পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ 2, seg sa RAL : is do m ms _i கம் তত্ত্ববোধিনী পত্রিক και πεντ, και υτη রিতে পারে, জাহার আর কিছু মাত্র সংশয় য়া ভঁাহাকে ঈশ্বর হইতে બરે तूनि নিক্ষিপ্ত} নাই । o ঈশ্বর পৃঙ্গ উদ্দীপিত হইলেই মন ব্যাকুল হইয় তাহাকে অনুসন্ধান করে এবং অন্তরেই বৰ্ত্তমান দেখিয়া আপ্যায়িত হইয়া হার সন্নিহিত হয় । তিনি ভক্তবৎসল ; যে ব্যক্তি ভক্তি সহকারে টাঙ্গার নিকটে গমন । করে, তিনি আপনাকে দিয়া তাঙ্কার হৃদয় পরিপূর্ণ করেন । এবম্বিধ অৰস্থায় মনুয্যের হৃদয় এক একবাব তা হাতে এমনি আসক্ত হয় যে, টাঙ্গকে পরিত্যাগ করিয়া বিষয়াস্তুরে । ব্যাপৃত হওয়া গির পক্ষে নিতান্ত ক্লেশকর হইয় উঠে । মনের সহিত বাক্য যীশ্লকে থাকে । ন! পাষ্টয় নিবৃত্ত হয়, তিনি তাকে করতলন্যস্ত আমলকের ন্যায় প্রাপ্ত হইয়া— । সম্মুখস্থ জড় পদার্থ অপেক্ষাও উহার স- : স্তুতে সমধিক প্রতীত হইয়া আনিব চনীয় অfনন্দ রস আস্বাদন করিতে থাকেন । যদি কেহ এক ক্ষণের নিমিত্ত্বও সেই অবস্থা । প্রাপ্ত হইয়া থাকেন, তবে তিনি অন্যান্য পারিবেন,তাহা কি পবিত্রতর---কি উচ্চতর— কি স্পৃহনীয় অবস্থা । মানুষের মন প্রতি দিন নানাবিধ অবস্থায় নিক্ষিপ্ত হইতেছে ; যাহারা নিয়মিত ৰূপে আত্মানুসন্ধান করেন, পুখানুপুস্বৰূপে সেই সকল বিচিত্র অবস্থার উচ্চতা ও নীচতা পরীক্ষা করিয়া থাকেন, র্তাঙ্গর নিশ্চয়ৰূপে জানেন যে, ঈশ্বরসহবাসে মন যে অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তাহার সজ্জিত আর কোন অবস্থারই তুলন। হইতে পায়ে না ; যখন মনে ঈশ্বর-স্পচা নাই, তখন মনে করা উচিত যে, মন অবশ্যই বিকৃত অবস্থায় আছে । যদি কেহ সেই বিরুত অবস্থাতেই পরিতুষ্ট হইয়া কালাতিপাত করিতে থাকেন, তাঙ্ক হইলে সেই বিকার আরও বৰ্দ্ধিত হ করে যে দেখিলেই বোধ হয়, যেন ঈশ্বরের সহিত ইষ্ঠার কোন সম্বন্ধ নাই। চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখ, এক্ষণে এই অবস্থার লোক অনেক দেখিতে পাইবে । প্রথমে ঈশ্বর ও ধর্মের প্রতি উদাসীনত হয় ; সেই অবস্থায় সতর্ক হইতে না পারিলেই ক্রমে ক্রমে ঈশ্বর ও ধৰ্ম্মের প্রতি আশ্রদ্ধা উৎপন্ন কয় : তৎপরে তাহার চরিত্র ক্রমে ক্রমে মলিন হুইয়া উঠে। মানুষ এই ৰূপে আত্মক্কত দোষে অপে অপে নরকগামী হইতে পরিণামে মঙ্গলস্বৰূপ ঈশ্বরকে সকলেরই আবশ্যক হইবে ; কিন্তু এক্ষণে উtঙ্গ হইতে যিনি যত দুরে বিচ্ছিন্ন হইতেছেন, পরিণামে তাহাকে তত কষ্ট স্বীকার করিতে হইবে । যখন প্রথমে শরীরে রোগের সঞ্চার হইতে থাকে, তখন অবধিই সতর্ক হওয়া উচিত ; নতুবা দুঃসহ যন্ত্রণ উপস্থিত হইতে পারে । তাত্মা শরীর অ পেক্ষা ও সমধিক যতনীয় বস্ত্র, অতএব তাহার অবস্থার সন্ধিত তুলনা করিলেই জানিতে । প্রতি আমরা যেন অবহেলা না করি । সকলেরই উচিত, প্রতি দিন অন্তত এক বার করিয়া অস্তরে সেই অন্তর্যামী পুরুষের সহিত সাক্ষাৎকার করেন এবং তাছার সহ বাস-জনিত ভূমানন্দ লাভ করিয়া ভঁাহার দিকে উন্নত হইতে থাকেন । যদি প্রতিদিন নিয়মিত ৰূপে এই রূপ অভ্যাস করিতে পারা যায়, তাহা হইলে সেই অভ্যাস ক্রমে বিস্তারিত হইয়া আত্মাকে সমস্ত দিন ঈশ্বরের সন্নিধানে সংস্থাপিত রাখিবে এবং তাহাকে অধৰ্ম্ম হইতে, অনাচার হইতে, অশাস্তি হইতে রক্ষা করিবে । প্রতিদিন পরীক্ষা করিয়া দেখ, অদ্য প্রাতঃকাল অবধি নিদ্রাকাল পর্যন্ত কত বার ঈশ্বরকে বিস্তৃত হইলাম এবং পর দিনের জন্য সতর্ক হও যেন, আর তত বার তাহাকে বিস্তৃত হইতে না হয়।