বিজয় সিংহ । উদয় সিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন “সরম! তুমি এখানে ?” সরমা । অমিলার সমাধি করিতে আসিয়াছি। 1. উদয় । এ কার্য্য কে করিল ? সরমা । অমিল আপনি করিয়াছে। , এই দলিয়। সবম অমিলা সংক্রান্ত ੇ ঘটনাবীি বিবৃত করিল। উদয় সিংহ স্থিরচিত্তে সে সমস্ত শ্রবণ করিশেন । তাহার চক্ষু ফাটিয়া জল আসিল, কহিলেন “বিজয় তুমি ভাগ্যধর, এ দেবী তুল্য রমণী যাহার প্রণয কাঙ্খিণী সে মনুষ্য নয়, দেবতা । কিন্তু আমি পিশাচ, আমি নরকের উপযুক্ত, আমার কপালে সে মুখ ঘটবে কেন ? আমি যে অনন্তকাল নবকযন্ত্রণ ভোগ করিব, সলমা ! নরকযন্ত্রণ। আবার কি ? সবম! এই দেখ, এই বক্ষমধ্যে দেখ নরকাগ্নি প্রধূমিত হইতেছে। নিরস্তর তাহাতে অগ্নি উদগম হইতেছে । " সরমা স্তস্তিতেব ন্যায দাড়াইয়ু রহিল, চক্ষে জল আসিল, মনে মনে বলিল ! “বিধাতঃ ! তোমার মনে এই ছিল,আমি যে উদয় সিংহকে কায মনোবাক্যে মনে মনে আত্মসমর্পণ করিয়াছি, আজি অামাব সে আশালতা উন্মলিত হইল ! আমি যে উদয় সিংহের জন্য কত ক্লেশ, কত যাতনা সহ্য কলিয়াছি, সে উদয় সিংহ আমার হইবে না আমার সকল অাশা সকল যত্ন ব্যর্থ হইল ? ” আধার তবে অামাব মনোবাঞ্চ পূর্ণ হইবে কেন? কি ভাবিয়া বলিল “অমিলা ত নাই, এখন ত উদয়ের হৃদয় পবিবৰ্ত্তিত হইতে পারে। ” উদয় সিংহকে বলিল “আপনি ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভব হইয়। কি রূপে যবনকন্যায় পাণিগ্রহণ-লালসা করিয়াছিলেন ?” § উদয়, সরসে ! যখন অমিল বিজয় সিংহের গৃহে ছিল, তখন ত ইহাকে যবনী বলিয়া কেহ জানিত না । অ ও ভূক্ষণে – ন ন শুভক্ষণে অামি একদিন মাত্র তাহাকে দেখি, সেই মূহুৰ্ত্ত হইতে । অামাব হৃদয়ে অমিলার রূপ গঢ়তর’ অঙ্কিত হয় । পরে কারাগারে জনিলাম যে অমিল যবনী, মনকে তখন তাহার আশা ত্যাগ করিতে "বলিলাম, কিন্তু জন ত তাহ শুনিল না। অমিল যে অীমার হইবে না তfহ জানিতাম, কিন্তু অশ ত ত্যাগ করিতে পালি নাই । আজি আমার এতদিনের সযত্নপালিত { আশালতা, দলিত হইল । সরমা । যাহা হইযাছে তাহার উপায় কি, এখন হইতে তাহাকে বিস্তুত ইউন । উদয় । সরমা ! অমিলাব সে মুক্তি কি হৃদয় হইতে কখন তাপস্থত হইবে ? যতদিন জীবিত থাকিব ততদিন তাহীকে কখন বিষ্কৃত হইব না । সরস. ইহা কি সম্ভব ? উদয় সরমে, আমি ঈশ্বরের শপথ করিয়া বলিতেছি যে এতদিন, যেমন অমিলাব মূৰ্ত্তি হৃদয়ে আরাধনা করিতাম, তপ | i ;
