Vb e छ्लांडूद्ध ফিরে এলাম, যে পথে বাবার সঙ্গে গঙ্গাস্নানে যৌতুম।-বিজয়রত্ন সেনের সেই বাড়ীটা আজি আটাশ বছর পরে আবার দেখলাম। আজ সকালে উঠে স্নান সেরে রামরাজাতলা গিয়েছিলুম ননীর সঙ্গে দেখা কৰ্ত্তে । স্থানটা আমার ভাল লাগেনি আদৌ । পল্লীর শ্ৰী-সৌন্দৰ্য্য নেই, অথচ শহরের মহনীয়তাও নেই-শহরের মধ্যে দীনতা নেই, কুশ্রাতা কম, যেদিকে চাই, বড় বড় সৌধ, বিশাল আকাশ-আর ওখানে পল্লীর অপূর্ব বনসন্নিবেশ নেই, Space নেই-আছে খোলা ড়েন, দরিদ্র মিউনিসিপ্যালিটীর তেলের আলো আর ওলকচুর বর্ষাপ্রবৃদ্ধ ঘেসাৰ্ঘেসি। ননীর সঙ্গে অনেক কথা হোল। ছেলেটার মধ্যে সত্যিই কিছু ছিল। কিন্তু গেয়ো হয়ে খুলতে পাছেন। ওকে কলকাতায় এনে ভাল সমাজে পরিচিত করে দেবো। বিকেলে বাসায় ফিরলাম। কি সুন্দর আকাশ!-বৃষ্টি নেই অনেকদিন, অথচ মেঘের পাহাড় নানা স্থানে আকাশের । কেমন যে মনে হচ্চিল, তা কি করে বলি । • • • বেলা পাচটাতে রবিবাসর ছিল প্ৰবাসী আপিসে । হেমেনের গানের কথা ছিল, প্ৰথমে অনেকক্ষণ সে এলন । আমি, সজনী, অজিত সকলেই ব্যগ্ৰভাবে তার প্রতীক্ষায় ছিলাম। রবিবাসরে যাবার পথে রাধাকান্তদের মাষ্টার সুশীলবাবুর সঙ্গে দেখা । সুশীলবাবু বিভূতির কথা উল্লেখ করে অনেক দুঃখ কল্পের্ব। সত্যিই ছেলেটা খারাপ হয়ে যাচ্চে সবাই বলে। অক্ষয়বাবুর নাকি মধ্যে একদিন ফিটু হয়েছিল গাড়ীতে-অতিরিক্ত মদ্যপানের ফল। ওদের সম্পত্তিটা অভিশপ্ত-সংযম ও উদারতার অভাবে এবং কতকটা কুশিক্ষা ও দাম্ভিকতার ফলেও ওদের সব নষ্ট श0 6यgउ दgज05 । এই সব ভাবছি। এমন সময় হেমেন এল, গান আরম্ভ হোল। শৈলজা বলছিল তাকে কে কে blackmail করেচে। সাহিত্যক্ষেত্রে এমন দলাদলি সত্যিই দুঃখের বিষয়। নীহারবাবু বল্পে, ওর কে একজন দাদা “পথের পাঁচালী” সম্বন্ধে বলেচেন, আমন বই আর হবে না। সজনী “অপরাজিত’ নিতে চাইলে । খুব খাওয়াদাওয়া ও আডা হোল। হেমেন সত্যিই বল্পে বাঙ্গালীর নিষ্ঠা ও সাধনার অভাব-সস্তা হাততালি ও নাম কিনবার প্রলোভনে আমরা যেতে বসোচি । হেমেন ও আমি নানা পুরানো কথা বলতে বলতে শেয়ালদ’ পৰ্য্যন্ত
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬
অবয়ব