তৃণান্ধুর S OS যে উপত্যক দেখে গিয়েছিলাম-আবার জ্যোৎস্না রাত্রে নিমফুল ও শালমঞ্জরীর ঘন সুবাসের মধ্যে সে সব স্থান দেখলাম । রাণীঝর্ণার পথে পাহাড়ে উঠে গোড় জাতির গ্রামে আবার বেড়িয়ে এলাম। আজ বেড়িয়ে এলাম সকালে কাকড়গাছি ঘাট। সারা পথের দুধারে বন, তবে এখন শাল ও মহুয়া গাছ প্ৰায় নিম্পত্র-তলায় সাদা সাদা মহুয়া ফুল টুপি টাপ ঝরে পড়চে। রাখামাইনস। ছাড়িয়ে খানিকটা গেলে বন বেশ ঘন, বড় বড় BDDDBDBDBD BBuBLSS BBDBDBD D DD DBBBBSYSTDD S DDD চারিধারেই পাহাড়ের শ্রেণী । ছোট একটা ঝরণা আছে- তবে এখন। ঝরণাতে জল খুবই কম। ওদিকে বনগাছের শোভা এদিকের চেয়ে সুন্দর। অপরাহে বা জ্যোৎস্নারাত্ৰে যে এসব স্থানের শোভা অপূর্ব হবে সেটা বুঝতে পারা খুব কঠিন নয়। নীরদ বাবুৱা গরুর গাড়ীতে এলেন—আমি দেখলাম ওর চেয়ে হেঁটে আসা অনেক বেশী আরামের। বাংলোর সামনে ছোট বাধটাতে স্নান করে এলাম। জল বেশ ভাল। খুব সম্ভব। আজই রাত্রে কলকাতাতে ফিরবো । কাল রাখামাইনস থেকে বৈকালে হেঁটে আমরা তিনজন চলে এলাম শালবনের মধ্যে দিয়ে অস্তসুৰ্য্যের আলোয় রাঙানো সুবর্ণরেখা পার হয়ে । আজ সকালে গালুডির বাংলোর পিছনে সেই শিলাখণ্ডে বসে লিখচি। কাল রাতের চাদটা যে কখন কালাঝোরি পাহাড় শ্রেণীর পিছন দিয়ে উঠল তা মোটেই টের পাইনি-ষ্টেশন থেকে এসে দেখি চাদ উঠে গিয়েচে । কিন্তু অনেক রাত্রে ষ্টেশনের পথের ছোট ডুংরিটার সাদা সাদা কোয়ার্টজ পাথরের চাই গুলো, ছোট বট গাছটা অদ্ভুত দেখাচ্ছিল। আজ সকালে গুইরাম গাড়োয়ানের সঙ্গে দেখা, সে বল্পে ঠিকারী ও ধারাগিরির পথের জঙ্গলে খুব বন, বাঘের ভয়ও আছে। এবার আর যাওয়া হোল না, পূজোর সময় যাবো। এবার জীবনটা খুব গতিশীল হয়ে উঠেচে। এই তো গত শনিবারে রামনবমী, দোলের দিনও বারাকপুরে ছিলাম। দেখলাম আমাদের বাড়ীর পিছনে বঁাশ বনে কিরকম শুকনো পাতার রাশ পড়েচে, নদীর ধারে চটুকাতলা খালের উচু পাড়ে কিরকম ঘুেটুফুল ফুটেচে, রঘুদাসীদের বাড়ীতে ওরা আবার এসেচে পথে রঘুদাসীর সঙ্গে দেখা। তার পরে খয়রামারির মাঠে
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭
অবয়ব