পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. * دننه و د sfarه রাখিয়া কোন জড় বস্তুর সত্ত্ব আমরা কল্পনা করিতেও পারি না । আকাশস্থিত বস্তু মাত্রেরই কোন না কোন প্রকার আকার অবশ্যই থাকে। বায়ু যে এমন সুক্ষ পদার্থ, তাছাও নিরাকার নহে। এক মাত্র আকাশই এই আকারের নিয়ামক । অতএব ঈশ্বরকে আকাশের মধ্যে আনিয়া যতই কুক্ষন করিয়া ধ্যান কর,কোন প্রকার আকার না দিয়া আর থাকিতে পারা যায় না । দেখ, নিরাকার জ্ঞান-স্বৰূপ ঈশ্বরকে মন দ্বারা গ্রহণ করা যাইতেছে না । এই স্থলে আমাদের মন একে বারে পরাভূত হইল । আকাশের অঙ্গীত আমার প্রতি দৃষ্টিপাত । কর । সহসাই মনে হয়, আত্মা শরীর ৰূপ আাধারে আধেয় ৰূপে অবস্থান করিতেছে ; কিন্তু বাস্তবিক তাহ! নয় । শরীর না থাকি লেও আত্মার অবস্থানের কোন ব্যাঘাত হয় না। আত্মা শরীরে আধেয় ৰূপে নহে, নিয়ন্ত ৰূপে অবস্থান করিতেছে । বাঙ্গ সকল আকাশকে অবলম্বন করিয়াই তাহাকে সঞ্চালিত করে, ব্যোমযান ডাহার আাধারভূত নহে ; সেই ৰূপ আমাদের আত্মা আর এক অলৌকিক শক্তি অবলম্বন করিয়া শরীরকে সঞ্চালন করিতেছে, শরীর তাঙ্কার আধার হইয়া নাই । আকাশের সহিত এই আত্মার কোন সম্বন্ধ নাই । আকাশের অতীত বলিয়াই আত্মাকে জড়ের ন্যায় মনে আনিতে পারি না। কিন্তু আত্মা কালের অতীত নহে ; এক সময় উৎপন্ন হইয়াছিল ; সেই তাহার কালের সঞ্ছিত প্রথম সম্বন্ধ হইল । তৎপরে আত্মা ক্রমাগতই এক অবস্থা হইতে অবস্থান্তরে পরিবর্তিত হইতেছে ;.এই পরিবর্তন ৰূপ ক্রিয়া দ্বারাই সে আপনাতে কালের रूप्लग्न नश्डि मिठा नबदक जबक इहेक्षा জাছে। যেমন আকাশ না থাকিলে জড় বস্তু এক বার ! ব্ৰহ্ম-বিদ্যালয় । থাকিতে পারে মা, সেই ৰূপ কাল ব্যতিরেকে 24 কোন ক্রিয় উৎপন্ন হয় না ; কাল হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া কোন ক্রিয়ার সত্তাও আমরা ভাবিতে পারি না । আমাদের আত্মা কালস্থত্রে অনুস্থত থাকাতেই পরিবর্তন স্রোতে তাসমান হইতেছে ও সেই পরিবর্তন সকল উপলব্ধি করিয়াই আপনাকে জানিতে সমর্থ হইতেছে । দেখ, আকাশের অতীত বস্তু আত্মাকে কেমন সুক্ষম বলিয়া বোধ হইতেছে । তথাপি সে কালের অতীত নহে। ঈশ্ব রকে কি এই ৰূপ আমারদের ক্ষুদ্র আত্মার ন্যায়—আমারদের ক্ষুদ্র মনের ন্যায়ও মনেগোচর করিতে পারি। র্তাহাতে যেমন ৰূপ রসাদি জড়ীয় গুণ নাই, সেই ৰূপ অামারদের আত্মার মানসিক পরিবর্তনের ন্যায় কোন ক্রিয়া বা অবস্থান্তরও নাই । তাহার যে জ্ঞান ইচ্ছা মঙ্গল ভাব সমুদায় সৃষ্টি কার্য্যে দেদীপ্যমান হইয়া আছে, তহ। কি আমরা অামা ব্যোমযানের : দের মানসিক জ্ঞান ভাব ও ইচ্ছার ন্যায় মনো দ্বারা গ্রহণ করিতে পারি ? তাহার যে বিষয়ে মন দেওয়া যায়, তাহাই অনাদি ও অনন্তু বলিয়া প্রতীয়মান হইতে থাকে । আমাদের ক্ষুদ্র আত্মা কেবল আকাশের অতীত বলিয়া কত সুক্ষ বোধ হইতেছে । কিন্তু যিনি আকাশ ও কাল উভয়েরই অতীত, র্তাহাকে আমাদের মন কি প্রকারে গ্রহণ করিতে পারে । 食 অচিন্ত্য ও অনিৰ্বচনীয় পরমেশ্বর বাক্য মনের অগোচর, ইহা কেবল অন্যের মুখে শ্রবণ করিয়া নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত নহে । প্রতি সাধককেই আপনার আপনার মনের শক্তি পরীক্ষা করিতে হইবে । তদ্বারা ঈশ্বরের অচিন্তু স্বৰূপ ও অনিৰ্বচনীয় প্রকৃতি প্রতীতি করিয়া জীবন সার্থক হইবে, আপনাদের ক্ষুদ্রতা অনুভূত হওয়াতে সেই মহানের ভাব অস্তরে প্রক্ষুরিত হইয়া উঠিবে এবং