অতল গভীর এক নতুন হতাশ ঘনিয়ে আসে-যা ভাবাবেশের হঠকারিতায় চিত্রাকে জলপ্রপাতে বিসর্জন দেওয়ার চেয়ে (यन् ७2न्द ! আরও কড়া ব্যথায় যেন ঢের বেশী। টন টন করে হৃদয় মন । নেশার ঘুম কিছুতেই আর রাতভোর টানা চলছিল না। ভোর হবার অনেক আগে, ব্ৰাহ্ম মুহুর্তের অনেক আগে ঘুম ভেঙ্গে या । একবার মাত্র সে চেষ্টা করেছিল আবার নেশা চড়িয়ে ভাঙ্গা ঘুম জোড়া দিয়ে আবার একটু ঘুমিয়ে ব্যথার রাতটা পোহাতে। পরদিন প্ৰায় বিকাল পর্যন্ত দেহ মনের অকথ্য বীভৎস যন্ত্রণা তাকে নিজের শরীরের রক্তবাহী শিরা চিরে দেবার অথবা আম গাছের ডালে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলে পড়বার জন্য উতলা করে তুলেছিল। সেই থেকে এমন আতঙ্ক জন্মে গিয়েছে যে রাত দুটোয় নেশার ঘুম ভেঙ্গে গেলেও সে আর ঘুমোবার কৃত্রিম চেষ্টার ধার ঘেষে না। ভাবে আর বই পড়ে। সে রাত্রে কুড়েতে বই ছিল মাত্র একখানা-তরুণের লেখা প্ৰথম কবিতার বই ‘ভারতের প্ৰেতাত্মা ।” নিজেই পয়সা খরচ করে ছাপিয়েছে, বোধ হয় পাশের জোরে বিয়ে করে পাওয়া পয়সায় । সকলে নিন্দ করলেও বইটা খুব বিক্ৰী হয়েছে- হয় তা সকলের বেশী বেশী নিন্দ করার জন্যই । S&S
