পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন নাই; করুক। পুরুতির গুণে আমাদের নিশ্বাস প্রশ্বাস যথা নিয়মে গমনাগমন করিতেছে; আমাদের আত্মারও এ ৰূপ ক্ষমতা আছে যে সে অাপন ইচ্ছাক্রমে সেই নিশ্বাস প্রশ্বাসকে কিয়ৎ পরিমাণে নিয়মিত করে ; কিন্তু আত্মা যদি ঐৰূপ নিশ্বাস প্রশ্বাসাদি প্রকৃতির কার্য্য-সকল স্বহস্তে নিৰ্বাহ করতে প্রবৃত্ত হয়, তাহা হইলে তাহাতে আত্মারও কোন লভ্য নাই, প্রকৃতিরও কোন লভ্য নাই ; প্রত্যুত আত্মার সেই অনধিকার চর্চার ছিদ্ৰ দিয়া—আত্মা এবং প্রকৃতি উভয়েরই কার্য্যের মধ্যে কতকগুলি অনিয়ম প্রবেশ করে । অতএব উপস্থিত প্রবৃত্তি বিশেষের চরিতার্থতা-কার্য্য প্রকৃতির হস্তে ছাড়িয়া দেওয়াই কৰ্ত্তব্য : এৰূপ করিলে ঈশ্বরাভিপ্রেত প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে উক্ত । কাৰ্য্য যথোচিত ৰূপে নিৰ্বাচিত হইতে । পারে ; সে প্রাকৃতিক নিয়ম এই রূপ ষে, যাহাতে আমাদের সমুদায় প্রবৃত্তির স্বাভাবিক চরিতার্থতার পক্ষে কোন ব্যাঘাত না জন্মে বরং তাহার পক্ষে আরও সুযোগ হয়, সেই নিয়মানুসারে প্রত্যেক প্রবৃত্তি স্ব স্ব চরিতার্থতায় নিযুক্ত থাকুক ; এক কথায় এই যে, যখন যে কোন প্রবৃত্তি উদ্দীপিত হয়, তাহ যেন আমাদের বৈধ স্বার্থকে অতিক্রম না করে, বরং তাহার পোষকতাতেই নিযুক্ত থাকে। প্রাকৃতিক নিয়ম প্রণালীর উদাহরণ –ফুধার সময় আমাদের প্রকৃতি কেবল সেই টুকু মাত্র আহার চায় যাহাতে আমাদের অবসন্ন দেহ মনে স্কৃৰ্ত্তির সঞ্চার হইতে পারে ; এই উপস্থিত ক্ষুৎপ্রবৃত্তিটি প্রকৃতি-অনুসারে চরিতার্থ হইলে আর আর সমুদায় প্রবৃত্তির স্বাভাবিক চরিতার্থতার পক্ষে যথেষ্ট সুবিধা হয় ; কিন্তু যদি প্রকতির প্রতিকুলে অপরিমিত আহার করা যায় প্রকৃতির পথে প্রকৃতিই বিচরণ | তাহা হইলে আমাদের শরীর মন আরাকাৰ হইয় পড়ে, সুতরাং উপস্থিত ভোগ-লালসা চরিতার্থতার পক্ষে ব্যাঘাত জন্মে। এই ৰূপ, প্রকৃতি-অনুযায়ী পরিশ্রম করিলে সমুদায় শরীর বলিষ্ঠ ও কৰ্ম্মক্ষম হয়, কিন্তু অস্বাভাবিক পরিশ্রম করিলে তাহার বিপ جاکس۔ دماحممضحصہ بہ ہے سستے حك - ম। স্থ, ভ - s = তেছে যে প্রাকৃতিক নিয়মের উদ্দেশ্যই এই যে প্রত্যেক প্রবৃত্তির চরিতার্থতা—অন্যান্য প্রবৃত্তি সকলের বৈধ চরিতার্থতার পোষকতা করুক ; ইহার অন্যথায় যদি কোন এক প্রবৃত্তি এৰূপে চরিষ্ঠার্থ হয় যে তাহাতে আর আর প্রবৃত্তির বৈধ চরিতার্থতার ব্যাঘাত জন্মে, তবে তাছা নিশ্চয়ই প্রাকৃতিক নিয়মের বিরোধী তাহার কোন সংশয় নাই। পরমার্থ অথবা ধৰ্ম্ম আমাদের লক্ষ্য হইলে যেমন স্বার্থ তাহার এক আনুসঙ্গিক উপলক্ষ হয়, সেই ৰূপ বৈধ স্বার্থ অথবা সমুদায় প্রবৃত্তির বৈধ চরিতার্থতা আমাদের লক্ষ্য হইলে, যে কোন প্রবৃত্তি উত্তেজিত হউক তাহ প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে সহজেই চরিতার্থ হয়, অর্থাৎ –ফুধার সময় ভোজ্য সামগ্রী চাই, কার্যের সময় কাৰ্য্যালয়ে উপস্থিত হওয়া চাই, শয়নের সময় শষ্যা প্রস্তুত থাক চাই, এই ৰূপ নানাবিধ প্রবৃত্তি যথাকলে চরিতার্থ হওয়া চাই, ইহার প্রতি লক্ষ্য করিয়া যাহার পর যে দ্রব্য আবশ্যক তাহা পূর্ব হইতে আয়োজন করা—স্বার্থের কার্য্য ; এবং এই ৰূপে সমুদায় প্রবৃত্তির চরিতার্থতা উদ্দেশে পুর্থ হইতে দ্রব্যাদি ক্ষুধা বা কৰ্ম্ম-পটুতা বা बिल्व-धर्थन् ८ष প্রবৃত্তি উত্তেজিত হউক—তাহা প্রকৃতির