পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা q আমরা উহাকে প্রীতি করি, এই তাহার ইচ্ছ। তিনি মনুষ্যের নিকট হইতে প্রীতি মাকর্ষণ করিবেন বলিয়াই তাহাকে স্বাধীন করিয়া দিয়াছেন । ভয়েতে কখন প্রীতি জন্মিতে পারে না । মনের সহিত যে প্রীতি সেই প্রীতি । ষে সকল ক্রীত দাস জন্মভূমি হইতে নিৰ্বাসিত হইয়া কেবল ভয়ে ভয়ে স্বীয় দুর্দান্ত প্রভুর কঠোর আদেশ পালন করিতেছে, তাহদের নিকট হইতে প্রভু কি প্রীতি চাহিতে পারে ? কখনই না । স্বাशौनकाझे थौङिद्र यांश्धञ्च जूभि । उन्न ७ उ. পরোধ ও অল-ত প্রাতির সম্প Á বিরোধী। ঈশ্বর মনুষ্যকে স্বাধীনতা, কর্তৃত্বভার কেন দিয়াছেন ? তিনি কি তাহাকে কোন যন্ত্রের ম{{য় নিৰ্ম্মাণ করিতে পারিতেন না ? তিনি কি ভাঙ্গকে পশুর ন্যায় প্রবৃত্তির অধীন করিয়া সুখা করিতে পারিতেন না ? তিনি অ"মাদিগকে এৰূপ করিলেন না কেন ? কেন না তিনি আমাদের নিকট হইতে প্রীতি চাছেন । যাহাতে আমরা ইচ্ছ। পূৰ্ব্বক আগ্রহ পূৰ্ব্বক তাহাকে প্রীতি করি. এই তাছার চ ছ । তিনি আমাদের নিকট হইতে দাসত্ব চাহেন না, কিন্তু পিতৃ ভক্তি ও প্রেম চাস্কেন আমরা ঈশ্বরের যে মহান ও রমণীর স্তাব সকল দেখিতে পাই, তাহাতে আমাদের প্রাতির উৎস সহজেই উৎসারিত হইভে থাকে। প্রীতির সহিত যে উপাসনা, সেই উপাসনা - প্রীতি বিহীন যে উপাসনা, সে উপাসনা নহে । আমাদের অন্তরে যদি কৃতজ্ঞতা কি শ্রদ্ধা কি প্রাতির ভাব না। থাকে, তবে শত শত বাহিক অনুষ্ঠানেও । ঈশ্বরের উপাসনা হয় না । বাহিক সাধুভাব -প্রকাশ করিলে লোকের নিকটেই বিনয় রক্ষণ হইতে পারে, ঈশ্বরের নিকট বিনয় রক্ষা হয় না । আমরা অন্য লোকের মনের । তাৰ অতি অল্পই বুঝিতে পারি ; প্রদাতার মনে হিতৈষণ থাকুক বা না থাকুক, তাহার বাহ ক্রিয়াতেই আমর। উপকৃত হই—আমরাই যখন সহস্ৰ সহস্র বিনয়পূর্ণ কপট বাক্য তুচ্ছ করি, যখন প্রাতি বিহীন উপকারকে উপকারই বোধ করি না ; তখন ! | | ঈশ্বরের প্রতি বাহ্যিক ভাব প্রকাশ করিতে যাওয়া কেমন মুঢ়ত্বের কৰ্ম্ম । ছায়। যেমন বস্তুর উপরে নির্ভর করে, আমাদের বাহাক্রিয়। ও সেই ৰূপ অন্তরিক ভাবের উপর নির্ভর করিতেছে। ঈশ্বরের জন্য বাহা আড়ম্বর করার কোন অর্থই হয় না । সমস্ত ব্ৰহ্মাও এ কত্র হইয়া যত করিতে পারে, তাহাতে তাহার। ঈশ্বরকে আর অধিক কিছুই দিতে পারে না। পৃথিবীর সমস্ত সস্তান মিলিয়াও ঈশ্বরের আনন্দের কণমাত্রও বৰ্দ্ধন করিতে পারে না । তাহার প্রতি আমাদের কৰ্ত্তব্য স্পষ্টই রহিয়াছে । আমাদের সকলই তঁহি হইতে—হয় প্রীত দিয়া ত "হার ঋণ পরিশোধ কর; নতুবা আর সকলই ছলনা মাত্র র্তাহাকে প্রীতি করা কি বড়ই আয়ানোর কৰ্ম্ম ) একবার ভাবিয়া দেখ কাহাকে প্রীতি করবার কথা হইতেছে । যিনি স্ব ভাবতই নিষ্কলঙ্ক সুন্দর প্রেমময় পুরুষ, তাহণকে ঐীতি করিতে গেলে কি আমাদের স্বভাবকে বিকৃত করিতে হয় ? মধুষ্যের যদি এমন বিশ্বাস থাকে, যে ঈশ্বর ন্যায় ও মঙ্গলের বিরোধে কার্য্য করে , তি:ি অবশ্যই বলিতে পারেন, যে তাড়াতে স্ত্রী স্থার প্রীতি স্বভাবতই ষার না । কিন্তু যখন আমাদের এই অটল বিশ্বাস, যে আমরা যাহা সত্য ও মঙ্গল বালয় জানি,তাহ হই, তে তিনি অনস্তগুণে সত্য-অনান্ত গুণে ম. ঙ্গল ; আর আমরা যাহ। আrৎ ও অমঙ্গল দেখি, তা স্থা ভিনি কখন নছেন, কখনই কইতে পারেন না ; তখন তাঙ্গর প্রতি প্রতি ভিন্ন আর কি ভাব অর্পিত হইতে পারে ? যিনি স্বভাবতই প্রেমময় তাহকে প্রতি করা কেমন স্বাভাবিক । \, হ্যকে প্রীতি করিবার আদেশ আমরা অন্তর হইতেই প্রাপ্ত হইতেছি । আমাদের নিকট হইতে র্তাহার প্রাতি পাইবার অধিকার আছে । তাহার প্রীতিতেই আমাদের সমুদয় প্রকৃতির চারতাৰ্থত হয়—তাহার প্রীতির জ্যোতিঃ ন! পাইলে আমাদের প্রকৃতি হীন ও মলিন হইয়া থাকে । ঈশ্বরে নিঃস্বার্থ প্রেম মিঃস্বার্থ অনুরাগ