পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি আলস্য ও ঔদাস্য তোমাকে বিপথগামী না করে, তাহা হইলে এই ৰূপ অত্যাদ দ্বারা তাহার পবিত্র সহবাস তোমার নিকটে দিন দিন অধিক কাল স্থায়ী হইতে থাকিবে। আত্মোৎকর্ষ বিধান । } ; যিনি যে পরিমাণে যত্ন করিবেন, তিনি তত । অধিক কাল ভাঙ্গর সঙ্গে অবস্থান করিতে পাইবেন এবং তাঙ্গর আত্মা ক্রমে ক্রমে নব জীবন লাভ করিয়া নবতর কল্যাণ তর কপি ধারণ করিবে । அறகம் আত্মোৎকর্ষ বিধান । ২৮ ৬ সংখ্যক পত্রিকাির ৩৫ পৃষ্ঠার পর । বলিবেন, “ তুমি যে কথার উল্লেখ করিতেছ, ইঙ্গ শুনিতে উত্তম বটে, কিন্তু তদনুরূপ অনুষ্ঠান করা অসাধ্য । যাহারা নিভৃত 叶为一 ধৃতে বসিয়া স্বপ্ন দেখে, তাহারা নানা প্রকার মতের সুন্দর সুন্দর স্বত্র সকল বয়ন করিয়া থাকে ; কিন্তু লুঙ্গ-নিৰ্ম্মিত তন্তু-জাল যেমন বায়ু-সংযোগে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায়, তদ্রুপ কার্য্যে পরিণত করিতে হইলে উক্ত স্থূত্র সমস্তও খণ্ডিত ও অকিঞ্চিৎকর হইয় পড়ে । তোমার ইচ্ছা সকল লোককেই সুশিক্ষিত করিতে হইবে ; কিন্তু সমাজের আবশ্যক এই যে, অধিকাংশ লোককেই কৰ্ম্ম করিতে হইবে: এখন এই দুই পক্ষের মধ্যে কোনটি প্রবল হওয়া সম্ভব ? বস্তুত অধিকাংশ লোকেই যে কায়িক পরিশ্রমের নিমিত্তে সৃষ্ট হইয়াছে, আত্মোৎকর্ম বিধানের নিমিত্তে নহে, এই সত্যটি লোক-ব্যবহার-প্রণালীতে দেদীপ্যমান রহিয়াছে ; অনুমান-সিন্ধ কোন দুর্বল ক। পনা সত্যের নিকটে কদাচ স্থান পায় না” ঈদৃশ কঠিন ভাষায় আপত্তির আভাষ দিবার তাৎপর্য এই যে, আমরা সকলেই ২২৩ هم در این عده خ-مجسمنت سید حمایت بیمه : " ، অসঙ্কোচে উহার প্রতি পর্যবেক্ষণ করিতে পারিব । কিঞ্চিমাত্র প্রণিধাম করিরা দেখিলেই উক্ত ৰূপ আপত্তির অসারত সহজে अङि°म्न झ्हेब्द । मूखि ७ अनूङद डेङबहे উহার বিরুদ্ধে সমুথিত হইবে যিনি প্রত্যেক মনুষ্যকে যুক্তি বিবেক স্নেহ প্রভৃতি প্রদান করিয়াছেন, সেই পরম জ্ঞানী বিশ্বপিতার অভিপ্রায় এই যে, তৎসমুদায় বৃত্তি অবশ্য প্রকাশিত হইবে এই ৰূপ অনুভব নিঃসন্দেহ অতিশয় বলৰান ; এবং ইহাও বিশ্বাসের অযোগ্য যে, যিনি সমুদয় মনুয্যকে এই রূপ প্রকৃতির অধিকারী করিম সৃষ্টি করি এই সমস্ত প্রস্তাবে যে প্রকার মত প্রকাশ য়াছেন, তিনি অধিকাংশ লোকের এতাদৃশী করা হইল, বোধ হয়, তাগতে বিস্তর আ- নিয়তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছেন যে, অম্প পত্তি উদ্ভাবিত হুইবে । অনেকেই আমাকে লোকের উপকারার্থে তাছার উৎকর্ষ প্রতি রোধী দাসবও পরিশ্রমে সমস্ত জীবন অপ ব্যয় করিবে । ফলত মানবীয় অtষ্মাকে হ্রস্ব করা কদাচ ঈশ্বরের অভিপ্রেত হইতে পারে না । আমরা যখন প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই, শরীরের কোন যন্ত্রই অব্যবস্থার দ্বার বিকল হইয়া পড়িবার উদ্দেশে সৃষ্ট হয় তখন আত্মার শক্তি সমুদায় চিরকাল নিরুদ্ধ ও জড় হুইব থাকিবে বলিয়া প্রদত্ত হইয়াছে, ইহা কি প্রকারে বিশ্বাস করা যায়। হয় ত এ কথার এই রূপ উত্তর প্রদত্ত হইবে যে প্রত্যক্ষ-সিদ্ধ বাস্তবিক তথ্য সকল হইতেই ঈশ্বরের অভিপ্রায় সংস্কলিত হইবার বিষয়, কেবল অনুমান-সিদ্ধ কাল্পনিক সিদ্ধান্ত হইতে নহে; এবং ইহাও একটি সুস্পষ্ট তথ্য যে সমাজের সুশৃঙ্খলা ও সুপ সৌভাগ্য ( যাহা ঈশ্বরের অভিপ্রেত বলিয়া অবশ্যই অনুমান করিতে হইবে ) কেবল ইতর লোক সমূহের হস্ত-কৃত কৰ্ম্মের উপরেই নির্ভর করে, তাহাদের মনের উন্নতির উপরে নহে । ইহাতে আমার প্রত্যুত্তর এই যে, যাহাতে মানসিক শক্তি সমুদায়ের বিধংস অবশ্যক