পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ادبیا ۹ ه ess রাছেন। সেই তেজ বিপুল কৃষ্ণবর্ণ অন্ধকরকে দুর করিয়া থাকে, যজ্ঞ কালে যাজিকেরা যেমন স্বরুযুক্ত যুপকে আজ্য দ্বারা সংশ্লিষ্ট করেন, সেই ৰূপ ইষ্ঠার আকাশে আপনার রূপকে ওতপ্রোত করিয়া থাকেন। তৎপরে ইছারা বৰ্দ্ধনশীল সুর্য্যকে আশ্রয় ; করেন ৷ ১ ৷ ৬ ৷ ২৪ ৷ ctыдандида, st ব্রহ্ম-বিদ্যালয় । ষোড়শ উপদেশ। ঈশ্বরের সঙ্গি ক্ষে বাস । SBB BBBBB LSBBBBB BBSBBB পৰিতৃপ্ত ত ইয়া ত প্রকfম হই ছেন ৷ ” যেমন বাহ্য বস্তুর সহিত আমাদের এক প্রকার সম্বন্ধ দেখিতে পাওয়া যায়, সেই ৰূপ সেই পূর্ণ-স্বৰূপ সৰ্বস্রষ্টার সহিত মনুষ্যের একটি নির্দিষ্ট সম্বন্ধ আছে । আলোকের সচিত চক্ষুর ও শব্দের সহিত কর্ণের কি ৰূপ সম্বন্ধ ইহ। যেমন নিজের পরীক্ষা ব্যতীত অন্যের বাক্যে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না, সেই ৰূপ তাহার সহিত আমাদের কি ৰূপ সম্বন্ধ, তাহা স্বয়ং পরীক্ষণ না করিলে আর কেহই স্পষ্টাক্ষরে আমাদিগকে বুঝাইয়া দিতে পারে না । আমরা তাহাকে কখন পিতা, কথন মাতা, কখন সখী ও কখন রাজা বলিয়া সেই সম্বন্ধ প্রকাশ করিতে যাই ; কিন্তু অস্তরে সেই সম্বন্ধ যেৰূপ অনুভূত হইতেছে তাছার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখিতে পাই, তিনি পিতাও নহেন, মাতাও নহেন, সখাও নহেন, রাজাও নছেন ; প্রতুতি পিতা হইতেও অধিক, মাতা হইতেও অধিক, সখা হইতেও অধিক, রাজা হইতেও অধিক । পিতা মাতা প্রভৃতি বাক্য দ্বারা আমরা সংসারের যে সকল গুরুতর সম্বন্ধ প্রকাশ করিয়া থাকি, র্তাহার সহিত সম্বন্ধ তাহ অপেক্ষাও গুরুতর । পিতা মাতার স্নেহে, সখার . ব্রহ্ম-বিদ্যালয় । | ২১ন প্রেমে ও রাজার ন্যায়পরতায় তাহার বিমল মঙ্গল ভাব প্রতিবিম্বিত হইতেছে দেখিয়া আমরা সেই সকল শব্দ জাহাতেও আরোপ করিয়া থাকি । বস্তুত তিনি ঈশ্বর, আমরা মনুষ্য ; ইল ব্যতীত আর কোন শব্দে সেই সম্বন্ধ প্রকাশ করা যায় না । কিন্তু সকল দেশের সকল কালের সকল মনুষ্যই যে সেই সম্বন্ধে বদ্ধ হইয়া আছে, তাহাতে কিছুমাত্র সংশয় নাই। প্রথমে ঈশ্বরের সহিত মধুময় সম্বন্ধ হৃদয় দ্বারা গূঢ় ৰূপে অনুভূত হইয়। থাকে, তৎপরে জ্ঞানের উন্নতি হইলে তাহা চিন্তার বিষয়ীভূত হয় । আমরা যে অবস্থায় থাকি, কখনই সে সম্বন্ধের ব্যতিক্রম হয় না। আমরা হয়তে বহুকাল তাঙ্গ বিস্মৃত হইয়া থাকিতে পারি, কিন্তু কখন তাহার অন্যথা করিতে পারি না । সেই সম্বন্ধ আমাদের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে সংঘটিত হইয়াছে ও জীবনের সঙ্গে সঙ্গে অনন্ত কাল থাকিবে । ঈশ্বরের সহিত এই ৰূপ সম্বন্ধ বিদ্যমান থাকাতেই প্রকৃতিস্থ অবস্থায় কোন মনুষ্যই তাহার প্রতি উদাসীন থাকিতে পারে না । মনুষ্য যখনি জানিতে পারেন আমার উপরে আমার ঈশ্বর আছেন, তথনই তঁাচার হৃদয় ভাবে পরিপূর্ণ হয় এবং সেই ভাবপূর্ণ হৃদয় নেতা হইয় তাহাকে ঈশ্বরের সন্নিহিত করে । তখন তিনি স্পষ্ট ৰূপে ঈশ্বরের সন্নিকৰ্ষ অনুভব করিতে থাকেন । এই রূপ ঈশ্বরের সন্নিকর্ষ উপভোগ করাকে ঈশ্বরের সহবাস কহে । কিন্তু যদি ঈশ্বরের স্বৰূপ বিষয়ে ভ্রান্তি থাকে, ঈশ্বরকে সৰ্বস্থানে সমান ৰূপে বিদ্যমান বলিয়া যদি বিশ্বাস না থাকে, প্রত্যুত যদি এই ৰূপ বোধ থাকে যে ঈশ্বর স্থানবিশেষে অবস্থান করিতেছেন, তাহা হইলে ঈশ্বরের মধুময় সহবাস উপভোগের অত্যন্ত ব্যাঘাত জন্মে। অতএব প্রথমে এই তত্ত্বে