তৃণান্ধুর 8 অনেকগুলা গ্রীক ও শক মুদ্রা, অনেক ছবি, আবুৱাজ্যের প্রাচীর গাত্রে উৎকীর্ণ কতকগুলো মূৰ্ত্তির ফটাে-এই সব দেখে এলাম-প্রবাসী আফিসে আড যা চলচে। ক'দিন, তাও খুব। কাল জগদ্ধাত্রী পূজা-আমাদের চারদিন ছুটী আছে, রাত্রে গেলাম বিভূতিদের বাড়ী, অন্য অন্য বছরের দিনগুলির কথা মনে পড়ে-আজ কোথাও কিছু নেই।-রাত নটার সময় অক্ষয় বাবু ছোট বৈঠকখানায় রেডিও শুনচেন-অন্য বছর যে সময় আগন্তুক ও নিমন্ত্রিতের ভিড়ে সিড়ি দিয়া ওঠা সম্ভব হ’ত না, কোথায় সে উৎসব গেল বাড়ীর-যেন দীন হীন, মলিন সব ঘরগুলো, সিড়িটা, দালানটা । আমাকে অবশ্য খাওয়ার বিশেষ অনুরোধ করা ছিল-অক্ষয় বাবু ও খগেন বাবু বাইরে নিমন্ত্রণে গেল মেজ খোকাবাবুর বাড়ী। অনেক রাত্রে আমি, শীতল, বিভূতি একসঙ্গে বসে নিরামিষ ভোজ খেলাম। রাত বারোটাতে বাসায় ফিরলাম। শুয়েচি-চারিধার নিস্তব্ধ, নিৰ্জন। চাদটা পশ্চিম আকাশে নিম্প্রভ হয়ে ঢলে পড়েচে-নক্ষত্রগুলো পরিষ্কার ও উজ্জল হয়েচে, “অপরাজিতে’র অপুর বন্যজীবনের গোড়াটা লিখচি-তাই বসে বসে ভেবে এই বিচিত্র জীবনধারার কথা মনে হোলडात्री डांनन् coब्लांभ । আজ জগদ্ধাত্রী পূজার সকালবেলাটী, মনে পড়ে অনেক বছর আগে এই ঘরেই বসে বসে হার্ডির ছোট গল্প পড়তুমি এইখানে। আজও সেই ঘরটী তেমনি নিস্তব্ধ, নিশ্চল। কিন্তু পরিবর্তনও কি কম হয়েচে । তখনকার বিভূতি কত বড় হয়ে গিয়েচে-তখনকার সবাই কে কোথায় চলে গিয়েচে । আগামী রবিবারে সুনীতিবাবু, অশোকবাবু, আমি ও সজনীবাবু, চারজনে মোটরে 'পথের পাঁচালী’র দেশ দেখতে যাওয়ার কথা আছে বৈকালের দিকে। দেখি কি হয়। এইমাত্ৰ মহেন্দ্ৰচন্দ্র রায় তার নব প্ৰকাশিত ‘কিসলয়’ বইখানা পাঠিয়েছেন, দেখলাম। খুব ভাল লাগল বইটী। আজকার দিনটী বেশ ভাল কাটুল। সকালের দিকে খুব মেঘ ছিল, কিন্তু দুপুরের পরে খুব রৌদ্র উঠল-তখন বেরিয়ে পড়া গেলা-প্রবাসী আফিসে গিয়ে দেখি অশোকবাবু ও সজনী দাস বসে। চা পানের পরই
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩
অবয়ব