তৃণাঞ্চুর @ ዓ থাকে—সেটা কখনোই বড় সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে না-খুব কলাকৌশল হয়তো দেখানো চলতে পারে, খুব cleverness-এর পায়তারা ভাজা যেতে পারে হয়তো, কিন্তু তা সত্যিকার বড় জিনিস হয়ে উঠতে পারে না কোনো কালেও। চারিধারে মেঘান্ধকার আকাশের কি শোভাটা আজ রাত্রে।--ঠাণ্ডা হাওয়া फ़ि-आभाद्र दछ दांलालिप्नद्ध अश्डूडि भएन आगgb-I am relieving my childhood days—কোন দিনটার কথা মনে আসচে আজ ?--যেদিন বাবার সঙ্গে তমরেজ ও আমি দক্ষিণ মাঠের চাটুয্যেদের জমি মাপতে যাই, প্ৰথম দক্ষিণ মাঠ দেখলাম-কত কুশবন, খোলা মাঠ, আকন্দ গাছ, সেই একদিন আর যেদিন আন্তরালি কালীদের গরুর লেজ কেটে দিয়েছিল, চণ্ডীমণ্ডপে তার বিচার হোল-এই দুটি দিন । আজি দুপুরে হরিনাভি স্কুলের ছাত্ররা এসেছিল। একখানা বই দিলাম नेिgध्र 65ां०) । এইমাত্র ভয়ানক দু’ঘণ্টােব্যাপী ঝড় বৃষ্টি হয়ে গেল-এ বছরে এই প্ৰথম বৃষ্টি-সামনের রাস্তায় এক হাটু জল জমেচে—একটা পাগল কি চীৎকার করে বলতে বলতে যাচ্ছে। এখনও একটু একটু বৃষ্টি হচ্চে-আর জোর বিদ্যুৎ চমকাচ্চে-মোটরগুলো জল ভেঙে যাচ্চে-কি শব্দটা ! রবিবাসরে যে বেলফুলের মালাটা দিয়ে চেতার সুন্দর গন্ধ বেরুচ্চে । রাত এগারটা । আজ রাত্রে ঘুমুতে ইচ্ছে হচ্ছে না—একটা উত্তেজনা, একটা অপূর্ব অনুভূতির আনন্দ । অনেকদিন পরে মনে পড়ে একটা কথা । বাবা আড়ংঘাটা থেকে ঘোর জ্বরে অভিভূত হয়ে বাড়ী ফিরে দাওয়ায় উঠেই প্ৰথম কথা বলেছিলেন-খোকা কৈ, খোকা—? অথচ তিনি জানতেন আমি বোডিং-এ আছি । সেই অসুখ থেকে আর তিনি ওঠেন নি । জীবনের সেই প্রথম শোক । সে কি অপূর্ব অনুভূতির দিনগুলো-তার কি তুলনা আছে ? হাজার বছর বঁাচলেও কি সে সব দিনের কথা ভূলবো কখনও !!-- এই দীর্ঘ ষোল বছরের মধ্যে মাঝে মাঝে কথাটা মনে পড়েই কি অদ্ভুত আনন্দ ও প্রেরণা পেয়েচি ! বাইরের অন্ধকার আকাশটার দিকে চেয়ে ফিরে দাঁড়ালাম। কি অদ্ভুত যে মনে হচ্চিল! ঘন ঘন বিদ্যুত চমকাচ্চে, কোন মহাশক্তির বিরাট কন্দুক ক্রীড়া যেন এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড ও তার প্রাণীদলের উত্থান পতনে-যুগ যুগান্তর ধরে
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩
অবয়ব