পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওই বইখানা ছিল। তরুণ আত্মার প্রচণ্ড আত নাদের কান্নায় ভরা বীভৎস মর্মান্তিক বই-সুন্দরের কল্পনায় রঙীন জীবনকে দাতে নখে ছিড়ে ফেলে দেহীর রক্ত মাংস নাড়িভুড়ির স্বরূপ দেখিয়ে জীবনকে অতিবাস্তব আর সুন্দরকে মৃদুতা, মিষ্টতা বর্জিত ভীষণরূপে দেখাবার জন্য লেখা বই। আর ছিল ঠোঙ্গার কতগুলি টুকরো। আদিম জঙ্গলের প্রান্তে তার এই বুনো কুড়ে ঘরেও সহরে ছাপানো খবরের কাগজের টুকরা দিয়ে তৈরী করা ঠোঙ্গা পৌছে গেছে। জগদীশ পর্যন্ত টের পেয়ে জেনো গিয়ে আমোদ বোধ করেছে যে খবরের কাগজের দৈহিক গতির পরিণতি মুদীখানায় মাল বেচার ঠোঙ্গায় । মাঝে মাঝে কখনো-সখনো দু’একটা ঠোঙ্গা ছিড়ে জগদীশ দু’ একটুকরো খবরে চোখ বুলোেত । সেদিন রাত্রে তরুণের বইটা পড়ে খুজে খুজে ঠোঙ্গা আর ছোড়া ছাপানো কাগজের টুকরো সংগ্ৰহ করে তন্ন তন্ন করে পড়ে রাতটা ভোর করতে চেয়েছিল— টেরও পায়নি। কখন রাত ভোর হয়ে গিয়েছিল। কখন পৃথিবীতে ছড়িয়ে গিয়েছিল রোদ উঠবার আগের স্নিগ্ধ আলো । জীবনের বিচিত্র শব্দের ছাপা মন্ত্রে ডুবে গিয়েছিল মরণের ব্যথার নীরবতা ।