পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ n l সছ করিয়াছে, কুত্ৰাপি জন্য কোন ব্যাপার উপলক্ষে তাহার সহস্রাংশের একাংশও সন্থ করে নাই । ধৰ্ম্ম উপলক্ষে মনুষ্য-কুল দেশ বিশেষে এক বাক্যে যে প্রকার শৌর্য্য বীৰ্য্য প্রকাশ করিয়াছে, রাজার দুৰ্জ্জয় শাসনেও কোন জাতিই তাদৃশ রণ-নৈপুণ্য প্রকাশ করে নাই। কত মনুষ্য নিষ্কাসিত হত-সর্বস্ব হইয়াছে, তথাপি ধৰ্ম্মকে পরিত্যাগ করে নাই । য়িক ব্যাপার উপলক্ষে তীরুভা ও দুর্বলতার সহস্ৰ নিদর্শন প্রদর্শন করিতে দেখা সমর-সজ্জা ধারণ করিতে কিছু মাত্র আকুলিত হয় নাই । কাহার না ইং বিদিত আছে, যে নৃশংস ও নিষ্ঠর রাজা কর্তৃক আক্রান্ত হইয়া এই ভারতবর্ষ বাসী জনগণ ধৰ্ম্ম রক্ষার জন্য কত ছুঃসহ যন্ত্রণ স্বীকার করিয়াছেন, যথাসৰ্বম্ব বিসৰ্জ্জন দিয়াছেন— কত অসংখ্য মনুষ্য অক্লেশে অম্লান বদনে শক্র কর্তৃক ছিন্ন-শিরা হইয়াছেন, তথাপি প্রাণাপেক্ষ প্রিয়তর অবলম্বিত ধৰ্ম্মকে পরিত্যাগ করিয়া বিজাতীয় ধৰ্ম্ম-গ্রন্থকে স্পর্শও করেন নাই । মানব-কুল ধর্মের নামে সহজেই জাগ্রৎ ও উত্তেজিত হয় দেখিয়াই কত কত কুটিললক্ষ্য মনুষ্য সময়ে সময়ে উত্থিত হইয়া ধৰ্ম্মের আবদ্ধ করিয়া কত প্রকারে অসম্ভাবিত স্বার্থসাধন করিয়া আসিয়াছেন । ধৰ্ম্মকে উপ লক্ষ করিয়া দেশ বিদেশ জয় করত জগতী- : তলে ভয়ানক আধিপত্য বিস্তার করিয়াছেন। সহস্ৰ সন্ত্ৰ লোকের স্বাধীনতা হরণ করিয়া পুষ্ট-স্বল হইয়া ও ৰিপুল বল লাভ করত ভূমণ্ডলে স্বতন রাজ্য সাম্রাজ্য পর্যন্ত সংস্থা পৰ করিয়াছেন । কেহ বা ঈশ্বরের সিংহা- | সনে আপনাকে স্থাপিত করিয়া উহার একই যে সমস্ত জাতিকে অপরাপর বৈম- | গিয়াছে, কিন্তু ধৰ্ম্ম-লোপ আশঙ্কায় তাহারও ! W අ ව জদ্বিতীয় পুত্র বলিয়া লোক সমক্ষে আপ নার পরিচয় দিয়াছেন, কেহ বা সেই অনা দ্যনন্ত মহানু অপ্রতিম পরমেশ্বরের অবতার ৰলিয়া আপনাকে ধাতা পাতা মুক্তিদাতা ৰূপে প্রতিপন্ন করত লোকের পূজাহ হইয়াছেন । এই ৰূপে উtহারা ধৰ্ম্মকে কলুষিত কলঙ্কিত করিয়া জগতে অনৈক্য ও অসদ্ভাব বিস্তার করিয়া গিয়াছেন । ভূমণ্ডলের কোন স্থানে প্রচারকদিগের প্রতারণা ও দূষিত ব্যবহারে, কুত্ৰাপি বা সত্য ধৰ্ম্মের প্ররোচনা সহকারে নানা দল নানা সম্প্রদায় সংরচিত হইয়াছে । কখন বা সহস্ৰ সহস্র মনুষ্য ধৰ্ম্মতৃষ্ণায় আকুল ও অস্থির হইয়া কোন ব্যক্তি বিশেষের আস্থানে ধাবিত হওত পিপাসার অনুৰূপ জল-লাভে বঞ্চিত হইয়া ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গিয়াছে, কখন বা কোন ৰূপ উদ্ধত সত্য লাভ করিয়া অগণ্য লোক নুতন সম্পদায়ে পরিণত হইয়াছে । কোন সময়ে কোন ব্যক্তি-বিশেষের গুপ্ত অভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া উtহার কৃত্রিম বাহ ক্রিয়া সনদর্শন করত উহাকে মহাপুরুষ বোধে স্ট্রাঙ্গর বিষপূরিত মধুরাবৃত উপদেশে উৎসাহিত হইয়: জ্ঞান-শূন্য ক্ষিপ্তের ন্যায় ঈশ্বরের পরিবর্ত্তে তাহাকে আদর্শ করিয় উঙ্গের অনুকরণ করাই ধৰ্ম্মের প্রধান অঙ্গ বিবেচনা করিয়াছেন, কখন বা কৰ্ত্তব্য-জ্ঞান প্রস্ফুটিত হওয়াতে আপনার ভ্রম প্রমাদ সকলই বৰিতে পারিয়া আপনারদিগের দূষিত আচরণ পরিত্যাগ পূর্বক পরিশুদ্ধ ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত্ব হইয়াছেন । ঈদৃশ বিবিধ কারণে মনুষ্যজাতি অটল ভাবে ধৰ্ম্ম-জনিত দৃঢ়-বন্ধনে আবদ্ধ হইয়। একাদি ক্রমে উন্নতি-সোপানে উত্থিত হইতে পারেন নাই । ভূমণ্ডলে সময়ে সময়ে যে সমস্ত সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম প্রচারিত হইয়াছে , তাহারদিগের মধ্যেও ঈদৃশ কোন প্রকার সামর্থও ছিল না,যদ্বারা