তৃণান্ধুর や> এলাম-ওকে পার্ক সার্কাসের ট্রামে উঠিয়ে দিয়ে বলুম, পূজোর ছুটীতে লক্ষ্মৌতে ऊदांद्र ८श्थ शंद । সত্যিই বড় ভালবাসি হেমেনকে । চাদ ওঠেনি। কিন্তু আকাশে খুব মেঘও নেই। খুব হাওয়া । রাত দশটা-বাসার বারান্দায় বসে লিখচি। দূরের সেই মাকাল-লতা দোলানো ভিটের কথা মনে পড়চে—বর্ষাকালে খুব জঙ্গল বেড়েচে । আজ । বৈকালটী কি অপূৰ্ব্ব হয়েছিল সেখানে---কেবল সেই কথা ভাবি। সেখান থেকে প্রথম জীবন শুরু করেছিলাম-কত পথে চলেচি, কত আলাপী বন্ধুর হাত ধরে-কিন্তু সে জঙ্গলে-ভরা ভিটেটা কি ভুলেচি - ননীকে একদিন সত্যিকার বাংলার রূপ দেখাবে। তারপর সারা রাত আর ঘুম হোল না। এত অপূর্ব জ্যোৎস্নাও কলকাতায় আর কখনো দেখিনি যেন-বর্ষাধৌত নিৰ্ম্মল আকাশে সে কি পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নার খেলা। সারারাতের মধ্যে আমি ঘুমুতে পারলাম নাগুনগুন করে গাচ্ছিলাম “প্ৰলয় নাচন নাচলে যখন আপন ভুলে, হে নটরাজ, জটার বঁাধন পড়লে খুলে” —কেমন একটা আনন্দ ও উত্তেজনা এল—সারারাতের মধ্যে চোখ বুজল না মোটে । সে দিন নীরদ বাবু ও সুশীল বাবুর সঙ্গে মোটরে বহুকাল পরে যশোর গিয়েছিলাম-আবার স্কুলটা দেখলাম,-আবার চাচড়া দেখলাম। শীতের সন্ধ্যায়। চাচড়া দশমহাবিদ্যার মন্দির দেখতে দেখতে কি অদ্ভুত ভােব যে মনে জাগ ছিল-চারি ধারের ঘন সবুজ বেত ঝোপ, পুরোনো মজা দীঘি-মহলের পর মহল নির্জন, সঙ্গীহীন, ধূসর সান্ধ্য ছায়ায় শ্ৰীহীন অথচ গভীর রহস্যময় পাথর-পুরীর মত দেখাচ্ছিল। পেছনের ঘাট-বাধানো প্ৰকাণ্ড দীঘিটাই বা কি অদ্ভুত ! --রাজা রামচন্দ্ৰ খায়ের চাল ধোয় পুকুরই বা দেখলাম কতকাল পরে। একটা সুন্দর প্লট মাথায় এসেচে। -- এই ভাঙ্গা পুৱী, বনেদী ঘরের দারিদ্র্য, জীবনের দুঃখ কষ্ট-Back-ground-এ সব সময়ই পুরাতন দিনের আড়ম্বর ও ঐশ্বৰ্য্য-সহস্ৰ tradition-এই সব নিয়ে। সাধনার কথা বলছিলাম কাল কৃষ্ণধন বাবুর সঙ্গে। সাধনা চাই। আমি
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭
অবয়ব