পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S'సెలు জন্য কাজ কঠোর তপস্যা করিয়াছেল, কত বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিত অমরত্ব লাভের ঔষধ অন্বেষণ করিয়াছেন,অদ্যাপি যদি কোন উপায়ে মৃত্যুর হস্ত অতিক্রম করিতে পারা যায়, তাহাতেই বা কাহার অরুচি ১ কিন্তু অমরত্ব লাভ করিবার নিমিত্ত যাগ যজ্ঞ তপস্যার আবশ্যকত নাই, মৃত্যুকে ভয় করিবারও প্রয়োজন নাই। যদি মৃত্যুর যথার্থ ভাব আমরা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি, তাহা হইলে তাঙ্কাতেই আপনাদের অমরত্বের অধিকার দেখিতে পাই । এই দেচের সহিত আমাদের জীবনের পরিমাণ নহে এবং মৃত্যু হইলে আমাদের সমুদায় শেষ হইবে না । এ দেহে চিরকাল জীধন থাকিলে আমাদের যন্ত্রণার পরিসীমা থাকিস্ত না । এ দেহ প্রতিক্ষণে বিকল হইভেছে : ইচ, রোগ, শোক ও জরার আয়তন ; ইঙ্গ কত প্রকারে আত্মার স্বাভাবিক বল ও তেজের চানি করিতেছে এবং ইহা সংসার হইতে কত প্রকার দুঃখ ও বিপদু অনিয়ন করিয়া আত্মাকে মলিন, ও ব্যথিত করিয়; থাকে । অতএব মৃত্যু যে এ দেহকে ভগ্ন করিয়া আত্মাকে উন্ম,ক্ত করিয়া দেয় সে অামাদেরই সৌভাগ্য । এই দেহ এই সংসার হইতে যদিও আত্ম। অশেষ উন্নতি লাভ করে, কিন্তু ইহাতে চিরকাল বদ্ধ হইয় থাকিলে আত্মা অধোগতি প্রাপ্ত হয় । যেমন নব-প্রন্ধঢ় বৃক্ষ সকল যতদিন সবল না হয়, ততদিন পাত্র বিশেষে স্থাপিত ও রতি দ্বারা বেষ্টিত হইয়া বৰ্দ্ধিত হয়, কিন্তু পরে সে পাত্র ও বৃতি অপসারিত করিয়া দিলেও ভাঙ্গার উন্নতি হইতে থাকে, সেই ৰূপ আত্মা শরীর ও সংসার হইতে মুক্ত হইয়া অনন্ত জীবন লাভ করিয়া ঈশ্বরের অনন্ত প্রসারিত ক্রোড়ে বৰ্দ্ধিত হইত্তে থাকিবে । অতএব মৃত্যু কেবল মৰ্ত্ত্য জীবনের সীমা মাত্র, তাছার পরেই অমরত্ব ও অনন্ত জীবন। কিন্তু এই মৰ্ত্ত জীবনে ও সেই অমৃত জন্ম রানুরাগ

  • .

८पाशश*न मा रहेन जांभद्रा शङ्का-डद्र ७ মৃতু্য-যন্ত্রণা অতিক্রম করিতে পারি না ধৰ্ম্ম সেই যোগস্থাপনের এক মাত্র উপায় । ধৰ্ম্মের প্রসাদে আমরা সংসারের অনিত্যতা, শরীরের সহিত আত্মার অচির সম্বন্ধ এবং ঈশ্বরের সহিত নিত্য যোগ বুঝিতে পারি। ধৰ্ম্মই আমাদিগকে বিষয়-বৈরাগ্য এবং ঈশ্বশিক্ষণ দেয় । আমরা ধৰ্ম্মের সাহায্যে জীবনকে মৃত্যু হইতে অমৃতে লইয়া যাইতে শিথি এবং ঈশ্বরের আদেশ পালন করিয়া তাঙ্কাতেই জীবিতবানু থাকি এবং র্তাহার রুপায় পবিত্র হইয়া ঠাই র আনন্দময় সন্নিকৰ্ষ লাভ করিতে থাকি । যাহারা বিষয়ে আসক্ত, তাচারা এই সংসারে শৃস্থল-বদ্ধ । তাহাদের শৃঙ্খল স্বর্ণনিৰ্ম্মিত বলিয়া কি তাহাদিগকে সৌভাগ্যবান বলিব ? সংসার-বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া যাহারা নিশ্চিন্তু থাকিতে পারে, তাহাদিগকে জীবিত বলা যায় না, তাঙ্গর সম্পূর্ণ মৃত । তাঙ্গদের শবীরের গতি শক্তি দেখা যায় বটে, কিন্তু তাঙ্গদের আত্মা অসাড় । তাছাদের অন্তরস্থ সদবুদ্ধি নিদ্রিত আছে অথবা হাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছে । যাহারা সংসার-সম্পদে মত্ত, তাকাদের দশ এই ৰূপ শোচনীয়। এক জন সুলেখঞ্চ কহিয়াছেন যে নরকে সামান্য ব্যক্তি ও রাজাদিগের মধ্যে বিশেষ প্রভেদ লক্ষিত হয় না, তৰে অপেক্ষাকৃত উচ্চৈঃস্বরে রোদন ও প্রবলতর অজ্ঞধারা বিসজ্জন এই চিকু দ্বারা শেষোক্ত ব্যক্তিদিগের পরিচয় পাওয়া যায়। এৰূপ কল্পনার একটি নিগূঢ় তাৎপৰ্য্য আছে । ধন মদে মত্ত ঘোর বিষয়ীদিগের সুখ সম্পদ, মান সন্ত্রম অংশ ভরসা এই সংসারেই বন্ধ, উপহার ইচ্ছা পূর্বক এ সংসার পরিত্যাগ করিতে চান না, সুতরাং