পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ পাইয়াছি । আমরা তাঙ্কার প্রসাদ ও আশ্রয় পাইয়াই পাপকে পরাজয় করিতে পারি, ধৰ্ম্মবল উপার্জন করি এবং পুণ্য সঞ্চয় করি । এ সকলেতেই তাহার গল্পগ্রহ প্রকাশ পাইতেছে । আমরা চতুর্দিক হুইতে র্তাহার ঋণ-পাশে বদ্ধ রহিয়াছি । এই সময়ে কৃতজ্ঞতা উচ্ছসিত হইয়া আপন৷ হইতেই তাহর প্রতি ধাবিত হয় । ভিনি আবার আমাদের নিয়ন্ত, তিনি ধৰ্ম্মরাজ্যের রাজা । ধৰ্ম্মরাজ্যে কিঞ্চিৎ বিপুব করিলে আমর। তাহার নিকটে অপরাধী হই । সেই রাজ্যের নিয়ম রক্ষা করিলে তাহাকেই মান্য করা হয় । আমরা যাহা কিছু পাপ করি, তাহতে র্তাeার প্রতিকুলে দণ্ডায়মান ছই ; পাপ ফরিয়াও ত৷হার নিকট ভিন্ন অর কোথাও যাইতে পারি ন। । আমর। তাঁহার নিকট অপরাধী হই – তাহার ক্ষম। ব্যতীত অ৷র আমাদের নিস্তার হয় না । এই সময়ে ঈশ্বরের নিকটে আমাদের আর এক প্রকার ভাব হয়। যদি ও আমাদের প্রতি স্ট্র হার ক্রাধ দৃষ্টি নাই, তথাপি অমর ত{চীর নিকটে অপরাধী হই মাছ । এই সময়ে আমাদের মনে অনুশোচনা আইনে এবং ঈশ্বর পতি ত-পাবন ৰূপে প্রক{{শত হয়েন । তিনি যেমন আমাদের রাজা ও প্রভু—আমাদের সুখদাত। রক্ষিত ও পতিত-পাবন ; সেই রূপ তিনি আমাদের লক্ষ্য স্থান । তিনি অামারদের যন্ত্রী আর আমির তাহার যন্ত্র BD SBB BBBBB BBBSS BSBBB কোন কর্য সিদ্ধ করিয়া লইবেন, আপনার কেন তা তব মোচন করবেন. এমত লঙ্কে | উঠ হার এ প্রকার কোন অভাবই সাই ! যাহাতে আমরা তঁহার নিকটস্থ হটতে পারি, ঠান্ধীকে প্রীতি করিবার যোগ্য চাইতে পারি, এই উদ্দেশেই তিনি সামাদিগকে এখানে প্রেরণ করিয়াছেন । তিনি ধৰ্ম্মকে তামাদের মন্ত্রী করিয়া দিয়াছেন, এই তলা যে অমর তহরি মঙ্গল ভাবের অনুকরণ করব । তিনি তামাদিগকে অনন্ত কালের উপযুক্তক্ত দিয়াছেন, কেবল ইহারই জন্য ষে অনন্তকাল পর্যাস্ত র্তাহাকে জানিতে থাকিব । ইহ লোকে উহাকে জ্ঞা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। নিতে আরম্ভ করা যায়, কিন্তু অনন্তকালেও ভাস্ককে জানার শেষ হয় না । তিনি যখন আমাদের শেষ লক্ষ্য, তখন র্তাহার উপাসনতেই আমাদের . প্রকৃতির চরিতার্থতা হয় । আমরা কি কোন ফল-কামনা করিয়৷ তাহার উপাসনাতে প্রবৃত্ত হইব ? না । ষ্টাহাকে লাভ করিবার জন্যই তাহার উপাসন!—তাঙ্গকে রক্ষা করিবার কালেও তাহার উপ{সন এবং তঁহাকে লাভ করিবার ফলও এই, যে আরো প্রশস্তভাবে তাছার উপাসনায় ক্ষম হইব । আমাদের সকল কালেই তাহার উপাসনা ! ঈশ্বরের সঙ্গে আমরা c । সকল বন্ধনে বদ্ধ আছি, তাহ যখন জানিতে পারি-- যখন তাহার মহান কাৰ্য্য নকল শিক্ষা করিয়। তাহাকে স্রষ্ট। পাত ৰূপে প্রতীতি ক র,যখন পাপ করিয়া তাহাকে পতিত-প,1হল ল লয়। স্মরণ কর, যখন পাপকে পরাভয় করি ৪ার জমা তাহার আশ্রয় প্রাগনা করি, যখন তাকার অজস্র করুণার বর্ষণ পাইয়। কঁহাকে ধন্যবাদ দি ই, তখন আমাদের মনের তীব কি প্রকার হয় ? ঔদাস্বা, আশ্রদ্ধ, ভয়, এই সকল ভাব ? ইহার মধ্যে ভর যদিও কখন কখন আইসে তথাপি এই কি ঈশ্বরের প্রতি সাধারণ ভাব ? এমন কোন তানন্দের সময়--- কোন প্রশস্ত পবিত্র সময় কি কখন আইসে লfই, য়ুখন সে ऊँ মঙ্গলময়ের প্রতি ভয় ভিন্ন অন্য ভাবের উদয় হইয়া ছে ? ঈশ্বরকে ভয়ই করিতে ছ হবে, অগমরা সঙ্কজ জ্ঞানে কি ইহাই প্রাপ্ত হ হ তে fছ ? আমরা মখন কোন পাপকৰ্ম্ম মনের সহিত ঘৃণা করিয়া তাহ। পরিত্যাগ করিবার দৃঢ় সঙ্কল্প করি, তখন ঈশ্বরের নিকটে অণমাদের ক্ৰন্দন কি ভয়ের ক্রননে ? প্রথম কণলেই ভয়, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি ভয় আমাদের চিরস্থায়ী ভাব নহে। তবে আর কোন ভাব তাহার প্রতি অর্পিত হইতে পারে ? সে একই ভগব—তাহা প্রীতি । “তদেতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়োবিত্তাৎ প্রেয়োন্যস্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ অন্তরভরং ষদয়মাত্মা’ এই সত্যের প্রতি আমাদের সহজ জ্ঞান সাক্ষ্য দিতেছে ।