! দুই বিন্দু জলের মধ্যে সমুদয় মানব সংখ্য হইতেও অধিক জীব কেমন সুখে সঞ্চরণ করতেছে ; সকল স্থানেই জীবন ও মুখের প্রবাহ প্রবাহিত হইতেছে। যদি ও সিন্ধুর সলিল বিন্দু রিন্দু করিয়া গণনা করিয়া শেষ করা যায়,তথাপি ঈশ্বরের করুণার স্থল গণনা করিয়া কেকই শেষ ককfরতে পরিবে না । এখন দেখ, ইহা কি আমাদের অত্যন্ত উচিত নহে যে আমাদের আত্মাকে কুতজ্ঞতা-রসে অাদ্র করিয়া ঈশ্বরেতে সমর্পণ করি। যে সকল জীব তাহার স্রষ্টাকে জানিতেও অক্ষম, তাহাদের জন্যও যখন তিনি এত করিয়াছেন ; তখন আমর। উহাকে যে জানিবার অধিকারী হইয়াছি, আমরা যেন তাহীদের মত মুক না থাকি কিন্তু আমাদের কণ্ঠ হইতে যেন কুউজ্ঞতা খনি অনবরত উত্থিত হইতে থাকে ।