পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 সমগ্র মনুষ্য-কুলের ধৰ্ম্ম-তৃষ্ণ শাস্তি করিয়া তাহারদিগকে চির-তৃপ্ত রাখিতে পারে । তথাপি একাল পর্য্যস্ত ক্রমাগত এক সম্প্রদায়ের সহিত অন্য সম্প্রদায়ের সাংঘাতিক বিরোধে ধৰ্ম্মের লিজাতীয় আন্দোলন ও আলোচনা উপস্থিত হইয়া পৃথিবীর অনেক উপকার হইয়া ত্যাসিয়াছে । তাড়িত-রাশি এক মেঘ হইতে মেঘান্তরে সঞ্চালিত হইবার সময়ে যেমন ঘোর গজ্জন শ্রত হয়, সেইৰূপ মানব কুল যখন অবলম্বিত দূষিত কলঙ্কিত ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় পরিত্যাগ করিয়া কোন প্রকার উন্নততম সত্য ধারণ করিবার জন্য অগ্রসর হইয়াছে, তখনই জন-সমাজে মধ্যে মধ্যে মহা আন্দোলন উপস্থিত হইয় দেশ বিদেশকে কম্পিত করিয়া তুলিয়াছে । কিন্তু তস্থার বিশেষ অনিষ্ট ও অপকার না হইয়া প্রচুর ইষ্ট সংসাধিত হইয়াছে । পৃথিবী যেমন স্তরে স্তরে সংরচিত হওয়াতে বৰ্ত্তমান ভূ-পৃষ্ঠ মনুষ্য জাতির বাস-যোগ্য হইয়াছে, তেমনি ধৰ্ম্ম-বিষয়ক বিবিধ আন্দোলন ও আলোচনার পর ধৰ্ম্মের প্রকৃত স্বৰূপ প্রকাশ পাইতেছে । যে যে কারণে অপরাপর ধৰ্ম্ম সমুদায় সাধারণ মানব-জাতির মধ্যে ঐক্যসংস্থাপন ও সুখ শান্তি সমুদ্ভাবন করিতে | পারে নাই ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মে তাদৃশ কোন একটি ক্রীন ভাব ও অপরুষ্ট লক্ষ্য নাই—প্ৰত্যুত যে সমস্ত মহদ্ভাব ও উন্নত লক্ষ্য থাকিলে সমুদায় যানব-কুলকে এক স্থত্রে গ্রথিত করিতে পারা যায়, অসম্প্রদায়িক অপৌত্তলিক ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম সেই সমস্ত স্বৰ্গীয় ভাবে অলঙ্গত হইয়া পৃথ্বীতলে অবতীর্ণ হইয়াছেন । তিনি কোন দেশ-বিশেষের বা জাতি বিশেষের পক্ষপাতী হইয়া উপস্থিত হন নাই, সমুদায় মানব-কুলের গতি মুক্তির জন্য, দুঃখ দুৰ্গতি পরিহার করিবার নিমিত্তেই, অবনী মণ্ডলে অবতীর্ণ হইয়াছেন । ধৰ্ম্ম d

- - * יי יי יאן לו- י م بي . z " R i - * -- " - " ' " ، رم . گن . : 號 ," . . . . . . . .” ..} . . . . . - - i - p _ er, ' 2 § ". ,"- גי, !. * F n - r • * r s r - in r - - 1 “ےau : I_ ، ٦ ' '.ம்: * - ·*鷲*智*響 * * * این سری اس تفنگ - . r s i - 1. . A.'," 3. به سه ه"، اسلام است و به : • é o - - : - p • यू: ' * , , , , , ", !". " ...,' ' ' ' - - - i - - Bh *+ i * 1 t J. .' •፳ !. i. *. - i * * “I o t - . . - r i wo রাজ্যের মধ্যে তিনি মনুষের কর্তৃত্ব ও স্বধীমতা রক্ষা করিয়াই ঈশ্বরের সিংহাসন তাহার উপরে প্রতিষ্ঠিত করিতে আগমন করিয়াছেন । পাপী গল্পী, সাধু অসাধু, সকলকেই ঈশ্বরের হস্তে সমর্পণ করিষার জন্য অভূদিত হইয়াছেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম জামারদিগের হস্ত ধারণ করিয়া সেই খানে— সেই “ মহতে মহীয়ালের" নিকটে লইয়া যাইতেছেন, যাহার নিকটে দণ্ডায়মান হইলে “পিতা অপিত তবতি, মাত৷ অমাতা"। ভূমগুলে সকল গুরুর মধ্যে মাতা যিনি পরম গুরু, যে পিতা আকাশ অপেক্ষাও উচ্চতর, ই হারা সকলেই সেই গরীয়ান গুরু ঈশ্বরের সমীপস্থ হইলে পুত্রের সহিত সমভাৰ ধারণ করেন । যেমন সমুদ্র সম্বন্ধে শিশির-বিন্দু, যেমন পৰ্বত সম্বন্ধে বালু-কণা, সেই ৰূপ সেই বিশ্বপিতা অখিল-মাতার তুলনায় ই তাদের স্নেহ করুণ মঙ্গল-ভাব সকলই সংকীর্ণ ও কণীয়ান বোধ হয় । এমন যে জ্ঞান-গম্ভীর প্রেমোজ্জল উন্নত-লক্ষ্য মুক্তি-প্রদ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, ইহার প্রতি কেক উদাসীন হইও না । সকলে প্রাণ-পণে ইহঁাকে রক্ষণ ও পোষণ কর। ছে বিদ্যা-বিনয়-সম্পন্ন জ্ঞানীগণ । তোমরা এই পরিশুদ্ধ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অনুগত হইয়া উপজ্জিত জ্ঞানের সমন্বয় কর । হে তীক্ষ্ম-বুদ্ধি সুধীগণ ! আপনাপন প্রবল মেধা প্রকৃষ্ট বুদ্ধি দ্বারা ব্রাহ্মধর্মের প্রখর সত্য-সকল অবধারণ করিয়া বুদ্ধি-চাতুর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন কর । হে সরল-মতি সাধু সজনসকল ! তোমরা আপনারদিগের কোমল হৃদয়ে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া জীবনকে স্বগীয় ভূষণে ভূষিত ও অলঙ্কত কর । ছে ধন-শালী প্রতাপশালী মহাত্মা গৃহস্থসকল ! তোমরা ব্রাহ্মধর্মের শরণাগত পদনত হইয়া ধনের সাকলা, পদের মর্য্যাদা,