পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૨ শাখায় মধুর স্বরে গান করিয়া লোকের মনোহরণ করে, অদ্য তাহারাও ক্ষান্ত নাই, তথাচ বোধ হইতেছে যেন প্রকৃতি কোন অপূৰ্ব আবরণে অবগুষ্ঠিত হইয়া এক্ষণে আমাদিগের নিকট উপস্থিত হইয়াছে। কোন অভিনব সৌন্দর্য্য নিঃসৃত হইয়াই যেন প্রকৃতির মুখঐতে বিরাজ করিতেছে । অদ্য বাহ্য প্রকৃতির যেমন এই আশ্চর্য্য পরিবর্তন, অন্তঃ প্রকৃতিতেও এই রূপ এক অনিৰ্বচনীয় পরিবর্ত্ত ঘটিতেছে। এক্ষণে মন যেন শত গুণ উৎসাহে জ্বলিয়া উঠিয়াছে । আনন্দের স্রোত আনিবাৰ্য্য বেগে চলিতেছে । হৃদয়-কপাট উদঘাটিত হইয়াছে। পবিত্রতার উৎস অন্তস্থল শীতল করিয়া উৎসারিত হইতেছে । শান্তিসলিল মানসক্ষেত্রকে আপ্লাবিত করিতেছে, এবং সাধুভাব সকল অঙ্ক,রিত হইতেছে. আদ্যকার এই ভাৰ কোন ঐন্দ্রজালিক ব্যাপারে ঘটে নাই, ইহা কল্পনাও আনয়ন করে নাই, ইহা মনের বাস্তবিক ভাব । এই ভাব যে কোন ক্ষুদ্র লক্ষ্য চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত উৎপন্ন হইয়াছে তাহা নহে । লোকের কোলাহল, আলোকের পরিপাট ও অন্যান্য বাস্থ সৌষ্ঠব দশনে যে উৎপন্ন হইয়াছে তাহা নহে । সমস্ত দিন বন্ধুবান্ধবগণের উৎসাহ-পূর্ণ মুখত্র যে উৎপন্ন হইয়াছে তাহাও নছে । ইচার হেতু অতি মহানু গৃঢ় ও গভীর । আজিকার দিনের প্রশস্ততাই মনের এই ভাবকে উদ্দীপিত করিয়া দিতেছে । বহুকাল অবধি এই বঙ্গ দেশের মুখে একটি অজ্ঞানন্ধকারের আবরণ ছিল, অদ্য তাঙ্গ উন্মুক্ত হয় । বহুকাল অবধি এই বঙ্গ দেশের দুর্বল অধিবাসির ভ্রাপ্তির কুটিল কুমন্ত্রণায় পথচুত হইয়া ছিল, আদ্য তাহাদিগের গন্তব্য পথ আবিষ্কৃত হয়। বঙ্গবাসির অমৃত বোধে গরল পান করিয়া মুচ্ছিত হইয়াছিল, حتی :קב-י הפי* לילדיביר". ʻw * * করিতে না পারিয়া অবস্থার ক্রীত দাস স্বৰূপ হইয়া কাল যাপন করিতে ছিল, অদ্য তাহাদিগের নিষ্কৃয় প্রদত্ত হয়। বিকারের অন্তর্নাহ ও তৃষ্ণায় বিচেষ্টমান হইতেছিল, অদ্য তাহাদিগের জন্য উপযুক্ত ঔষধ ও পথ্য প্রস্তুত হয় । অদ্য মহাত্মা রাজা রামমোছন রায় স্বগীয় ব্রাহ্মধর্মের বীজ এই বঙ্গ দেশে রোপিত করেন । এই কারণেই মনের এই ৰূপ ভাব উৎপন্ন হইয়াছে । অদ্য এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মেরই উৎসব । মনুষ্যের হস্ত এই উৎসবের বাহিরে এমন কিছুই আয়োজন করে নাই, যাহাতে লোক সকল প্রলুব্ধ হইয়। এই উৎসবে অগসিয়া যোগ দেয়, কিন্তু ইহার ভিতরে এমন এক সৌন্দর্য্য আছে যে দেখিবামাত্র মন মোহিত না হইয়া থাকিতে পারে না । বাহা সৌন্দর্য অচিরস্থায়ী, কখন দৃষ্টির অনুকূল কখন ব। প্রতিকুল হইয়া থাকে। যাহার এই বাহ সেীমদর্ম্যে মোহিত হন, আমরা তাহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া কহিতেছি না, তাহার এই সমুদায় ব্যাপারকেই ত প্রছেলিকা বোধ করিলেন । কিন্তু যাহার কোন বিষয়ের আ1ভ্যন্তরিক সৌন্দর্য্য আস্বাদন করিতে পারেন, অদ্য তঁাহারাই এই উৎসব ক্ষেত্রের প্রকৃত সভ্য । বাহ সৌন্দর্য্য গ্রহণে চক্ষু প্রভৃতি ইন্দ্ৰিয়ই কারণ হইয়া থাকে কিন্তু এই উৎসবে মনুষ্যের ইন্দ্রিয়ের কিছুমাত্র ব্যাপার নাই । এই উৎসবের সহিত আত্মারই বি শেষ সম্বন্ধ । যে আত্মা জ্ঞান ভাব ও ইচ্ছাকে ধৰ্ম্মের অবিরোধী করিতে পারিয়াছে, কাৰ্য্যকে বিশ্বাসের অনুগামী এবং কৰ্ত্তব্য বুদ্ধিকে তেজস্বিনী করিয়াছে, অদ্যকার উৎসব তাহাকেই মোহিত করিতেছে । যে আত্মা আপনার স্বাধীন ভাবের মুলে ঈশ্বরকে দেখিতেছে, আপনার ইচ্ছাকে ঈশ্বরের