পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه ۹ : erry: চৈতন্য বলিয়া নির্দেশ করেন, এবং আর একটি অনিৰ্বচনীয় পদার্থ কল্পনা করিয়া থাকেন—তাহ মায়া বা অজ্ঞান নামে অভিহিত হয়। যত ক্ষণ শুদ্ধ চৈতন্য মায়াতে আক্রান্ত না হন, ততক্ষণ র্তাহার কর্তৃত্ব শক্তি থাকে না এবং তখন র্তাহাকে ঈশ্বরও বলা যাইতে পারে না । তিনি মায়া দ্বারা উপহিত হইলেই ঈশ্বর শব্দের প্রতিপাদ্য হন। সেই ঈশ্বর নানাবিধ জীব ও আকাশাদি সমুদায বাহ বস্তু ৰূপে আবির্ভূত হইয়াছেন। আমরা সৃষ্টির পুর্বে অনুপস্থিত শুদ্ধ চৈতন্য মাত্র’ছিলাম এবং সেই এক বার যে অজ্ঞানাবৃত হইয়া জীব-ৰূপ ধারণ করিয়াছি; जूहि जूह्नि ऊय-ऊयांछल्ल लांड করিয়। অদ্যাপি সেই অজ্ঞানে উপহিত হইয়। অাছি যত দিন এই অজ্ঞানকে বিনাশ রব, তত দিন পুনঃ পুনঃ ভোগ করিব । ج;s; sب অজ্ঞান হইতে মুক্ত অনুপহিত চৈতন্যের মুক্তি---কেবল জ্ঞান হইয় পুনরায সেই l K. অবস্থা প্রাপ্ত হওয়াই দ্বার। এই মুক্তি লাভ করা যায়, উপাসনা প্রভুতি ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের সহিত ইহার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ নাই । তবে যদি কামনা শূন্য হইয়। ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করা যায়, তাহা হইলে সেই প্রকার জ্ঞান লাভে আনুকুল্য প্রাপ্ত হওয়া যায়; এবং সকাম হইয়া অনুষ্ঠান করিলে স্বর্গ লোকে গমন করা যায় । যদি ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা উপস্থিত না হয়, তাহা হইলে পুণ্যক্ষয়ানন্তর পুনরায় পৃথিবীতে জন্ম হইয়া থাকে এবং যদি কেহ পৃথিবীতে । মুক্তি সাধন অথবা ধৰ্ম্ম সাধন না করেন, তাহা হইলে তিনি আরও অপকৃষ্ট লোকে গমন করেন । ষে ৰূপ কৌশলে এই মতটি সংস্থাপিত। হইয়াছে, তাহাতে জন-সমাজের ধৰ্ম্ম-নীতি আকুলিত श्त्व मोहे बस्ने; क्खुि - * * -' * , , - І я l * * n - . . . • .' .." !, . 'i - - - * ! ':', - 曾 *,★ * - - - 1 - \, n s . . . ' - .” l ייץ * ) ,\ ." - * . . i. - ra I -. * * હરે | কিন্তু সেখানে গিয়াও ! করিয়া সন্ন্যাস-ধৰ্ম্ম অবলম্বন করাতে সেই পৌত্তলিকতার প্রতিবিধানও সুদূর-পরা হত হইয়াছে র্যাহারা আপনারদিগকে তাদৃশ ব্রহ্ম-জ্ঞানের অধিকারী বলিয়া জানিতেন, তাহারা পরম পুরুষাৰ্থ মুক্তি লাভের এক মাত্র উপায়-স্বৰূপ ব্রহ্মোপাসনাকে তাদৃশ আবশ্যক বোধ করিতেন না। আত্মসাধারণ ব্ৰহ্মজ্ঞান যে নিতান্ত স্কুলত বলিয়া এ দেশের লোকের সংস্কার জন্মিয়াছে, ইহাই তাহার এক মাত্র কারণ; এবং ঈশ্বরের জ্ঞান ও তাছার আদিষ্ট ধৰ্ম্ম একত্র করিয়া যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আবিভূর্ত হইয়াছেন, ঐ কারণেই তাহ তাহারদের নিকট নূতন বলিয়া প্রতীত হইতেছে । এই ৰূপে সৰ্বস্রষ্টা পরমেশ্বরকে স্রষ্টার পরিবর্তে নিৰ্ম্মাতা বলিয়। র্তাহার সহিত অামারদের সম্বন্ধ সঙ্কচিত করা অথবা অবিদ্যা নামক কম্পিত পদার্থে সৃষ্ট্ৰি-শক্তি আরোপিত করিয়া সেই বিশ্বকৰ্ম্মাকে অকৰ্ত্ত। বলিয়া অবধারণ করা ব্রাহ্মধর্মের উপদিষ্ট নছে । যিনি সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্তা, তিনিই ব্ৰহ্ম এবং সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্তা কেবল এক মাত্র ঈশ্বর-ইছাই সত্য ! সেই স্রষ্ট পাতার সহিত কি নিগৃঢ় সম্বন্ধে বন্ধ হইয়া আছি, তাহা আলোচন কর এবং সেই সম্বন্ধ কি . কি কৰ্ত্তব্যের উপদেশ প্রদান করে, তাহ। অৰহিত হইয়া, শ্রবণ কর । তিনি কি উদেশে আমারদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি কি উদেশে আমারদিগকে পালন করিতে ছেন, তাহ অনুসন্ধান কর , সেই মহান উদ্দেশ্যই যেন আমারদের জীবনের উদেশ্য হয় । আমরা আপনা হইতে উৎপন্ন হই