তৃণান্ধুর So G অগ্নিপুচ্ছটা বেঁকে আছে। আকাশের ওদিকটা আলো হয়ে উঠেচে. খুকুকে বালুম,-ঐ দ্ব্যাখ্যা বৃশ্চিক নক্ষত্র তাকে চিনিয়ে দিলুম। রাণু জিগ্যেস করলে—তবে তার বয়েস যদিও খুকুর চেয়ে অনেক বেশি, সে অত বুদ্ধিমতী নয়-পনেরো মিনিট কঠিন পরিশ্রমের পরে তাকে বোঝাতে পারলুম কোনটাকে আমি বৃশ্চিক রাশি বলতে চাচি । এদিকে সপ্তর্ষিমণ্ডল ঢলে পড়াচে ক্রমেই মেজো খুড়ীমাদের রান্নাঘয়ের ওপরে। রাত অনেক হোল, ওরা। তবুও তাস খেলবেই। বেগতিক দেখে বালুম, আলোতে তেল নেই। নইলে ঘুম হবার যো নেই, ওদের খেলার ८व्व्ल । লণ্ঠন নিবিয়ে শুয়ে পড়লুম, রাত তখন বারোটার কম নয়। বিকেলে কালো আর আমি মোল্লাহাটির পথে বেড়াতে গেলাম। আজ দুপুরে যখন এপাড়ার ঘাট থেকে ওপাড়ার ঘাটে সাতার দিয়ে যাই, তখনই খুব মেঘ করেছিল—একটু পরে সেই যে বৃষ্টি এল, আর রোদ ওঠেনি। মেঘ ভরা বিকেলে শ্যামল মাঠ ও দূরের বঁাশ বন, বড় বড় বটগাছ, এক রকম কি গাছ আছে, মখমলের মত নরম সবুজ পাতা ডালপালা ছড়িয়ে দিয়ে ঝোপের সৃষ্টি করে-এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে মোল্লাহাটি ও পাচপোতা বামুনডাঙ্গার পথের মোড়ে গিয়ে একখানা ছই-চাপা গরুর গাড়ীর সঙ্গে দেখা হোল। তাদের গাড়োয়ান জিগ্যেস করলে, বাবুর কাছে কি বিড়ি আছে ? -না, নেই। বিড়ি খাইনে - আপনারা কোথায় যাবেন ? —কোথাও যাবে না, এই পথে একটু বেড়াচ্চি। ফিরবার পথে মনে হোল কলকাতায় থাকবার সময় যখন গাছপালার জন্যে মনটা হাপায়, তখন যে কোনো একটু ছবি, একটা বনের ফটোগ্রাফ দেখে মনে হয় ওঃ কি বনই এদেশে ! প্ৰায়ই বিদেশের ফটো-আফ্রিকার, কি দক্ষিণ আমেরিকার-কিন্তু তখন ভুলে যাই যে আমাদের গ্রামের চারিপাশে সত্যিকার বন জঙ্গল আছে অতি অপূৰ্ব 3C-3-2 frff Grand Evening Annual দেখি তখন ভুলে যাই কত ধরণের অদ্ভুত গাছ আছে আমাদের বনে জঙ্গলে—যা বাগানে, পার্কে নিয়ে রোপণ করলে অতি সুদৃশ্য কুঞ্জবন
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১
অবয়ব