brや তৃণান্ধুর এই সময়ের সেই পুরাতন দুপুরগুলো ।••• বঁাশের শুকনা পাতার কথা কেন এত মনে হয়, তা বুঝতে পারিনে। সুভদ্রাকে কাল যখন পত্ৰ লিখলুম— তখনও বঁাশবনের কথা ও শুকনো পাতার রাশির কথাই মনে এল। পাপিয়ার গানের কথা বিশেষ করে মনে আছে। এই সব দিনের অতীত দুপুরগুলোর সঙ্গে পাপিয়ার গান জড়ানো আছে, আর জড়ানো আছে অদ্ভুত {3(3 wild Varis !... বেলা পড়ে এসেচে। গোসাইপাড়ার নারকোলতলায় আজও তেমনি মেলা বসেচে, অতীত দিনের মত। বাদা ময়রা মুড়কী ও কদমা বিক্ৰী করচে, গোপালনগর থেকে হয়তো যুগল ও হাজরা ময়রা তাদের তেলে-ভাজা জিবে গজা ও জিলিপীর দোকান নিয়ে এসেচে । বাবার সেই শ্লোকটা-অনেক কালের সেই আমবনের ছায়ায় উচ্চারিত শ্লোকটা আজও আমার মনে আছে। পুরাণো খাতাখানা আজও আছে, नष्ट श्श्वनि । সকালবেলা। নেড়াদের ছাদে বসে লিখচি। গ্রীষ্মের ছুটীতে গ্রামে এসোচি । বাস্তবিকই গ্রামের লোকের সংকীর্ণতা এত বেশী-মনকে বড় পীড়া দেয় । এদের মন চারিধার থেকে শৃঙ্খলিত-খুলবাের অবকাশ নেই। আবালবৃদ্ধবণিতার এই দশা দেখাচি। এদের আচার শুষ্ক ও সৌন্দৰ্য্যবৰ্জিতস্বাস্থ্য নীতির সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই । কাল বিকেলে নদীর ধারে গিয়ে অনেকক্ষণ একলা বসে ছিলাম। বাংলা দেশের, বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলের প্রকৃতির এই যে সৌন্দৰ্য্য-এ অন্য ধরণের। কিছুদিন আগে আমি উড়িষ্যায় গিয়ে সেখানকার বন পাহাড়ের সৌন্দৰ্য্যের কথা যা লিখেছিলাম-এখানে বসে মনে বিচার করে দেখে আমি বুঝলাম তার অনেক কথা আমি ভুল লিখেছিলাম। বাংলার সৌন্দৰ্য্য more tropical-এখানে অল্প একটু স্থানের মধ্যে যত বিভিন্ন শ্রেণীর গাছপালা ও লতা আছে-ওসব দিকে তা নেই। এখানে বৈচিত্র্য বেশী । নীল আকাশ ওখানেও খোলে-মনে অন্যরকম ভাব আনে, তা মহনীয়, বিরাট-এ কথা ঠিকই । কিন্তু বাংলার আকাশ-বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলের কি গ্ৰাম্য নদীর উপরকার যে আকাশ-তার সৌন্দৰ্য্য মনে অপূর্ব শিল্পরসের স্বষ্টি করে—মনে
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২
অবয়ব