তৃণান্ধুর Σ Σ. Σ তার পর দিন আমরা গালুডিতে গেলাম ডোঙাতে সুবর্ণরেখা পার হয়েচারুবাবুদের বাংলোতে গিয়ে সুরেনবাবু, আমি নেকড়েডুংরি পাহাড়ে গিয়ে উঠে বসলাম । চা খেয়ে আশাদের বাড়ী গিয়ে গান শুনলাম। আশারসেখানে বিজয়ার মিষ্টিমুখ না করিয়ে ছাড়লে না। ফিরবার পথে সুবর্ণরেখাতে ডোঙা পাওয়া গেল না-অপূর্ব জ্যোৎস্নারাত্রে সুবর্ণরেখা রেলের পুল দিয়ে চন্দ্ররেখা গ্রামের মধ্যে দিয়ে অনেক রাত্রে ফিরলাম রাখামাইনসের বাংলোতে । নদী পার হবার সময়ে সেই ছবিটা-সেই নদীর ওপরে জ্যোৎস্নাভিরা আকাশে একটিমাত্ৰ নক্ষত্ৰ দেখা যাচ্চে, নীচে শিলাস্তৃত সুবর্ণরেখা, পশ্চিম তীরে ঘন শাল জঙ্গল, দূরে শ্যামপুর থানার ক্ষীণ আলো, লাইনের বামদিকের গাছগুলো আধা জ্যোৎস্নায় আধা অন্ধকারে দেখা যাচ্চে না, কিন্তু ফুটন্ত ছাতিম ফুলের ঘন সুগন্ধ ; বাংলোতে ফিরে এসে দেখি—প্ৰমোদবাবু এসে বসে আছেন। পরদিন আমরা সবাই মিলে সাটকিটার জঙ্গলের পথে গেলাম--তারপর দিন গালুডি থেকে চারুবাবু, সুরেনবাবু ও মেয়ের এলেন। চারনম্বর খাদানের নীচের জঙ্গলের মধ্যে পিকনিক হােল। ঝুনু, আশা, আমি, চারুবাবু, সুরেনবাবু ও ভিক্টোরিয়া দত্ত বলে একটী মেয়ে সিদ্ধেশ্বর ডুংরি আরোহন করলাম। একেবারে সিদ্ধেশ্বরের মাথায়। একটা অম্লমধুর বনফলের কঁাচা ডাল ভেঙে নিয়ে পাহাড়ে উঠলাম-তৃষ্ণ নিবারণের জন্যে। সেদিন আমি স্টেশনের বাহিরে কি একটা গাছের ছায়ায় পাথরের ওপর বসে রইলাম যেমন সেদিন সকালে আমি ও প্ৰমোদবাবু পিয়ালতলার ছায়ায় প্ৰকাণ্ড শিলাখণ্ডে শুয়ে বটগাছটার দিকে চেয়ে প্ৰভাতী আলোতে অজানা কত কি পাখীর গান শুনছিলাম। • • • • বেলা পড়ে এসেচে-বারাকপুরে বসে এইসব কথা লিখতে লিখতে মন আবার ছুটে চলে যাচ্চে সেই সব দেশে । শীতের বেলা এত তাড়াতাড়ি রোদ রাঙা হয়ে গাছের মাথায় উঠে গেল ! বকুলগাছের মাথায়, বঁাশগাছের মাথায় উঠে গিয়েচে রোদ একেবারে । সেই সুন্দর লতাপাতার গন্ধটা এবার ভরপুর পাচ্চি-ঠিক এই সময়ে ওটা BKD D SS BDBDB qgLBBDB DBDBD BDBDDBD SBBDDLS DDDDSDDBBBBBLL গাছেপালায় শিশির টুপটাপ ঝরে পড়চে-আমি চালতে তলার পথে একা শুধু বেড়িয়ে বেড়াতে লাগলাম। কি রূপ দেখলাম কাল জ্যোৎসুভরা রহস্যময়ী হেমন্ত রাত্রির ! কাল নদীর ধারে বিকেলেও অনেকক্ষণ বসেছিলাম।
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭
অবয়ব