পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g নিষ্ফল হইল দেখি সব আকুঞ্চন । কুমারের রক্ষী প্রতি করেন তখন । “ওহে পুররক্ষি ! শুন আমার বচন । t কুমীরে লইয়া যাহ রাণীর সদন | : আছে কোন গুপ্ত দুখ কুমারের মনে | | কহিতে লজ্জিত ভাই আমার সদনে | এই এক যুক্তি মম এসে অনুমানে । প্রকাশ করিতে পারে বিমাতার স্থানে, তাবনী-নাথের পেয়ে তাদেশ তখন । কুমাবে লইয়ু রক্ষা করিল গমন । রাণীর অন্দরে গিয়া হয়ে উপনীত । কহিতে লাগিল কথা বিনয়ু সহিত | “ঠাকুরাণি । খ্ৰীচরণে করি নিবেদন । বাক শক্তি হারায়েছে রাজার নন্দন { কিম্বা কোন নিদারুণ দুঃখের কারণ ! কাহারে সহিত নাহি করে তালাপন ৷ একারণ মহারাজা পড়িয়া সম্বটে। পাঠালেন যুবরাঞ্জে তোমার নিকটে । এই মনোমধ্যে অাছে অাশ সে তাঁহার } প্রকাশ করিতে পারে লীক্ষাতে তোমার, এ কথা শ্রবণে রাণী উল্লাসে ভাসিল । আপনার মনে মনে এই বিচারিল | ,তাজি কিবা সুপ্রভাত আমীরপক্ষেতে সুপি বিধি অনুকুল হলেন ভাগ্যেতে | fচরদিন যেইক ল প্রতীক্ষা করিয়ু । ছিলাম চাতকী প্রায় অীশ ধেয়াইয় | | সেইকাল হৈল বুঝি উদয় এখন। চাহিতে নীরবে হযু বারি বরিযণ ! ইহাতে আমার নাহি বিপদ ঘটিবে। অনায়াসে মনোআশ সুসিদ্ধ হইবে। যদি তুর্জি হীন বাক্য হারাইয়া থাকে । কোন মতে না পরিবে কহিতে কাহাকে । যে সকল কথা আমি কহিব উহারে । ন পারবে কহিবারে আপন পিতারে | | যদিও ধৃষ্টত হেতু করে প্রকটন। ছলেতে পারিব তাহা করিতে গোপন | | কহিব রাঙ্গারে, এরে কথা কহাইতে । ছলে হেন উক্তি আমি করিয়াছি ইর্থে | দুই মতে দুই দিক রহিবে বঙ্গায় । কামনা পূরিবে না ঠেকিব কোন দায় }, । ठूद्र कौशू झेऊिशनं । এইৰূপ যুক্তি স্থির করিয়া তখন । অনুচরীগণে কহে করিতে গমন । তাহারা আদেশ পেয়ে বাহিরে যাইল । একাকী কুমার সহ মহিষী রহিল। বিরলে পাইয়া তাল গলে হাত দিয়া । কহিল প্রণয়গৰ্ভ বচন রচিয়া | ,কি কারণ ওরে স্বন ! হু চলে এমন । তান্তর বিরস মুখে ন সরে বচন | আমার নিকটে কিছু করেন। গোপন । তোমাতৈ তামির স্নেহ মায়ের মতন | আপন গভঙ্গ পুঞ্জ যেমন প্রকার। তোর প্রতি মোর স্নেহ ততোধিক তার বিমাতার সন্সেহ-বচন আকর্ণনে । কুমার ইঙ্গিতে তারে জানায়ু সেক্ষণে } আছে কোন গঢ় হেতু ইহার কারণ } তাই মেীমরত তাছি করিয়া ধারণ { কিন্তু রাণী বিপরীত ইহাতে বুঝিল । দ্ধি গুণ সে কামা গুণ জুলিয়া উঠিল । এই সে তাপন মনে কৈল অমুমান । , “কুমার দহিছে বুলি অামার সমান । যেমন আমার মন উহার কারণ । তামার কারণ বুঝি ওর বা তেমন | পিতার মর্যাদা হেতু কুমার এখন | রেখেছে মনের ভাব করি যু! গোপন | এইৰূপ ভ্রাপ্তিদাসী উপদেশ মতে । মহীপ-মতি স্ত্রী চলে তা ধর্মের পথে | পরিহরি লোকলাঙ্গ কুলশীল মান । কামবণে হয়ে শেষে তবেশ তাজ্ঞান | কান ভাবে কুমারে করিল সম্বোধন । “ হে প্রাণ বল্লভ ! ওকে হাদযু-র তন ॥ পরিহর মৌনী ভাব করি অনুনয় । ধরি হে করেতে পরিতাপ নাহি সয় | যেই সব দেখিতেছ ভূপের বিভব । নিশ্চয় জানিবে তুমি অামারি সে সব { যদি তুমি কর তাহা অামি যাহা বলি । কেহবে তোমার তুল্য বলে মহাবলী ॥ পূর্ণ হবে অভিলাষ কি বলিব আর । অনায়াসে এই রাজ্যে পাবে অধিকার }