তৃণান্ধুর SS থাকলেও যে এমন অপূর্ব রূপ খুলতে পারে, এমন Superb অনুভূতি মনে জাগাতে পারে তা আমার ধারণাও ছিল না । সন্ধ্যা প্ৰায় হয়ে এসেচে। এখানে পাহাড়ের ওপর দুটো বড় হ্রদ আছে, একটার নাম আম্বাজেরী। আর একটার নাম কি বল্পে যোধপুরী ছাত্রটি ঠিক বুঝতে পারলাম না। দুটোই বড় সুন্দর-অবিশিষ্ঠ আম্বাজেরী হ্রদটা অনেক বড় ও সুন্দরতর। হ্রদের সামনে কলকাতার ঢাকুরে লোককে লজ্জায় মুখ লুকাতে হয়। এর গম্ভীর মহিমার কাছে ঢাকুরিয়া লেক বাল্মিকীর কাছে ভারতচন্দ্র রায়। এর কি তুলনা দেবো ? মান জ্যোৎস্না উঠল। যোধপুরী ছাত্ৰটী লোক ভাল, কিন্তু তার দোষ সে অনবরত বকচে। প্ৰমোদবাবু তার নাম রেখেচেন ‘মূলো”—সে চুপ করে থাকলে আমরা আরও অনেক বেশী উপভোগ কৰ্ত্তে পারতুম। আসবার পথটাও বড় চমৎকার-পথ ক্ৰমে নেমে নীচে যাচ্চে-দুধারে সেই রকম immensity। মনে হোল আজ পূজার মহাষ্টমী-দুর বাংলাদেশের পল্লীতে পল্লীতে এখন এই সন্ধ্যায় মহাষ্টমীর আরতি সম্পন্ন হয়ে গেছে, প্ৰাচীন পূজার দালানে নতুন জামাকাপড পরে ছেলেমেয়েরা মুড়ি মুড়কী, নারকোলের নাড়, কেঁচড়ে ভরে নিয়ে খেতে খেতে প্ৰতিমা দেখচে । বারাকপুরের কথা, তার ছায়াঘের বঁাশবনের কথাও এ সন্ধ্যায় আজ আবার মনে এল । সজনে গাছটার কথাও-সেই সজনে গাছটা । মহাষ্টমীতে আজ ক্র্যাডক-টাউনে প্ৰবাসী বাঙ্গালীদের দুর্গোৎসব দেখতে গিয়েছিলাম। নাগপুরে বাঙ্গালী এত বেশী তা ভাবিনি। ওরা প্ৰসাদ খাবার অনুরোধ কবুলে—কিন্তু নীরদবাবুকে রুগ্ন অবস্থায় বাসায় রেখে আমরা কি করে বেশীক্ষণ থাকি ? মারাঠী মেয়ের রঙীন শাড়ী পরে সাইকেলে চেপে ঠাকুর দেখতে যাচ্চে । আমরা মহারাজ বাগের মধ্যের রাস্তা দিয়ে এগ্রিকালচারাল কলেজের গাড়ীবারান্দার নীচে দিয়ে ভিক্টোরিয়া রোডে এসে পৌছুলুম। রাত সাড়ে সাতটা, CSSq's C(C& CC-R (Xt(acts সেদিন বনগাঁয়ে ছকু পাড়ুইর নৌকাতে সাতভেয়েতলা বেড়াতে গিয়েছিলাম-এবার বর্ষায় ইছামতী কুলে কুলে ভরে গিয়েচে-দুধারের মাঠ ছাপিয়ে জল উঠেচে-তারই ধারের বেতবন, অন্যান্য আগাছার জঙ্গল বড় ভাল লেগেছিল। অত সবুজ, কালো রংয়ের ঘন সবুজ,-বাংলা ছাড়া আর
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭
অবয়ব