পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«دود gir , so লাগিল, এক্ষণে তাহার আলোক সমস্ত ইথি বীর মন হরণ করিতেছে । আমরা তাহারই বৃত্তান্ত অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতেছি। - ধর্মভাবে ও ধৰ্ম্ম তত্ত্বের অনুসন্ধানে হিন্দু জাতিকে যেন ধর্মের .সহিত মিশ্রিত বলিয়া প্রতীয়মান হয়। এখানে সমুদায় কৰ্ম্মই ধর্মের বেশে ও ধর্মের আদেশে অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে ; এমন কি, যুদ্ধ ধে এমন নৃশংস ব্যাপার, তাহাও কেবল ধৰ্ম্মত হইত। ধৰ্ম্মবিষয়ে যত প্রকার স্তক ও যত প্রকার মত উপস্থিত হইতে পারে, তাহার সকলের প্রতিই হিন্দুদিগের দৃষ্টি নিপতিত হইয়াছিল। বিশেযতঃ ইহারা ধর্মের প্রাণস্বৰূপ ঈশ্বরতত্ত্ব সুন্দরবপে উপলব্ধি করিয়া ছিলেন। ধৰ্ম্মের বিপক্ষেও ভুরি ভূরি তর্ক বিতর্ক লইয়া হিন্থ জাতির মধ্যে ঘোরতর আন্দোলন হইয়াছিল; তদ্বারা হিন্দু ধর্মের মত সকল বহুল পরিমাণে সংশোধিত হইয়াছে। হিন্দুধর্মের আদি গ্রন্থ বেদ ভিন্ন ভিন্ন কালের ভিন্ন ভিন্ন ভাব সকল ধারণ করিতেছে। কালে কালে হিন্দুধর্মের যে সমস্ত মত ও বিশ্বাস উপস্থিত হইয়াছে, বেদ ও বেদাঙ্গের ন্যায় স্মৃতি পুরাণ ও তন্ত্র সকল তাহা বহন করিতেছে। হিন্দু ধর্মের মত সকল পরিষ্কত করবার নিমিত্ত নানাবিধ দর্শন শাস্ত্র প্রকটিত হইয়াছে। নানক চৈতন্য প্রভৃতি এক এক মহাত্মা জন্ম গ্রহণ করিয়া হিন্দু ধৰ্ম্মে কত মৃতন নুতন আলোক প্রদান করিয়া গিয়াছেন । ফলত ধৰ্ম্ম লইয়া হিন্দু জাতির মধ্যে যেৰূপ আন্দোলন হইয়া গিয়াছে, এমন আর কুত্ৰাগি হয় নাই । কিন্তু এই সমস্ত এক দিনে সম্পন্ন হয় নাই । হিন্দু জাতির অন্যান্য বিষয়ের ইতিহাসে যেমন ক্রম দৃষ্টি হইয়া থাকে, ধর্মের ইতিহাসেও সেই ৰূপ ক্রম প্রাপ্ত হওয়া যাই ৯১ s fদগের সময়অবধি বর্তমান সত্বা লু যেমন মনুষ্য মনের পরিবর্তম-শীলতা मूर्दे হইয়া থাকে, সেই কপ এই একটি সত্য দে হিন্থ জাতি সমুদায় পৃথিবীর মধ্যে অদ্বিতীয় ধিতে পাওয়া যায় যে, সেই সকল পরিবর্তন কোন না কোন প্রকার অনিষ্টের প্রতি বিধানের নিমিত্ত যেন সৰ্বাধ্যক্ষ ঈশ্বরের হস্ত হইতেই উপস্থিত হইয়াছিল । কোন বিষয় আত্যন্তিক হইয়া উঠিলেই আনিষ্টের কারণ হয়, কিন্তু মৃঙ্গলস্বৰূপ পরমেশ্বর এই ৰূপ নিয়ম প্রতিষ্ঠিত করিয়া রাখিয়াছেন যে, যে বিষয় যখন অত্যন্তিক হইয়া সীমাকে অতিক্রম করিতে ময়, তখন অন্য দিকু হইতে তাহার প্রতিবিধান মাসিয়া উপস্থিত হয়। যপন গ্রী ন্মের আতিশম্য হইয়া উঠে, তখন বৃষ্টি-ধারা নিপতিত হইয় পৃথিবীকে সুশীতল করে । হিন্দুধর্মের প্রথমাবস্থায় দৃষ্ট হইয়া থাকে যে আর্ঘ্যের প্রায় সমুদায় ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম ঐহিক .! বিষয়ের প্রতিই লক্ষ্য বন্ধন করিয় অনুষ্ঠান করিতেন এবং কি প্রকারে শক্রগণকে সংহার করিব, কি প্রকারে তাহাদিগের ধন সমস্ত হস্তগত হইৰে ; এই প্রকার প্রতিহিংসার ভাবে আক্রান্ত হইয়া অনেক সময় কোম যাগ করিতেন । দেবতারদিগের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্থচক স্তোত্র সকলও ভূরি পরিমাণে প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে বটে ; কিন্তু সেই কৃতজ্ঞতাও অনেক সময়ে শক্রগণের প্রাণ ংহরে কৃতকার্য্য হওযাতেই সমুৎপন্ন হইয়াছে দেখিতৈ পাওয়া যায়। উtহাদের প্রার্থনাপূর্ণ মন্ত্রাদিতেও ঐহিক সুখ সাধনের উপযোগী বিষয় সকলই অধিকাংশস্থলে প্রাধিত হইতেছে। উহাদের সেই অবস্থায় সেই প্রকার ভাবের উদয় হওয়াই নিতান্তু সম্ভাবিত, তাহার কিছু মাত্র সন্দেহ নাই এবং তন্নিমিত্ত র্তাহরী ভক্তি ব্যস্তীত নিদার ভাজন কখনই হইতে পারেন না ; সমুদ্র হইত্বে যে বিচ্ছ