পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বিশেষ মিশনটি বিভিন্ন দণ্টিভঙ্গির মধ্যে সামঞ্জস্য সাধনের এবং বিচিত্র সংস্কৃতির সমন্বয় সম্ভারের মধ্যে নিহিত রহিয়াছে । ইউরোপও এই কাজটি চাহিয়াছে। কিন্তু কিভাবে ? এশিয়ায় ও আফ্রিকায় ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের কী কীর্তি ? আফ্রিকা ও এশিয়ার যে-সব প্রাচীন অধিবাসী ইউরোপীয় সভ্যতার প্রভাবে আসিয়াছিল, তাহদের কী অৰস্থা দড়িাইয়াছে ? আমেরিকা নিগ্রো-সমস্যার সমাধান কিভাবে করিয়াছে ? ইউরোপ-আমেরিকার সেই পথ ভারত পরিহার করিয়াছে। এ দেশ তাহার নিজের অন্তরের আলোতে সমস্যা-সমাধানের পথ সম্প্রধান করিয়াছে । বণাশ্ৰম ধমের মধ্য দিয়া বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর সমন্বয় সাধন ভারতবর্ষা করিয়াছে। কিন্তু আজ অবস্থা অন্যরােপ। তাই এখন আমাদের আরো উদার বিজ্ঞাননিভাির সমন্বয় চাই । অ্যান্দোলনের ক্ষেত্রে প্রগতি আমি মনে করি ভারতীয় ইতিহাসের পরিচয় শােধ ধর্মে ও সংস্কৃতিতেই দেওয়া যায় না, এমন-কি খেলাধােলার ক্ষেত্রেও তােহর পরিচয় দেওযা যায় । ক্ৰীড়াক্ষেত্রেও ভাবত তার স্বাতক্ষেত্র্য চিহ্নিত হইতে পারে। ইউরোপের একপ্রাপ্ত হইতে আরেক প্রান্তে ভারতীয় হকি খেলোয়াড় দল যেভাবে তাঁহাদের বিজয়ী ভ্ৰমণ সারিয়াছেন তাহাতে বোঝা যায় যে ভারত এই খেলোয়াড় দলের এক উপযক্ত মাতৃভমি। সম্প্রদায় বিশেষের প্রতিনিধিত্বের জন্য এই দল নিশ্চয়ই १ाठेिठ श्व नाथे ! ভারতের বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় সাধন একটি মাস্তবড়ো কাজ । তাহাতে আমাদের ভয় পাইলে চলিবে না। বরং এই দায়িত্বের গরভার আমাদের উদ্দীপ্ত করােক । কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না ভারত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাইতেছে, ততদিন ভারতের সবাংগীণ বিকাশ কখনোই সম্পভব नशौं। এই প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই যে ভাবতের নবজাগরণ পাশ্চাত্য প্রভাবে একটি যান্ত্রিক উপায়ে হয় নাই । আমি বিশ্বাস করি, ইংলন্ড যদি আজ ভারত হইতে তািলগতলপা গটাইয়া নেয, তথাপি ভারতের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। ভারত কখনোই অন্ধকার দিনগলিতে ফিরিয়া যাইবে না। হে আমার তরণের দল, আপনারা মশাল হাতে বাহির হইয়া পড়ন, সারাদেশে বিপ্লব, জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেমের আগমন জবােল৷ইয়া দিন । গ্রেট ব্রিটেন দরে থাক, বিশেবর কোনো শান্তিই সেই পবিত্র অগিন নিবাপিত করিতে পরিবে না । CYN YSARY ֆԳ