পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাম্বৰ ২৮১ যাহার নাম জরোহিক রাখা গেল—তাহা ভৌতিক কার্ষ্য সম্বন্ধেই বিশেষ ৰূপে ফলদায়ক হয় । অপর—নিয়মিত বিষয় সকল হইতে নিয়মে আরোহণ না করিয়া আমরা যখন নিয়ন্ত বিষয়ী হইতে নিয়মে অবরোহণ করি, তখনকার এই যে অবরোহিকা প্রণালী, ইঃ আধ্যাত্মিক নিয়ম অনুসন্ধানের পক্ষেই বিশেষ ৰূপে ফলদায়ক হয় । আধ্যাত্মিক নিয়ম छूट्रे ৰূপ দেখিতে পাওয়া যায়, মিশ্র এবং বিশুদ্ধ ; যথা,—যদি এ ৰূপ একটি | নিয়ম করা যায় যে আমি অমুক সময়ে অাহার করিব তবে তাহাতে বুঝায় যে, প্রথযতঃ আমি আরোহিক প্রণালী দ্বার। এই নিয়মটি অবগত হইয়াছি যে ঐ সময়ে আহার করিলে শরীর ভাল থাকে, দ্বিতীয়তঃ অবসক্তিক প্রণালী দ্বারা এই নিয়মটি প্রকটন কুরিয়!ছি যে যাঙ্গতে অামার মঙ্গল হয় তাrই আমার পক্ষে কর্তৃব্য s કાફે झुड़े নিয়মের সংমিশ্র হইতেই পূৰ্বোক্ত এই নিয়মটি প্রস্থত হইয়াছে যে “ আমি অমুক সময়ে আগর করিব, এই জন্য এ নিয়মটির প্রতি মিশ্র উপাধি সম্যক ৰূপে সংলগ্ন হয়। পরন্তু, আমার যাহাতে মঙ্গল হয় তাহাই আমার পক্ষে কৰ্ত্তব্য, এ নিয়মটি কোন ভৌতিক ব্যাপার হইতে নহে কিন্তু কেবল মাত্র আত্মা হইতেই প্রকটিত হইয়া থাকে অমুক সময়ে আহার করিব, এ নিয়ম কিছু সকলের পক্ষে সকল অবস্থাতে সংলগ্ন হয় না; কিন্তু “আমার যাহাতে মঙ্গল হয়—তাহাই আমার পক্ষে কৰ্ত্তব" এ নিয়মটি সকল আত্মা হইতে সকল ! অবস্থাতেই নিরন্তর উদীরিত হইতেছে; পুর্বের ও নিয়মটির কিয়দংশ ভৌতিক পরীক্ষা হইতে সংকলিত হইয়াছে, কিন্তু শেষের এ নিয়মটিকে আত্মা স্বয়ং উৎপাদন করিয়া কাৰ্য্য-সকলেতে বহমান করিতেছে । মারোহিকা এবং অবরোহিক প্রণালীর আর כ:"צ צ এক যোগ্যতর নাম রাখা যাইতে পারে, যথা,—সংকলন . প্রণালী এবং ব্যবকলন প্রণালী; অনেক বিশেষ বিশেষ দৃষ্ট ঘটনা হইতে এক এক সাধারণ নিয়ম সংকলন করিবার যে প্রণালী—সংকলন প্রণালী ৰলাতে তাহা স্পষ্ট ৰূপে বোধগম্য হইতে পারে ; এবং নিয়ন্ত হইতে নিয়ম দোহন করিবার যে প্রণালী, ব্যবকলন প্রণালী বলতে তাহা স্পষ্ট ৰূপে অভিজাত হইতে পারে । দ্বিতীয় অধ্যায় । পূৰ্ব অধ্যায়ে যাহ। বলা হইল, তদ্ধার সহজেই প্রতীয়মান হইতে পারে যে, ব্যবকলন প্রণালী অনুসারেই মূল নিয়ম-সকলের সন্ধান করিতে হইবে ; বাহিরের ঘটনা-সকল হইতে মনকে প্রত্যাবৃত্ত্ব করিয়া আত্মার প্রতি দৃষ্টি করিতে হইবে । - আত্মা যে নিয়মটি প্রকাশ করিতে সৰ্ম্মদাই উৎসুক, তাহা এই—মে, যাচাতে মঙ্গল হয় তাস্থাই কৰ্ত্তব্য । এ নিয়মটি সৰ্বৰাদিসম্মত ; কিন্তু ইণের মধ্যেও বিবাদের এই এক সুত্র সংগোপিত রহিয়াছে যে, মঙ্গল যে কি—এ বিষয়ে নানা ব্যক্তির নানা মত হইবার কিছুই বাধা নাই। এ বিষয়ের মীমাংসা করিবার পূর্বে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে—সত্য কি ? তাহা হইলে আপাততঃ তাহার প্রত্যুত্তর এই যে মৃত্তিক উদ্ভিদ জীব জন্তু, এ সকলই সত্য ; কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে পরম সত্য কি ; তবে তাহার প্রত্যুক্তর এই যে পরমাত্মাই কেবল এক মাত্র পরম সত্য। এই ৰূপই বলা যাইতে পারে যে, নিয়মিত আহার নিদ্র আচার ব্যবহার—এ সকলই মঙ্গল, কিন্তু ঈশ্বরের সহিত আমাদের যে একটি সম্বন্ধ রহিয়াছে—যাহার গুণে আমরা র্তাহার প্রেমময় সন্নিধানে দিন দিন আকৃষ্ট