পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফালগুৰু ه ۹۶ و দিনে এখানে ব্ৰহ্মনামের জয় পতাকা উড়ান করিয়া জগতে সত্যের জয় ধৰ্ম্মের জয় বিশ্ব.বিজয়ী ব্ৰহ্মনামের জয় ঘোষণা করিলেনসমুদায় ভারত-ভূমির আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা লাভের সুপ্রশস্ত ধৰ্ম্মবক্স উন্ম,ক্ত করিয়া দিয়া এই ব্রাহ্মসমাজৰূপ অপার কীৰ্ত্তিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিলেন, তিনি যে দিনে সবল দুৰ্বল, পণ্ডিত মুখ ভীরু সাহসী, স্বদেশী বিদেশী সকলকেই তুল্য ৰূপে ব্রাহ্মসমাজমন্দিরে ব্রহ্মোপাসনা করিবার অধিকার নির্দেশ করিলেন; অাজ সেই পবিত্র দিন সেই মাঘের পবিত্র একাদশ দিবস ; আজ কার এই উৎসব কি সাধারণের উৎসব হইবে ন ? ইহা কি বঙ্গ দেশের—সমুদায় ভারত বর্ষের—সসাগর। পৃথিবীর ধৰ্ম্মজীবী জীব- | দিগের মহোৎসব নহে ? এই পবিত্র পরি অষ্টাত্রিংশ সান্ধৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ শুদ্ধ উন্নত ধৰ্ম্ম-জনিত উৎসবকে কি কোন ৷ পরিবার বিশেষের আনন্দ উৎসব বলিয়া নিরস্ত থাক যাইতে পারে ; স্থৰ্য্য যেমন সাধারণের আলোক বিধাতা, ঈশ্বর যেমন পাপী পুখ্যায়। সকলেরই পরিত্রাতা মুক্তি দাতা, উদার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-জনিত এই উৎসব সেই প্রকার সকল দেশীয় সকল লোকেরই মহোৎসব । де যিনি ধর্মের উন্নতিকেই জগতের প্রকৃত উন্নতি বিবেচনা করেন, আত্মার উৎকর্ষ | সাধনকেই মনুষ্যের পরম পুরুষাৰ্থ বলিয়া ! স্বীকার করেন, তাদৃশ মহাপুরুষ আজি হিমাচলে, কি সিন্ধু-সলিলে, ইউরোপ খণ্ডে, কি আমেরিক রাজ্যে যেখানে কেন অবস্থান করুন না, আজকার বিমল আনন্দ, নদ নদী সিন্ধু সাগর, পৰ্বত প্রস্তর উল্লঙ্ঘন করিয়া দ্বার প্রশস্ত হৃদয়-ভূমিকে প্লাবিত করিবেই করিবে । , , s যিনি সমুদায় মানব জাতিকে স্বাভাৰিক ভ্রাতৃ-ভাবে আবদ্ধ হইয়া সাধারণ २०१ পিতা একমেবাদ্বিতীয়ং সৎস্বৰূপ পরমেশ্বরের উপাসনায় নিমগ্ন দেখিতে ইচ্ছা করেন, তিনি তো সমুদায় মানবকুলের সাধারণ উপাসনা গৃহ-স্বৰূপ এই আদি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা-দিন স্মরণ করিয়া প্রেমোৎফুল্প হৃদয়ে ঈশ্বরের যশোগানে প্রবৃত্ত इड्रे८दन्ड्रे । যিনি অপৌত্তলিক ধৰ্ম্মস্থত্রে সমুদায় মনুষ্য জাতিকে আবদ্ধ হইতে অভিলাষ করেন, যিনি ধৰ্ম্মজনিত সকল প্রকার বিবাদ বিসস্বাদকে পৃথিবী হইতে চির কালের জন্য বিদায় দিয়া তৎপরিবর্তে আন্তরিক অচ্ছেদ্য ভ্রাতৃ-ভাব বিস্তারিত করিবার প্রার্থনা করেন, তিনি এই উদার উন্নত একেশ্বর-প্রতিপাদক অপৌত্তলিক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম-জনিত এই উৎসবআনন্দ ভিন্ন আর সাংসারিক কোন কাৰ্য্য সন্দর্শন করিয়া কৃতার্থ হইবেন ? ধৰ্ম্ম-জনিত মত-ভেদই লোক-সমাজের একমাত্র অনৈক্যের কারণ । ধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার দূষিত বিশ্বাসই পরম্পর বি দ্বেষ বৈর ভাবের অন্যতর সোপান । বৃণিত সাম্প্রদায়িক মতই মানবকুলের স্বাভাবিক ভ্রাতৃ-ভাব বিনাশের এক মাত্র সাধন । , ব্রাহ্মধৰ্ম্মে—পবিত্র ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে তাদৃশ কোন কলঙ্ক, কোন অপবাদ নাই। এই মোহান্ধ মৰ্ত্ত লোকের মধ্যে এক-ঈশ্বর-প্রতিপাদক নিষ্কলঙ্ক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সমুদায় মানবকুলকে ধৰ্ম্মজনিত বিবাদ বিসম্বাদ হইতে নিষ্কৃতি দিয়া সেই ব্রহ্মের দিকেই লইয়া যাইতে আবিভূর্ত হইয়াছেন। তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট দিশাহারা মনুষ্য-মণ্ডলীর মধ্যে কেবল একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বরেরই যশ কীৰ্ত্তন করিতেছেন । তিনি ঈশ্বর-পিপাসু ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসু জনগণের ধৰ্ম্ম-তৃষ্ণ শাস্তির জন্য উচ্চৈঃস্বরে এই সত্য প্রচার করিতেছেন, ব্রহ্মের শরণাপন্ন হও, তিনি বিনা আর গতি মুক্তির অন্য উপায়