পাতা:তারাচরিত.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
২৫

তরঙ্গ মালার ন্যায়, ঘন ঘন এই চিন্তা-উর্ম্মি উদয় হইতে লাগিল, যে কেমন করিয়া পৃথ্বীরাজ সেই অসংখ্য সৈন্য জয় করিয়া আসিবেন। এই রকম ভাবিতেছেন এমন সময়ে পৃথ্বীরাজ স্বয়ং বীরবেশে জয় পতাকা উড্ডীন করিতে করিতে আসিয়া তারাকে সম্বর্দ্ধন করিলেন এবং বলিলেন রাজকুমারি অদ্য আমার দুঃখের নিশি প্রভাত ও সুখের দিন উপস্থিত হইল। এই বলিয়া তিনি নিরস্ত হইলেন। তারা মনে মনে মহা আনন্দিত হইয়া প্রফুল্ল চিত্তে বলিলেন, বীর বর তবে আর এখানে ক্ষণ বিলম্বেব আবশ্যক হইতেছে না, চলুন যাইয়া পিতৃদেবের নিকট টোডা জয়ের সংবাদ আমরা দিইগে।

 এইরূপ কথোপকথন হইতেছে এমন সময়ে তাঁহারা শুনিলেন যে লিল্লার সহোদর যুদ্ধার্থে অগ্রসর হইতেছেন। শুনিবামাত্র তাঁহারা বিদ্যুতবেগে আফগানীয় সৈন্যের সম্মুখীন হইলেন। তাঁহাদের সহকারী বীরপুরুষ সকল তাহদের পাশ্ববর্ত্তী হইল। পুনর্ব্বার ঘোরতর সংগ্রাম হইল। টোডা রাজ্য আফগাণীয় অধিকারে থাকে এই আশায় লিল্লার সহোদর যত শৌর্য্য বীর্য্য প্রকাশ করিলেন সকলই বিফল হইল। পরিশেষে তিনিও রণভূমিতে মানবলীলা সম্বরণ করিলেন।

 পৃথ্বীরাজ ও তারার যুদ্ধ জয়ের বৃত্তান্ত লিল্লার পরম বন্ধু আজমীরাধিপতি নবাব মল্লুুখাঁ, অচিরকাল মধ্যেই শুনিতে পাইলেন। শ্রবণমাত্রই অতিশয় রোষ পরবশ হইয়া বলিলেন