পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * or : লাগিল যে চিত্ত-পটের জ্ঞান-ভূমিতে অন স্তের যে সুন্দর চ্ছবি মুদ্রিত রহিয়াছে, তাহা কি কেবল ছবিমাত্র ১ তাহা কি মনের ভাব মাত্র ? সেই বাস্তবিক সত্য কি নাই, যাহার ! এই প্রতিবিম্ব, যাহার এই প্ৰতিৰূপ ? এই প্রকারে বুদ্ধির মহা আন্দোলন চলিল। এই আন্দোলন ও অালোচনাতে যখন তামার মন ছিন্ন বিছিন্ন হইতেছিল, তখন হঠাৎ উপনিষদের এক ছিন্ন পত্র আমার হস্তে নিপতিত হইল । যখন প্রথম তাঙ্গতে পাঠ করিলাম “ঈশীবাস্যমিদং সৰ্ব্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথ প্রত্যভিনন্দন পত্র ম। গৃধঃ কস্যচিন্ধনং । " তখন আমার মন । এক আমনরুময় নৃত্বতন রাজ্যে প্রবেশ করিল । । তিনি এক । কিন্তু যখন আবীর এই উপনিষদে ইহার পূৰ্বে আমার মনে এই ভ্রান্তি ছিল যে আমাদের হিন্দু শাস্ত্র পৌত্তলিকতা ভিন্ন নিরাকার নিৰ্বিকার সত্য-স্বৰূপের নির্দেশ নাই । আমাদের এই দুভাগ হিন্দুস্থানে একমেবাদ্বিতীয়ং পরব্রহ্মের কখন অৰ্চন পরে যখন আমার হৃদয়ের তাবের প্রতিভাব উপনিষদের পত্রে প্রথম প্রত্যক্ষ দেখিলাম, “এই ব্রহ্মাণ্ডের যে কিছু পদার্থ সমুদায়ই ঈশ্বর দ্বারা ব্যাপ্য রক্রিয়াছে: পাপ চিন্তু ও বিষয়-লালসা পরিত্যাগ ক - புதர شدت হয় নাই । রিয়া ব্রাহ্মনন্দ উপভোগ কর, কাগর ধনে । লোভ করিও না " তখনই আমার হৃদয় উৎসাহ ও আনন্দে–উচ্ছসিত ইয়া উঠিল। তখন সমুদায় উপনিষদকে সমুদায় বেদকে আমার মনের শ্রদ্ধা ভাসিয়া , আলিঙ্গন করিল । পুত্বে আমার কোন শাস্ত্রে শ্রদ্ধ ছিল না, এই সময়ে সমুদায় বেদ শাস্ত্রে অ ゞ(t"な হইল । উপনিষদের এক এক মহাবাক্যে আমার আত্মা জ্ঞান-সোপানে উন্নত হইতে লাগিল । “ব্রহ্ম বা ইদমগ্র অসীৎ তদাত্মানমেবাবেৎ অহং ব্রহ্মাক্ষ্মতি ৷ ” ইহার পূর্বে কেবল ব্রহ্ম ছিলেন; তিনি আপনাকে জানিলেন, আমি ব্রহ্ম । “সদেৰ সোমোদমগ্র আসীদেকমেবাদ্বিতীয় " ইঙ্গর পূর্বে হে প্রিয় শিষ্য সৎস্বৰূপ পরব্রহ্মই ছিলেন, তিনি একই অদ্বিতীয় । “সতগোষ্ঠপ্যত সতপস্তপ্ত, ইদং সৰ্বমসৃজত যদিদং কঞ্চ ।" তিনি অলোচনা করিলেন, তিমি তালোচনা করিয়া এই সমুদায় যাঙ্গ কিছু সৃষ্টি করিলেন। “স য শ্চাযং পুরুমে যশ্চাসাবাদিন্ত্যে স একঃ" সেই— যে ইনি পুরুষে এবং মে ইনি আদিহে r--- দেখিলাম "অযমাত্মা ব্রহ্ম" "সোহ্নমস্মি" " ত্ত্বমসি" এই আত্ম। ব্রহ্ম, তিনি আমি, তিনি তুমি—তখনই বুঝিলাম যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মুলতত্ত্বের সহিত ইছার সকল বাক্যের ঐক্য নাই। আবার তাছাতে যথন দেখিলাম যে-— “যাহারা গ্রামে থাকিয়া যাগ যজ্ঞ প্রভৃতি কৰ্ম্মকাণ্ডের অনুষ্ঠান করে, তার মৃত্যুর পরে ধূমকে প্রাপ্ত হয়, ধূম হইতে রাত্রিকে, রাত্রি হইতে রুষ্ণ পক্ষকে, কৃষ্ণ পক্ষ হইতে দক্ষিণযণের মাস-সকলকে, দক্ষিণাষণের মাস-সকল হইতে পিতৃলোককে, পিতৃলোক tfii মার শ্রদ্ধা ব্যাপ্ত হইল । অসময়ে অনিৰ্দ্দেশ্য । বন্ধুর ন্যায় অপরিচিত বেদ শাস্ত্র হইতে আমার হৃদয়ের চিরপরিচিত আধ্যাত্মিক ভাবের প্রতিখনি পাইয়া কৃতজ্ঞতা সহকারে আমার মন্তক তাহার নিকটে অবনত

f msa -ā*** হইতে আকাশকে, অকাশ হইতে চন্দ্র লোককে প্রাপ্ত হয় ; এবং সেই চন্দ্রলোকে স্বীয় পুণ্য ফল ভোগ করিয়া পুনৰ্বার હારે পৃথিবী লোকে জন্মগ্রহণ করিবার নিমিত্ত চন্দ্রলোক হইতে বিচুত হইয়া আকাশকে প্রাপ্ত হয়, আকাশ হইতে বায়ুকে প্রাপ্ত হয়, বায়ু হইয়া ধূম হয়, ধূম হইয়া বাষ্প হয়, বাষ্প হইয়া মেঘ হয়, মেঘ হইয়া বৰ্মিত হয়, তাঙ্কার। এখানে ত্রীহি যব ওষধি বনম্পতি তিল মাষ হইয়া উৎপন্ন হয়, সেই স্ত্রীহি যব