পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م ډ$. সি মধুর মিরম্নকে অন্ন দান দ্বারা আমাদিগের ভোজন-সুখ কতই না বৰ্দ্ধিত কুরি । নিরাশ্রয়কে আশ্রয় প্রদান করিয়া তুমি যে সকলের অঞ্জর তোমার মঙ্গল স্বৰূপ কতই না স্পষ্ট ৰূপে উপলব্ধি করিতে সক্ষম হই । অজ্ঞানান্ধ ব্যক্তিকে জ্ঞানালোক বিতরণ ক রিয়া আনন্দ-সাগরে আমরা কতই ন তাম ' মান হই। এ সকল পরম পবিত্র সুখ জন্য তোমাকে প্রণত ভাবে কৃতজ্ঞতা পুষ্প উপহার প্রদান করিতেছি, তুমি ভাগ গ্রহণ কর । । এ সকল সুখের জন্যও এক প্রকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিলাম। তোমাতে নির্ভর করিয়া তোমাতে আত্ম অৰ্পণ করিয়া যে বাক্যের অতীত সুখ প্রাপ্ত হই তজ্জন্য আমরা কি প্রকার কৃভজ্ঞতা স্বীকার করিব ! আমাদিগের কি মর্তা যে সেই স্বগীয় অলৌকিক সুখর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ প্রদান কলি । তুমি এক এক বার বিস্থতের ন্যায় আমাদিগের মলে প্রতিভাত ভূইয়। যে অমিল্পচনীয় আনন্দে তাঙ্গাকে প্লাবিত কর, ইচ্চ হয় সেই আনন্দ আমরা দিব নিশি আস্বাদন করি: কিন্তু আমাদিগের অপবিত্র কী সেই আনন্দক উপশ্ৰেণ করিতে দেয় না । কত বার এই ৰূপ ইচ্ছা হয় তোমার পথের একান্ত পথিক হই কিন্তু পাপ মতির বশতপন্ন হইয়া আমরা তোম৷ হুইতে দূরে পতিত হই। নাথ ! আমাদিগের এ প্রকার দুৰ্গতি কত দিবস থাকিবে । কাতর প্রাণে তোমকে ডাকিতেছি, তুমি ! মাদিগের প্রতি প্রসন্ন হও । পরমেশ ! পপ তাপে জৰ্জ্জুরীভূত হইয়া পতিত পাবন যে তুমি তোমার নিকট পলায়ন করিতেছি। পক্ষিণােবক যেমন বিপদে পতিত হইলে । মাতার নিকট আশ্রষ লইবার জন্য পলায়ন । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা io १ क•, २ लोका করে, আর সেই মাতা যেমন পক্ষ বিস্তার করিয়া তদ্বারা সেই শাবকগণকে আশ্রয় প্রদান করে সেই ৰূপ তুমি জামাদিগকে স্বীয় মঙ্গলময় পক্ষের আশ্রয় প্রদান কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । তত্ত্ববিদ্য । চতুর্থ খণ্ড-সাধন-প্রকরণ ।

  • 오 1

কোন লক্ষ্য সাধন করিতে হইলে তজ্জন্য সাধকের চিন্তু পৃঙ্গ এবং যত্ন তিনের সামগুস্য আবশ্যক হয় । ১ । লক্ষ্যসাধন-বিশেষের অর্থানর্থ দোষ-গুণ ফলাফল প্রভৃতি অগ্রে চিস্ত দ্বারা নির্ণয় করা আবশ্যক , চিন্তু দ্বারা যখন স্থির হয় যে, অমুক লক্ষ্য-সাধন অর্থশালী গুণশালী এবং শুতুলদশী, তখন ভাঙ্গার প্রতি কযে কাযেই পৃষ্ঠার উদ্রেক হয়, এবং স্পৃহা উদ্রেক হইলে তাঙ্কার প্রতি কাযে কযেই য ট্রর সমাধীন হয় । লক্ষ্য-সাপনে দেশে উপায় অবলম্বন করিবার নামই যত্ন । যে সে উপায় অবলম্বন করিলেই যে আমরা লক্ষ্য-সাধনে কৃতকার্য হইতে পারি, তাহা নহে; লক্ষ্য সাধন করা যদি আমাদের অতিপ্রায় হয়, তবে আমাদের কৰ্ত্তব্য এই যে আমরা fচন্তার পরামর্শ অনুসারে বিহিত উপায় অবলম্বন করি, এবং স্পৃহার ইঙ্গিত অনু সারে সুন্দর উপায় অবলম্বন করি, এই ৰূপে চিন্তা এবং স্পৃহা উভয়ের সহিত সামঞ্জস্য মতে যত্নকে নিয়োগ করি ; নচেৎ যত্ন যদি চিন্তার পরামর্শ অবহেলা করত অবিহিত উপায় অবলম্বন করিতে প্রবৃত্ত্ব হয়, তাহ হইলে যথা-সময়ে বাধা বিঘ্নে আক্রান্ত হইয়া