পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌbr Ꮥ আমাদের প্রত্যেকের আত্মাতে অনুক্ষণ বিরাজ করিবেন, যখন কেবল ভূমা ঈশ্বরকে আত্মাতে ধারণ করিব, যখন সরল-হৃদয়ে সেই বিশ্বপাতার নিকট বলিতে পারিব যে “জেনেছি জেনেছি প্রভু, ছাড়িব না আর কভু, তোমার পূজন বিনা পূজিব না অন্যে আর” যখন সেই পরম পিতার পুত্র বলিয়া উহার পূজার জন্য সকলে ভ্রাতৃ-ভাবে সম্মিলিত হইব, এবং একাগ্রচিত্ত হইয়া ব্ৰহ্মকে জানিতে ইচ্ছা করিব, তখন জানিব যে এই সমাজমন্দির সংস্থাপনের ফল উপলব্ধ হইতেছে। আমাদের আদ্যকার মহোৎসবের উদেশ্য এবষ্প্রেকার মহান ; এতদ্বারা আমাদের শ্রেষ্ঠতম প্রবৃত্তি ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির চরিতার্থত সাধন করাই আমাদের লক্ষ্য ; আত্মাকে উন্নত করিয়া তাহাকে ঈশ্বর-ভাবে পূর্ণ করা, এবং পবিত্র ব্রাহ্মধর্মের বীজ দেশ বিদেশে বিকীর্ণ করাই অামাদের কার্য্য । যে দিন অবধি আমরা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছি, সেই দিন অবধিই পরিবার-মধ্যে, জন সমাজে, কি স্বদেশে কি বিদেশে সেই পবিত্র ধর্মের বিমল সত্য সকল প্রচারিত করিবার গুরু তার আমাদের হস্তে ন্যস্ত হইয়াছে । “প্রতি ব্রাহ্মই এক এক জন ধৰ্ম্মপ্রচারক” আমর; সেই গুরু ভার কি রূপে বহন করিতে পারি, কোন উপায় দ্বারা আমরা প্রচার কার্য্যে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি ; পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম পরিবার মধ্যে প্রচার করা, আস্ট্রয়গণের আত্মাকে ধৰ্ম্মজ্যোতিতে আলোকিত করা আমাদের কতক দূর সাধ্যায়ত্ত, কিন্তু সেই ধৰ্ম্ম দেশ বিদেশ প্রচার আমাদের দ্বারা কি ৰূপে হইতে পারে ? এই সমাজ মন্দিরই তাঙ্কার এক প্রধান উপায় । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যেমন আমার ধৰ্ম্ম, আমার পরিবারের ধৰ্ম্ম, সেই ৰূপ তাহা দেশীয় সকলের এবং সকল পরিবারের ধৰ্ম্ম কি ৰূপে হইবে? তত্ত্ববোধিনী পত্রিক . A grøt, o gțR তাহা কেবল এই সমাজ মন্দিরের দ্বারাই সম্পন্ন হইতে পারে । আমি যেমন সেই পরম পিতার সন্তান, সকলেই তাহার সেই ৰূপ সন্তান, পিতার সকল সস্তানে কি ৰূপে ভ্রাতু-ভাবে সম্মিলিত হইতে পারে ১ কো , থায় সকল ভ্ৰাতায় একত্র হইয়া পিতার শরণাপন্ন হইতে পারে ; কেবল এই সমাজ মন্দিরে } এতদঞ্চলে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার এবং তাহার সুশীতল ছায়ায় সকলের সন্তাপিত আত্মাকে শীতল করা এবং পিতার সকল সস্তানে একত্রিত হইয়া তাঙ্গার আরাধনা করাই এই সমাজ-মন্দির সংস্থাপনের মুখ্য উদ্দেশ্য । এক্ষণে দেখা যাউক যে সেই উদ্দেশ্য এই সমাজ-মন্দির দ্বারা কি ৰূপে সংসিদ্ধ হইতে পারে । আমরা দুই কারণে এই সমাজ মন্দিরে নিয়মিত ৰূপে সমাগত হই। প্রথমতঃ ঈশ্বরের আরাধনা ; দ্বিতীয়ত , ধৰ্ম্মোপদেশ শ্রবণ } ঈশ্বরের আরাধনাই ঈশ্বর-জ্ঞান লাভের একমাত্র উপায়, "যে সাধক তাহাকে প্রার্থনা করে, সেই তাকাকে লাভ করে"। যদিও এ ৰূপ উপাসনা অনেকে নিভৃতে উত্তম ৰূপে সম্পাদন করিতে পারেন, কিন্তু আমাদের সাংসারিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি করিলে দেখা যাইবে যে তাহা সকলের পক্ষে সুসাধা নহে; এবং কেবল মাত্র ঐ ৰূপ আরাধনার দ্বারা উপাসনার সমুদায় অঙ্গ সুচাৰু ৰূপে সম্পন্ন হয় না । পৃথিবীতে আমাদিগকে যে প্রকারে আবদ্ধ থাকিতে হয়, সংসারে অামাদিগের মন যে ৰূপ নিবিষ্ট থাকে, তাহাতে মধ্যে মধ্যে অবসর না পাইলে মন ক্ষণকালের নিমিত্তও সংসারের মোহপাশ হইতে মুক্ত হইতে পারে না । , এই সমাজ না থাকিলে এমন কিছুই থাকে না যাহা অামাদিগকে আমাদের প্রকৃত লক্ষ্যের প্রতি